শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে কানাডার স্বীকৃতি

প্রতিদিন ডেস্ক

বাংলাদেশ ছাড়া কানাডাই বিশ্বের প্রথম দেশ- যারা ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়েছে। একই সঙ্গে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করতে একটি আইনও করেছে কানাডার পার্লামেন্ট।

গত বৃহস্পতিবার কানাডার হাউস অব কমন্সে ‘ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাক্ট’ পাস করা হয় বলে অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়, ‘এই বিল পাসের মাধ্যমে কানাডা এখন থেকে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি সরকারিভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করবে। এটা বাংলাদেশি-কানাডিয়ানদের জন্য এবং সারা বিশ্বের মাতৃভাষাপ্রেমীদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’

বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, বিলটি পার্লামেন্টে উত্থাপন করেন হাউস অব কমন্সের সদস্য কেন হার্ডি। এর ওপর আলোচনা ও পাসের সময় বিলটির সমর্থনকারী সিনেটর মবিনা এস জাফর এবং কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার খলিলুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। এই বিলটি কানাডার পার্লামেন্টে নেওয়ার ক্ষেত্রে মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ লাভার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড সোসাইটির সভাপতি আমিনুল ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সে জন্য তার প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। সেখানে বলা হয়, ‘আমরা আমিনুল ইসলামের অবদানকে বিশেষভাবে স্মরণ করি, যিনি এক দশকের বেশি সময় ধরে বিলটি পাসের জন্য চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। হাইকমিশনার খলিলুর রহমানও এই লক্ষ্য অর্জনে গত দুই বছর ধরে হাউস অব কমন্স সদস্য ও সিনেটরদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন।’ হাইকমিশন বলছে, ‘বিলটি পাস হওয়া ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যের প্রতি কানাডার অঙ্গীকারের প্রমাণ।

এই বিলটি স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ভাষা হলো মানুষের পরিচিতি ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের অপরিহার্য উপাদান। ভাষার বৈচিত্র্যকে সম্মান করা, রক্ষা করা, বর্ধন করা আমাদের সবার দায়িত্ব।’

হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এই শুভক্ষণে ১৯৯৯ সালে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ইউনেস্কোর এবং পরবর্তীতে জাতিসংঘের স্বীকৃত আদায়ে মরহুম রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালাম, এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।’

প্রসঙ্গত, ভ্যাঙ্কুভারের মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ লাভার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড সোসাইটির রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালামের প্রাথমিক আবেদন এবং পরে সরকারের উদ্যোগে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ঘোষণা করা হয়।

২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোতে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর