শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

সৌদিতে নারী কর্মীদের নিরাপত্তায় নানান পদক্ষেপ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

সৌদি আরবে বাংলাদেশি নারী কর্মীদের সুরক্ষায় নজরদারি জোরদারে সরকারিভাবে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ‘নির্যাতিত’ হয়ে একের পর এক নারী কর্মীর দেশে ফেরার মধ্যে সম্প্রতি রিয়াদে যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। যৌথ সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে গতকাল ঢাকার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নারী কর্মী যতদিন কর্মরত থাকবেন, ততদিন তার দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের রিক্রুটিং এজেন্সি (নিয়োগকারী সংস্থা) বহন করবে। জানা যায়, গত ২৭ নভেম্বর রিয়াদে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সৌদি আরবের শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে যৌথ কারিগরি কমিটির তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ সচিব সেলিম রেজা ও সৌদি আরবের পক্ষে শ্রম ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট মিনিস্টার জাবের আব্দুল রহমান আল মাহমুদ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। সেখানে প্রবাসী নারী কর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পায়। বৈঠকের বিষয় জানতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, যে সব নারী কর্মী কাজ ত্যাগ করে পলাতক হয়েছেন, তাদেরকে পুলিশ কোনোভাবেই নিয়োগকর্তার কাছে হস্তান্তর করবে না। নারী কর্মীরা কর্মকাল পূর্ণ করলে তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট এজেন্সি বহন করবে এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস ও সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে।

প্রবাসী কল্যাণ সচিব সেলিম রেজা সাংবাদিকদের বলেন, কোনো বিপদগ্রস্ত নারী কর্মীর সুরক্ষার বিষয়ে গুরুতর অভিযোগ উঠলে সৌদি আরবের সুরক্ষা ও সহায়তা বিভাগ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সংশ্লিষ্ট শ্রম কল্যাণ উইং বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনবেন। সভায় ভিসা বাণিজ্য বন্ধের বিষয়ে উভয় দেশ একযোগে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়েছে। তিনি বলেন, এবার আগের তুলনায় অনেক আন্তরিক মনে হয়েছে। সে আলোকে প্রশিক্ষণ, নিয়োগ সবক্ষেত্রে বড় রকমের পরিবর্তন আসবে।

যুগ্ম সচিব জাহিদ জানান, এখন থেকে সৌদি আরবে কোনো নারী গৃহকর্মী পাঠানোর আগে বাংলাদেশ গৃহকর্তার পারিবারিক বিষয়সহ প্রয়োজনীয় তথ্য বাংলাদেশ খতিয়ে দেখবে বলে জানান। এজন্য সৌদি আরবের শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ইলেকট্রনিক প্লাটফর্ম ‘মুসানেদে’ নারী কর্মী, সৌদি আরব-বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি এবং গৃহকর্তা- সবার যোগাযোগের বিস্তারিত ঠিকানা, গৃহকর্তা পরিবর্তন সংক্রান্ত তথ্যাদি, নারী কর্মীর আগমনের তারিখ, গৃহকর্তার কাছে হস্তান্তরের তারিখ, গৃহকর্মীর দেশের ফেরার বিষয়ে সব তথ্য সন্নিবেশিত করার বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মুসানেদ সিস্টেমে বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি ’অ্যাপ্রুভাল উইন্ডো’ স্থাপনের বিষয়টি সৌদি কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, নিয়োগকর্তা পরিবর্তন, নতুন চুক্তি বা নবায়ন ও দেশে ফেরা সংক্রান্ত তথ্যাদি ছাড়া অন্য তথ্যাদি এর মধ্যে হালনাগাদ করা হয়েছে। অবশিষ্ট তথ্যাদি হালনাগাদের কাজ চলমান রয়েছে। যদি নারী কর্মী মেয়াদ শেষে কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই চুক্তি নবায়ন করতে হবে এবং এ নবায়ন বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।

সর্বশেষ খবর