অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করতে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন, অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালগুলোর বিচারকদের জন্য যুগোপযোগী আইন প্রবর্তন করাসহ মামলার জট নিরসনে জরুরিভিত্তিতে হাই কোর্ট বিভাগের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশন। গতকাল ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম এক বিবৃতিতে এসব দাবি জানান।
জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের দাবিনামার মধ্যে আরও রয়েছে, বিচারপতিদের সম্বোধনের ক্ষেত্রে ‘মাই লর্ড’ বা ‘ইউর লর্ডশিপ’ শব্দের পরিবর্তে ‘ইউর অনার’ শব্দ প্রবর্তনের বিষয়ে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ। প্রশাসনিক হস্তক্ষেপমুক্ত বিচারব্যবস্থা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠন করা, ১-৫ আগস্ট তারিখকে ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লব দিবস’ বা ‘জাতীয় বিপ্লব দিবস’ বা ‘বাংলাদেশ বিপ্লব দিবস’ ঘোষণা করা, সাম্প্রতিক বিপ্লবে নিহতদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান এবং হত্যাকান্ড ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা, নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ফেডারেল পদ্ধতির শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রদেশে বিভক্ত করা। ইসলামী আদর্শ ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা এবং সব ধর্মের মর্যাদা সুনিশ্চিত করা। মদিনা সনদের আলোকে সব নাগরিকের সম মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা। শিক্ষাক্ষেত্রে ধর্মবিদ্বেষী কোনো পাঠক্রম প্রণয়ন না করা। ‘ধর্ম যার যার বাংলাদেশ সবার’ এ উক্তির আলোকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুদৃঢ় করা, সন্ত্রাস-দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি চিরতরে বন্ধের লক্ষ্যে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা প্রভৃতি।