আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, আন্দোলনের সঙ্গে মিশে গিয়ে বিএনপি-জামায়াত সাধারণ ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘সন্ত্রাস, নাশকতা ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। গৌরব ’৭১ নামের একটি সামাজিক সংগঠন এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন- জাতীয় সংসদের হুইপ অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম এমপি, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি ঝুনা চৌধুরী ও গৌরব ’৭১ এর সভাপতি এস এম মনিরুল ইসলাম মনি। সঞ্চালনা করেন গৌরব ’৭১ -এর সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শাহীনুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মেহেদী হাসান প্রমুখ।
হানিফ বলেন, জামায়াত, শিবির ও বিএনপির মূল লক্ষ্য ছিল ঢাকা শহরের সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলা। তারেক রহমান তার হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসাত্মক মনোভাব নিয়ে বিদেশ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ছাত্রদের আন্দোলন মেনে নেওয়ার পরও আন্দোলনকারীদের পেছনে থেকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে তারা। জাতীয় নির্বাচনের সময় বিএনপি-জামায়াতসহ বিদেশে বসে অনেকে সহিংসতার ষড়যন্ত্র করে সেই ধারাবাহিকতায় এখনো এসব করে যাচ্ছে।
হুইপ সানজিদা খানম বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দাবি, সাধারণ ছাত্রদের দাবি এবং আমাদের দাবি একই ছিল। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের এটা বোঝাতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের ব্যর্থতার ফসল এই আন্দোলন। আমাদের উচিত ছিল রাষ্ট্রের প্রধান আইনজীবী যে আপিল করেছেন সেই আপিলের বিষয়টা আরও বড় করে প্রচার করা।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি বলেন, ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দুষ্কৃতকারীরা যারা আওয়ামী লীগকে সহ্য করতে পারে না, যারা বাংলাদেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় দেখতে চায় না তারা এমন ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে। যারা আন্দোলনকে উসকে দিয়েছে তারা নিজেরা বিদেশে সুরক্ষিত, তাদের সন্তানেরা বিদেশে সুরক্ষিত, তারা দেশের শিক্ষার্থীদের উসকে দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, মৃত্যু যারই হোক, পুলিশ বা শিক্ষার্থী, এক ফোঁটা রক্ত ঝরুক আমরা চাইনি। ১৫ তারিখ পর্যন্ত কাউকে ফুলের টোকাও দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগকে নির্দেশ দিলেন তোমরা বের হয়ে যাও, তারা লাশ ফেলতে চায়। আমরা তো এক ফোঁটাও রক্ত ফেলতে চাইনি। কিন্তু আমরা জাতিকে বোঝাতে পারিনি। ওরা যখন লাশ ফেলতে পারেনি, তখন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে।