যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের নিজস্ব ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৪৩টি ব্যাংক হিসাব এবং ৬২টি কোম্পানিতে বিনিয়োগকৃত অর্থ অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. সাব্বির ফয়েজের আদালত এ আদেশ দেন। এ ছাড়া দুদকের আরেক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশও দেওয়া হয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কাজী নাবিল আহমেদের জব্দকৃত স্থাবর সম্পদের আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে ৮ কোটি ৭৫ লাখ ৬৭ হাজার ১৯২ টাকা। এ ছাড়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আল আমিন অস্থাবর সম্পদ হিসেবে ৪৩টি ব্যাংক হিসাব ও ৬২টি কোম্পানিতে বিনিয়োগ অবরুদ্ধের আবেদন করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, নাবিল আহমেদের ৪৩টি ব্যাংক হিসাবে রয়েছে ৬১ লাখ ২ হাজার ৭৬১ টাকা এবং ৬২টি কোম্পানিতে বিনিয়োগ রয়েছে ২২ কোটি ২৭ লাখ ১৮ হাজার ৩২১ টাকা। আবেদন পর্যালোচনা করে আদালত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ ও জব্দের নির্দেশ দেন।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, আসামি কাজী নাবিল আহমেদ অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যক্তিস্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন এবং অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৭ কোটি ৩৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩৫৪ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রাখেন। এতে আরও বলা হয়, কাজী নাবিল আহমেদ এবং তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত ৪৫টি হিসাবে জমা হয়েছে ৫৪ কোটি ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার ৯৮৪ টাকা এবং উত্তোলন হয়েছে ৫৪ কোটি ২৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪ টাকা। মোট ১০৯ কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার ৯৮৯ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং করা হয়েছে।
এ কারণে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির নামে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ বা জব্দ করা একান্ত প্রয়োজন।