শিরোনাম
প্রকাশ: ১২:৩২, মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬ আপডেট:

অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান পর্ব ৯

রণক ইকরাম
অনলাইন ভার্সন
অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান পর্ব ৯

‘সুলেমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট’ খ্যাত সুলতান সুলেমান পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সেরা শাসক ছিলেন। ক্ষমতার টানাপড়েনে ষড়যন্ত্র, গুপ্তহত্যা, সন্তান হত্যা-পিতৃহত্যা, দাসপ্রথা আর হেরেমের নানা পরিক্রমা ছাপিয়ে এগিয়ে গেছে সুলেমানের শাসনকাল। তার আমলেই আলেকজান্দ্রা নামের এক সাধারণ দাসী হয়ে ওঠেন সুলেমানের স্ত্রী ও সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় আসা সুলেমানকে নিয়ে ইতিহাস আশ্রয়ী এ উপন্যাস। এই উপন্যাসের সরাসরি কোনো উৎস নেই। তবে তথ্য-উপাত্তের মূল উৎস অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস বিষয়ক নানা বইপত্র। মূল চরিত্র আর গল্প ঠিক রেখে লেখক তার কল্পনায় তুলে এনেছেন সেই সময়টুকু। টিভি সিরিজ মুহতাশিম ইউজিয়েলের সঙ্গে আমাদের যেমন কোনো বিরোধ নেই, তেমনি এর অনুকরণেরও প্রশ্নই ওঠে না। এটি কেবল ইতিহাসের আশ্রয়ে আরও একটি রচনা।

১ম থেকে ৮ম পর্ব পর্যন্ত সুলেমান খানের গভর্নর জীবন ও সেখান থেকে অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতান হয়ে ওঠার গল্প তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল হেরেম জীবন, তোপকাপি প্রাসাদ, সুলতান সেলিম খানের মৃত্যু প্রভৃতি। সর্বশেষ ৮ম পর্বে এসে সুলেমান খান সুলতান হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন। নতুন অটোমান সুলতান হিসেবে তিনি তার দায়িত্ব পালনের যাবতীয় প্রস্তুতি সেরেছেন। মা আয়শা হাফসার আশীর্বাদ আর পরামর্শ সঙ্গে নিয়ে শুরু করেছেন নিজের সুলতানি জীবন। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ সভাসদ থেকে শুরু করে সব প্রান্ত থেকে অভিনন্দন গ্রহণ করেছেন। হেরেমের ভিতরের নতুন-পুরনো সব দাসীর মধ্যেও সুলতানকে নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই কিছুদিন আগে ক্রিমিয়া থেকে আসা আলেকজান্দ্রা নামের একটা মেয়ে সুলতানকে জয় করার স্বপ্ন দেখে। প্রতি শনিবারের এ বিশেষ আয়োজনে আজ ছাপা হলো নবম পর্ব।

[পূর্ব প্রকাশের পর]

নতুন অটোমান সূর্য আলো দেওয়া শুরু করেছে। সুলেমানের আভায় আস্তে আস্তে নতুন করে সাজতে শুরু করেছে কনস্টান্টিনোপল। পেছনে আয়শা হাফসার মতো আরও অনেক কুশীলব থাকলেও আগ্রহের কেন্দ্রে সুলেমানই। সবাই অধীর আগ্রহে তার রাজ-সিদ্ধান্তগুলো দেখার অপেক্ষায়। বিশেষ করে উজিরে আজমের পদ নিয়ে অনেক আলোচনা জল্পনা-কল্পনা হলো। সবাই মোটামুটি একটা ব্যাপারে নিশ্চিত যে পীরে মেহমুদ পাশার অবসরের সময় হয়ে গেছে। সুলতান সুলেমান খান হয়তো তাকে আর দায়িত্বে রাখবেন না। তাহলে কে হচ্ছেন অটোমানদের নতুন উজিরে আজম?

