সিলেটে যেসব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে, সেগুলোয় কর্মরত ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ানরা প্রকৃত সনদধারী কিনা, সে বিষয়ে খোঁজ নিতে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। গতকাল এ-সংক্রান্ত চিঠি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের কাছে পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসককে লেখা চিঠির শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন করোনাকালে সিলেটে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে যেসব ডাক্তার, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন তাদের অভিনন্দন জানান। মন্ত্রী লিখেছেন, ‘সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, দেশের কয়েকটি স্বাস্থ্যসেবা নামধারী প্রতিষ্ঠান করোনা চিকিৎসার নামে বিভিন্ন ধরনের ভুয়া টেস্ট রিপোর্টের মাধ্যমে জনগণকে প্রতারিত করছে।
ফলে স্বাস্থ্যসেবা-প্রত্যাশীদের মনে ক্ষোভ যেমন বাড়ছে, তেমন সরকারকেও বিব্রত হতে হচ্ছে। এ কারণে এ বিষয়ে আমাদের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।’ ড. মোমেন উল্লেখ করেন, ‘সিলেট জেলা ও মহানগরের যেসব প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালিত হচ্ছে, সেগুলো অনুমোদিত কিনা, এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান প্রকৃত সনদধারী কিনা বা তাদের পেশা পরিচালনা করার অনুমোদন আছে কিনা, এসব অনুসন্ধান জরুরি। সেইসঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদেয় চিকিৎসাসেবার বিপরীতে যে অর্থ গ্রহণ করা হচ্ছে, তা গ্রহণযোগ্য কিনা এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।’ যেসব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও ভুয়া ডাক্তার, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ানদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।