শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা
কালশীতে তরুণীর মৃত্যু

আন্দোলনের মুখে রাস্তায় স্পিডব্রেকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় এক তরুণীর মৃত্যুর পর মানিকদির কাছে কালশী সড়কে স্পিডব্রেকার বসানো হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত স্থানীয়রা স্পিডব্রেকার বসানোর দাবিতে সড়ক অবরোধ করে। এতে মিরপুর কালশী থেকে ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ইসিবি চত্বর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি গাড়িতেও ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় মিরপুর-১২ নম্বর থেকে কালশী পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে দুপুরে স্পিডব্রেকার বসানোর কাজ শুরু হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

বুধবার দুপুরে মানিকদি নামাপাড়া মোড়ের কাছে দুর্ঘটনায় আহত হন শারমিন আক্তার (১৮) নামে স্থানীয় এক তরুণী। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। এরই জের ধরে ঘটনার দিনই সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ওই এলাকায় স্পিডব্রেকার বসানোর দাবিতে স্থানীয়রা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে স্পিডব্রেকার বসানোর আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু কোনো উদ্যোগ না দেখায় গতকাল বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত স্থানীয়রা স্পিডব্রেকার বসানোর দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ ছাড়া তারা শারমিনের হত্যাকারী ঘাতক গাড়ির চালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করে শাস্তি দাবি করেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানান, স্পিডব্রেকার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। এতে সহায়তা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, এ সড়কের যানবাহনগুলো বেপরোয়াভাবে চলাচল করে। সড়কে স্পিডব্রেকার না থাকায় মানুষ ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হয়। দুর্ঘটনা রোধে এ সড়কে স্পিডব্রেকার প্রয়োজন। জানা গেছে, শারমিন এসএসসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছিলেন। সরকারি তিতুমীর কলেজের অনার্সে ভর্তি পরীক্ষা ফরম জমা দিয়ে ক্যান্টনমেন্টের পশ্চিম মানিকদির বাসায় ফেরার পথে শারমিন দুর্ঘটনার শিকার হন। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। এদিকে, এ ঘটনায় মৃতের বাবা সার্জেন্ট (অব.) শ্যাম মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

 

সর্বশেষ খবর