নদীর চরে কুমড়া বাড়ি। এ অঞ্চলের এক সময়ের খরস্রোতা আত্রাই নদীর চরে এখন চলছে কুমড়া চাষ। কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই বাণিজ্যিকভাবে কুমড়া চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন আলতাফ হোসেন। এ চরেই গতবার ১ বিঘা জমিতে কুমড়া চাষ করে দেড় লাখ টাকা আয় করেছেন। কুমড়া চাষে সফলতায় ওই অঞ্চলের সবাই নদীর দু-মুখো ঘাট এলাকার চরটিকে এখন কুমড়া বাড়ি বলেই ডাকেন। নদীর দুই পাড়ের চরেই চলছে কুমড়াসহ বিভিন্ন চাষ।

চাষি আলতাফ হোসেন দিনাজপুর সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউপির ঝানঝিরা বাশগাড়ী এলাকার অধিবাসী। নদীর চরে চাষ করেন এবং নিজেই সেই কুমড়া বিক্রি করেন। এ চাষেই চারজনের সংসার সচ্ছলভাবে চালছে।

আলতাফ হোসেন জানান, খরস্রোতা আত্রাই নদীর এ চরে কার্তিক মাস থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত ভালোভাবে চাষ করা যায়। সামান্য পরিচর্যা ছাড়া কোনো প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। উৎপাদিত কুমড়া দিনাজপুরের আশপাশের জেলা ছাড়াও রাজধানী ঢাকায় পাইকারি বাজারে সরাসরি বিক্রয় করা হয়। কুমড়া এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই বিক্রি করা যাবে। এরপরে এ চরে তরমুজ চাষ করব। কুমড়া চাষি আলতাফ হোসেন আরও জানান, কৃষি বিষয়ে তার তেমন কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু কুমড়া চাষে বেশি লাভবান হওয়ায় এখন কুমড়া চাষ করেন।