শিক্ষকদের লাঞ্ছিতকারী শিক্ষার্থীদের শাস্তি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষকরা। একাডেমিক কার্যক্রম চালু হওয়ার চতুর্থ দিনেও ক্লাসে যাননি তারা। এ অবস্থায় ক্লাস শুরু হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
এদিকে কুয়েট সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষকদের নিয়ে সাইবার বুলিংয়ের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন ও ক্যাম্পাসে সহিংস ঘটনায় জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শৃঙ্খলা কমিটির ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্তের কোনো লিখিত কপি পাননি বলে জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলা ও কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া থেকে বিরত থাকার কথা জানান।
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাহিদুল ইসলাম জানান, শিক্ষক লাঞ্ছিত, সাইবার বুলিং, সামাজিক অবমাননা ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সাইবার বুলিংয়ের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের কথা শুনেছি। কিন্তু লিখিত কোনো চিঠি পাইনি।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. ফারুক হোসেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুয়েটবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত সব পেজ, গ্রুপ ও ব্যক্তিকে শনাক্তপূর্বক অবিলম্বে সেগুলো বন্ধসহ আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষকদের লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িত সবার বিচার সাত দিনের মধ্যে করতে হবে। অন্যথায় ঘোষণা অনুযায়ী প্রশাসনিক কাজে সহযোগিতা থেকে বিরত থাকবেন শিক্ষকরা। উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সংঘর্ষের পর থেকে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।