বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সিআইডির কব্জায় ১৬শ কেজি ‘খাত’

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একের পর এক নতুন ধরনের মাদক ‘খাত’ বা এনপিএসের চালান ধরা পড়ছে। এবার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৬০০ কেজি ‘খাত’-এর একটি চালান জব্দ করেছে। গত সোমবার বিকালে জিপিওর বৈদেশিক শাখা থেকে ২০টি চালানের ৯৬টি কার্টন জব্দ করা হয়। এবার এসব চালানের প্রাপকদের খুঁজছে সিআইডি। সিআইডির উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. শাহ আলম বলেন, আনুমানিক দুই কোটি সাঁইত্রিশ লাখ ৯৫ হাজার টাকার এই মাদক বিমানবন্দরের কার্গো ইউনিটের ফরেন পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ইথিওপিয়া থেকে ঢাকায় আসে। ২০টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নামে ভয়ঙ্কর এই মাদক আসে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডির সিরিয়াস ক্রাইম শাখা চালানটি জব্দ করে।  জানা গেছে, জব্দ করা মাদকের ৪২টি কার্টন এশিয়া এন্টারপ্রাইজের নামে এসেছিল। ঠিকানায় লেখা আছে তুরাগ ঢাকা। তবে বাকি ৫৪টি কার্টন ১৯টি আমদানিকারকের ব্যানারে আনা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই কার্টনের ঠিকানায় অভিযান চালানো হলেও সিআইডি এর কোনো অস্তিত্ব পায়নি। গত ৯ মাসে চালানগুলো এসেছিল। তবে এর মধ্যে আরও অনেক চালান এসেছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছে সিআইডি। অপরাধীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সিআইডি বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন ডিআইজি শাহ আলম।

তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। সেই মামলার তদন্তে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে।

মাদক ব্যবসায়ীরা নিত্যনতুন কৌশলে মাদক দেশে আনছে জানিয়ে ডিআইজি শাহ আলম বলেন, তারা বিভিন্ন কৌশলে মাদক দেশে নিয়ে আসছে। তারই অংশ হিসেবে গ্রিন টি নামে একটি চালান আসবে বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি।

গত সোমবার সকালে বিমানবন্দরের কার্গো ইউনিটের ফরেন পোস্ট অফিস থেকে প্রায় ১৩৫ কেজি ‘খাত’ জব্দ করে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)। গত শনিবার বিমানবন্দরে ঢাকা কাস্টম হাউস ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার যৌথ অভিযানে ১৬০ কেজি ‘খাত’ জব্দ হয়। গত ৩১ আগস্ট বিমানবন্দর থেকে ৪৬৭ কেজি ‘খাত’-এর চালান জব্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নাজিমউদ্দিন (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। এ দিন নাজিমউদ্দিনের শান্তিনগরের কার্যালয় থেকে আরও ৩৯৪ কেজি খাত জব্দ করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, ‘খাত’ অনেকটা চা-পাতার গুঁড়োর মতো দেখতে। পানির সঙ্গে মিশিয়ে তরল করে এটি সেবন করা হয়। এর প্রতিক্রিয়া অনেকটা ইয়াবার মতো। এক ধরনের গাছ থেকে এই ‘খাত’ বা এনপিএস তৈরি হয়। এটি ‘খ’ ক্যাটাগরির মাদক। আফ্রিকার দেশ জিবুতি, কেনিয়া, উগান্ডা, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, ইয়েমেনে ওই গাছ পাওয়া যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর