আগামীতে একটি ‘স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক’ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদী ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিদায়ী রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদোন। তিনি বলেন, বাংলাদেশজুড়ে এমন নির্বাচনের ব্যাপারে জোরালো আগ্রহ ও প্রত্যাশা রয়েছে। এ ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিও তিন বছর আগের চেয়ে অনেক শান্ত। ইইউর বিদায়ী রাষ্ট্রদূত গতকাল ঢাকায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। মায়াদোন বলেন, ‘অবশ্যই আমি সব পক্ষের মধ্যে আগ্রহ দেখেছি। দেশকে এগিয়ে নিতে ব্যাপক আগ্রহ ও প্রত্যাশা আছে।’ একটি বার্তা সংস্থা জানায়, ইইউ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে তিন বছর দায়িত্ব পালন শেষে আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকা ছাড়ছেন। তিনি গতকাল তার নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে গত জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট বিরূপ প্রভাবের বিষয়গুলো স্মরণ করেন।
.তিনি বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতি এড়ানো উচিত— এটি সবাই বুঝতে পেরেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘অকপটে বলছি, আমার মনে হয় এমনটি (গত নির্বাচন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতি) আর হবে না।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক এজেন্ডাকে সামনে এগিয়ে নিতে আগামী নির্বাচন একটি সুযোগ হিসেবে নিশ্চিত করার ব্যাপারে সব পক্ষের মধ্যেই তিনি জোরালো আগ্রহ দেখেছেন।
ইইউ রাষ্ট্রদূত মনে করেন, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আলোচনা নিঃসন্দেহে নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ও সংশ্লিষ্ট সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের পথ দেখাবে। সব পক্ষই এখন সচেতন।
ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠানোর ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত মায়াদোন বলেন, এ মিশন কেবল ভোটের দিন নয় বরং আরও বড় পরিসরে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন চাইলে ইইউ যে কোনো ধরনের সহযোগিতা দিতে আগ্রহী বলেও তিনি জানান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ইইউর অনেক পুরনো অংশীদারি ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে তিনি তাদের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার বাংলাদেশে ইইউর শীর্ষ এজেন্ডা। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এসব খাতের বিষয়ে কাজ করার সুযোগ তারা কখনো হাতছাড়া করতে চান না।