খুলনা মহানগরীর প্রবেশপথ রূপসা ঘাটে ট্রলার পারাপারে অতিরিক্ত টোল আদায়, অব্যবস্থাপনা ও যাত্রী হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এ ঘাট দিয়ে পারাপার হয়। স্থানীয়রা জানান, পন্টুন-গ্যাংওয়ের বেহালদশা থাকলেও খেয়ালখুশিমতো টোল আদায় করা হয়। নদী পারাপারে ঘাট ও নৌকা মিলিয়ে প্রতিদিন আসা-যাওয়ায় ১২ টাকা দিতে হয়।
সেই সঙ্গে টোল আদায়ের নামে টানাটানিতে বিব্রতকর অবস্থা তৈরি করে। কোনো মালামাল নিয়ে ঘাট পার হতে গেলে ইচ্ছামতো টাকা দাবি করে ঘাট ইজারাদার। টাকা না দিলে নাজেহাল হতে হয়।
এসব বিষয়ে অভিযোগ উঠলে জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান রূপসা ঘাট এলাকায় বিরাজমান সমস্যা নিরসনে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, জনসাধারণের সুষ্ঠু যাতায়াত চালুসহ সরকারবিরোধী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে ঘাটের আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
গতকাল রূপসা অফিসার্স ক্লাবে উপজেলার সরকারি দপ্তরের প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।