তিন মাসের বেতন ভাতা বকেয়া আদায়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কাঁচপুর ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে ওপেক্স ও সিনহা গ্রুপের শ্রমিকরা। গতকাল বিকাল ৫টা থেকে সড়কে নামে শ্রমিকরা। এতে দুই পাশেই শত শত পণ্যবাহী গাড়ি আটকে যায়। অবরোধের কারণে যানজট মদনপুর থেকে কাঁচপুর, অন্যদিকে কাঁচপুর, রূপগঞ্জ ও গাউছিয়া পর্যন্ত ছাড়িয়ে গেছে। জানা যায়, কাঁচপুর শিল্পনগরীতে অবস্থিত ওপেক্স ও সিনহা গ্রুপের শ্রমিকদের প্রতি মাসের বেতন পরিবর্তী মাসের কর্মদিবসের সাত দিনের মধ্যে বেতন ভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষ ২২ তারিখেও দেয় না। ফলে তিন মাসের বেতন ভাতা বকেয়া পড়ে শ্রমিকদের। গতকাল তিন মাসের বেতন দেওয়ার কথা ছিল। সকাল থেকে তারা বকেয়া বেতনের জন্য অপেক্ষা করছিল।
বিকাল পর্যন্ত মালিক পক্ষের কোনো সাড়া না পেয়ে শ্রমিকরা মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে। শ্রমিকদের বেতন ভাতা ও সব অনিয়ম বন্ধের দাবিতে কাঁচপুর ওপেক্স ও সিনহা গ্রুপের সব শ্রমিকরা বিকাল ৫টা থেকে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয় ও খন্ড খন্ড মিছিল বের করে।
এ ছাড়া এ অবরোধের কারণে ঢাকামুখী যান চলাচল বন্ধ হয়ে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অবরোধে অংশ নেওয়া শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে সোনারগাঁ থানা পুলিশ, শিল্প পুলিশের সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। শ্রমিক ও মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে পুলিশ।
সিনহা ওপেক্স গার্মেন্টের শ্রমিক রায়হান, নোমান ও আছিয়া বেগম বলেন, ‘লকডাউন থেকেই তাদের বেতন বকেয়া রয়েছে। আজ তিন মাসের বকেয়া বেতন দেওয়ার কথা। মালিক পক্ষ হঠাৎ আগামী মাসে বেতন দেওয়া হবে বলে একটি নোটিস ঝুলিয়ে দেয়। তারপরও আমরা বেতনের জন্য মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। মালিক পক্ষের লোকজন আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। বাধ্য হয়ে বিকালে সড়ক অবরোধ করতে হয়েছে।
সিনহা ওপেক্স গার্মেন্টের সুইং সেকশনের শ্রমিক মিজানুর রহমান বলেন, বেতন না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। নিরুপায় হয়ে আন্দোলন করতে হচ্ছে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে সমঝোতার চেষ্টা চলছে। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, শ্রমিকদের অবরোধের কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অবরোধ প্রত্যাহার করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।