ফেরাত পাশাকে নিয়েই আলোচনাটা বেশি হচ্ছে। তিনিও মনে মনে নিজেকে উজিরে আজম হিসেবে প্রস্তুত করে রেখেছেন। এখন কেবল সুলতানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।  পীরে মেহমুদ পাশার বয়স যেমন বেড়েছে অন্যদিকে অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতান পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে উজিরে আজম পাল্টে যাওয়ার রীতিটা অনেক পুরনো। সেই হিসেবে পীরে মেহমুদ পাশার অবসরটাই স্বাভাবিক। এমনকি মেহমুদ পাশা নিজেই অবসর গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন। ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন অটোমান উজিরের গুরুত্বপূর্ণ সিলমোহর ‘হুমায়ুন।’

কিন্তু তখনো অনেক ঝলক অপেক্ষা করছিল কনস্টান্টিনোপল বাসির জন্য। নতুন সুলতান কেবল নিয়ম রক্ষার সুলতান হতেই সিংহাসনে বসেননি। বরং ইতিহাসের স্রোতধারা পাল্টে দেওয়ার গোপন অভিপ্রায় তার মনে। বিষয়টা টের পেতে খুব বেশি সময় লাগল না অটোমানদের।

সবার হিসাব-নিকাশ আর জল্পনা-কল্পনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে অভিজ্ঞ পীরে মেহমুদ পাশাকেই সুলেমানের উজিরে আজম ঘোষণা করা হলো। বাবা সেলিম খানের আমল থেকে অটোমান সাম্রাজ্যের সেবা করার জন্য সুলেমান অভিজ্ঞ মেহমুদ পাশার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এটুকু চমকই কিন্তু যথেষ্ট ছিল। সবাই বেশ ধাক্কা খেয়েছে। বিশেষত ফেরাত পাশা ও তার অনুসারীরা। এরপরই আরেকটি বিষয় ছিল আলোচনায়। সুলতানের খাস কামরা প্রধান বা একান্ত ব্যক্তিগত সচিবের পদটি। অটোমান সাম্রাজ্যে সুলতান এবং উজিরে আজমের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ এটিই। কারণ এই পদে নিয়োজিত মানুষটি মোটামুটি দিন রাতই সুলতানের সঙ্গে থাকেন। ফলে ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক— দুই ভাবেই সুলতানের খুব কাছাকাছি থাকার সুযোগ পান তিনি। ফলে রাষ্ট্রপরিচালনা এবং সুলতানের ব্যক্তিগত জীবনে বরাবরই এই পদের একটা দাপুটে প্রভাব থাকে। কে জানত এই পদে সুলতান যাকে বেছে নেবেন সেটিও অটোমানদের কাছে আরেকটি বিস্ময় হিসেবে আবির্ভূত হবে!

পারগালি ইব্রাহীমকেই নিজের খাস কামরা প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেছেন সুলতান। পীরে মেহমুদ পাশা কিঞ্চিৎ আপত্তি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভিনদেশি হোক আর যাই হোক সুলতানের পছন্দের ওপর আর কোনো কথা থাকে না। তাই হলো। অটোমানদের মধ্যে শুরু হলো কানাঘুষা। কেউ বলল ভালো হয়েছে আবার কেউ বলছে মন্দ। কিন্তু সুলতান ঠিক অবিচল।

পারগালি ইব্রাহীম কখনো ভাবেননি তার জন্য এত বড় একটা উপহার অপেক্ষা করছিল। খাস কামরা প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পর সুলতানের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা আরও বেড়ে গেল। এরই মধ্যে আয়শা হাফসা হারেমের প্রধান দানা হালিলকে দিয়ে  পারগালিকে ডেকে পাঠালেন। আয়শা হাফসা এখন বালিদ সুলতান। অটোমান সাম্রাজ্যে খুব কম নারীই বালিদ সুলতান হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। বালিদ সুলতান হচ্ছে সুলতানের মাতা। ক্ষমতাসীন সুলতান যে মায়ের গর্ভজাত সন্তান, তিনিই বালিদ সুলতান হওয়ার গৌরব লাভ করেন। কাগজে কলমে সুলতানের সমান পরিমাণ ক্ষমতা থাকে বালিদ সুলতানের। তবে শেষ পর্যন্ত প্রায়োগিক দিক থেকে বালিদ সুলতান কখনোই সুলতানদের ছাপিয়ে যেতে পারেন না।

