মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা
দ্বিতীয় দফা ইউপি ভোট

খুলনায় প্রার্থী মনোনয়নে ঝুঁকি নিয়েছে আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনায় গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম দফা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৩৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ১২টি হাতছাড়া হয়েছে আওয়ামী লীগের। তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে  চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী মনোনয়ন ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে দলীয় নেতাদের যোগসাজশে খেসারত দিতে হয়েছে দলটিকে। ফলে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে তৃণমূলে অবস্থান ধরে রাখতে কিছুটা ঝুঁকি নিয়েছে দলের শীর্ষ নেতারা। জানা যায়, এবার খুলনার ২৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ১২টিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন প্রার্থী বা গতবারে পরাজিত প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এসব ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যানদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে হচ্ছে তাদের।

নেতা-কর্মীরা জানায়, ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নে গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ছিলেন হেফজুর রহমান। তিনি বিএনপির সমর্থক দিদারুল হোসেন দিদারের কাছে পরাজিত হন। সেখানে এবার জেলা মৎস্যজীবী লীগের সহসভাপতি আফরোজা খানম (মিতা)-কে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি নারী উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত। একইভাবে মাগুরাঘোনা ইউনিয়নে রফিকুল ইসলাম হেলাল ও শরাফপুর ইউনিয়নে এম উবাঈদ উল্লাহ নতুন প্রার্থী। এদিকে শোভনা, সাহস ও গুটুদিয়া ইউনিয়নে গত নির্বাচনের পরাজিত আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের এবারও নৌকা দেওয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী বলেন, ইউপি নির্বাচনে যারা দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন এবার তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয়তা যাচাই করে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কিছুটা চ্যালেঞ্জ থাকলেও চেয়ারম্যান পদে নতুনরা ভালো অবস্থানে আছেন। 

এদিকে বটিয়াঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নে গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সমির কুমার বিশ্বাস পরাজিত হয়েছিলেন। এবার সেখানে প্রার্থী বদল করে পল্লব কুমার বিশ্বাস রিটু মনোনয়ন পেয়েছেন। সুরখালী ইউনিয়নে  চেয়ারম্যান পদে জাকির হোসেন ও ভান্ডারকোট ইউনিয়নে আবুল কালাম আজাদ প্রথমবার নৌকার প্রার্থী হয়েছেন।

জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে খুলনার রূপসা, ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা ও ফুলতলার ২৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে গত ৯ অক্টোবর নৌকার প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর