শিরোনাম
বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

কামরুল বললেন, জানতেন না অপু তারেকের এপিএস

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থ পাচার ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনের দুই মামলার আসামি মিয়া নুর উদ্দিন আহমেদ অপু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ছিলেন, এ কথা জানতেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তারেকের সাবেক এপিএসের জামিনের পক্ষে শুনানি করার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার পর গতকাল তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। তিনি বলেন, ‘যদি জানতাম আসামি তারেক রহমানের এপিএস ছিলেন, তাহলে কখনো শুনানি করতাম না। এ মামলায় প্রচুর ফি পাওয়ার কথাও জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল বলেন, মামলার রেকর্ডের কোথাও লেখা নেই যে নুর উদ্দিন আহমেদ অপু তারেক রহমানের এপিএস ছিলেন। সিআইডির রিপোর্টেও বিষয়টি উল্লেখ নেই। এমনকি রাষ্ট্রপক্ষও শুনানিতে কখনো বলেননি যে অপু তারেক রহমানের এপিএস ছিলেন। তিনি বলেন, এক জুনিয়র এ মামলায় আমাকে সিনিয়র হিসেবে নিয়োগ দেয়। সিনিয়র হিসেবে আমি ব্রিফ করেছি। এ কারণে আসামির পক্ষে কয়েক দিন শুনানি করেছি। গত সোমবারও অনেক টাকা ফি পেয়েছি।

বিষয়টি জানার পর মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নে কামরুল ইসলাম বলেন, সবাই নাকি বলছে আমি সরে দাঁড়িয়েছি। সরে দাঁড়ানোর প্রশ্ন এখানে আসবে কেন? সোমবার পর্যন্ত আমি এ মামলায় শুনানি করেছি। আজ (মঙ্গলবার) আদেশের জন্য ছিল। আদেশের সময় আদালতে সিনিয়র থাকতে হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সাধারণত মামলায় জুনিয়র যারা থাকেন তারা আদালতের আদেশ রিসিভ করেন। আবার যদি এ মামলায় আপনাকে ফি দেয় তাহলে অপুর পক্ষে শুনানি করবেন কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তখন ভেবে দেখব।

এদিকে দুই মামলায় মিয়া নুর উদ্দিন আহমেদ অপুকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন আদেশের ওপর চেম্বার জজ আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

২০১৯ সালের ৪ জানুয়ারি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে গ্রেফতারের পর থেকে অপু কারাগারে আছেন। এ দুই মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হলে হাই কোর্টে এসে জামিন চান অপু। গত বছর ২ ডিসেম্বর সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় অপুকে জামিন দেন হাই কোর্ট। আর অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের মামলায় জামিন হয় ১৯ ফেব্রুয়ারি। জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে গত বছর ৫ ডিসেম্বর ও গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তার জামিন স্থগিত করে চেম্বার আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন দুটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এই ধারাবাহিকতায় গতকাল জামিন আদেশে দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল রাখলেন আপিল বিভাগ।

সর্বশেষ খবর