গাজীপুরে তুচ্ছ ঘটনার জেরে জেলা প্রশাসনের পরিবহন পুলের গাড়িচালক হিরা আল মামুনকে মারধর করেছে ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবলরা। এর প্রতিবাদে ও শাস্তির দাবিতে শহরের রাজবাড়ী সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের পরিবহন পুলের চালক ও কর্মচারীরা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশের দুই কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের জেলা প্রশাসনের স্টিকারযুক্ত গাড়িতে জেলা প্রশাসকের দুই মেয়েকে স্কুল থেকে বাসায় ফিরছিলেন চালক মো. হিরা আল মামুন। দুপুর ১২টার দিকে গাড়িটি শহরের রাজবাড়ী সড়কের রানী বিলাসমনি সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মোড়ে এসে পৌঁছালে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ ওই গাড়িটি ঘুরিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে যেতে বলেন। ট্রাফিক পুলিশকে চালক হিরা জানান, গাড়িতে জেলা প্রশাসকের দুই শিশু মেয়ে রয়েছে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ট্রাফিকের এক পুলিশ সদস্য ডিসির গাড়িতে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এ সময় চালক হিরা মিয়া প্রতিবাদ করলে লাঠি দিয়ে তাকেও আঘাত করে এবং তাকে টেনেহিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামাতে চায় দুই পুলিশ কনস্টেবল ইউসুফ ও নুর মোহাম্মদ। এতে জেলা প্রশাসকের দুই মেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে চালক রাস্তা ঘুরিয়ে গাড়ি নিয়ে ডিসির বাসভবনে চলে যান। জেলা প্রশাসনের গাড়িচালককে মারধরের খবর পেয়ে দুপুরে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের পরিবহন পুলের চালক ও কর্মচারীরা। তারা হামলা ও মারধরের প্রতিবাদে ও দায়ী পুলিশ সদস্যের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে। বিক্ষোভ মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসন চত্বরে প্রতিবাদ সভা করে তারা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, জেলা প্রশাসকের গাড়ি চালকের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত দুই পুলিশ কনস্টেবলকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।