বুধবার, ১২ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

‘বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাডি সেন্টার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক’

নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় অস্ট্রেলিয়ার মোনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাডি সেন্টার দেশে স্থাপন ও পরিচালনার সাময়িক অনুমতি প্রদান করেছে। কিন্তু এটি ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০’এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ওই সমিতি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার পরিচালনার অনুমোদন প্রদানের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের ক্রমবিকাশমান উচ্চশিক্ষা খাতে ব্যাপক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হয়। কিন্তু বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টারকে কোম্পানি আইন-১৯৯৪ এর অধীন লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনুমোদন দেওয়ায় কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন, কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল গঠন, শিক্ষার্থীদের জন্য কোটা ও বৃত্তি প্রদানের বাধ্যবাধকতাসহ নানা বিধি থাকলেও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার পরিচালনার ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো বিধিমালা রাখা হয়নি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির নেতারা বলছেন, বৈষম্যমূলক বিধির আওতায় সহজ শর্তে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের লাভজনক শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনার অনুমোদন কার্যকর হলে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হবে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা খাতে বৈদেশিক মুদ্রা পাচার রোধের বিপরীতে নিম্নমানের বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামসর্বস্ব ক্যাম্পাস পরিচালনার মাধ্যমে সনদ বাণিজ্যের আশঙ্কা রয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস স্থাপন ও পরিচালনার বিভিন্ন বিধিমালা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং অলাভজনক উচ্চশিক্ষার নীতির পরিপন্থী। সার্বিক বিবেচনায় বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার পরিচালনার অনুমোদন স্থগিত করতে হবে।

সর্বশেষ খবর