পারগালি ইব্রাহীম খাস কামরা প্রধানের দায়িত্ব প্রদানের জন্য কৃতজ্ঞতা ও দোয়া চাইলেন বালিদ সুলতানের কাছে। ইব্রাহীমকে সুলেমানের প্রতি চব্বিশ ঘণ্টা খেয়াল রাখার নির্দেশ দিলেন। ছেলের যেন কোনো কিছুর কমতি না হয়। সেই সঙ্গে দানা হালিলকে নির্দেশ দিলেন হারেমের মেয়েদের তৈরি রাখতে। পারগালির নির্দেশ মেনে যেন সুলতানের কাছে পাঠানো হয় এদের। তবে এদের দুজনকে আয়শা ডেকে পাঠিয়েছেন অন্য কারণে। নতুন সুলতানের অভিষেক উপলক্ষে রাজ্যজুড়ে আনন্দ উৎসবের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বিশেষ ভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর রাতের বেলায় হারেমে গান বাজনার আয়োজন থাকবে। স্বয়ং সুলতান সুলেমান সেখানে উপস্থিত থাকবেন। পারগালি ইব্রাহীম আর দানা হালিল দুজনেই তাদের কাজ বুঝে নিলেন।

ওদিকে রাতের উৎসব নিয়ে হারেমের মেয়েদের মধ্যে 

দারুণ প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। সবার মনের ভিতর একটাই আকাঙ্ক্ষা, নতুন সুলতানকে কীভাবে আকৃষ্ট করা যায়।

হারেমের যে অংশে নতুন মেয়েদের রাখা হয়েছে সে অংশে বসে আছে আলেকজান্দ্রা আর ইসাবেলা।

‘তুমিতো ভালো নাচতে পার। আমি কী দানা হালিলকে বলব যে আজ রাতে তুমি নাচতে চাও?’

আলেকজান্দ্রার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল ইসাবেলা। আলেকজান্দ্রা তখন চুপ।

নীরবতা ভেঙে একটু পর বলল,

‘নাহ! সবার সামনে ওভাবে নাচতে পারব না। আর দানা হালিল লোকটাকে দেখলেই আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।’

‘কিন্তু কিছু করার নেই। হারেমে সেই কিন্তু সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি। তাকে এড়িয়ে চলা মুশকিল।’

‘এরপরও! একটা মানুষ অমন বিচ্ছিরি কী করে হয়?’

‘আলেকজান্দ্রা, আমার কাছে কিন্তু খারাপ লাগে না। একটু অন্যরকম। তাছাড়া উনি তো একজন খোজা। তার কাছে কিন্তু আমাদের কোনো ঝুঁকি নেই!’

‘কী করে থাকবে? জিনিসপাতিই তো ঠিক নেই!’

বলেই হেসে উঠল আলেকজান্দ্রা। এখানে আসার পর এই প্রথম এভাবে হাসল আলেকজান্দ্রা। ক্রিমিয়ার পুরনো দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল আলেকজান্দ্রার। ইসাবেলা খেয়ার করল কয়েক মিনিটের মধ্যেই আলেকজান্দ্রার হাসিখুশি মুখটা কেমন যেন বেদনায় ভারাক্রান্ত হয়ে উঠল।

‘কী হয়েছে আলেক? কোনো সমস্যা?’

‘না... পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেছে।’

এবার ইসাবেলাও নিশ্চুপ।

আলেকজান্দ্রার দুই চোখ বেয়ে কয়েক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল।

রুহাটাইন নগরীর সেই দিনগুলো কতই না আনন্দের ছিল। কত স্বপ্ন ছিল আলেকজান্দ্রার। ধর্মযাজক বাবার  আদরের মেয়ে আলেকজান্দ্রা ছোটবেলা থেকেই গায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন। সেজন্য নিয়ম করে গান শিখেছেনও অনেকদিন। কিন্তু বর্বর ক্রিমিয়ার তাতারদের অভিযান ওর জীবনের সব স্বপ্ন ধূলিসাৎ  করে দেয়। সেই অভিযানে আলেকজান্দ্রার বাবা এবং মা নিহত হন। এরপর আলেকজান্দ্রার আশ্রয় হয় ক্রিমিয়ার কাফফায়। এখান থেকেই দাসী হিসেবে তাকে নিয়ে আসা হয় অটোমান হারেমে।

পরিবার হারিয়েছে ইসাবেলাও। তাই স্বজন হারানোর ব্যথাটা তারও অজানা নয়। এরপরও আলেকজান্দ্রাকে  সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করল সে।

‘শান্ত হও আলেকজান্দ্রা। আমরা কী করব বল? এটাই আমাদের নিয়তি। ভাগ্যই আমাদের এখানে টেনে এনেছে।’

‘তাই বলে এই জাহান্নামে?’

আলেকজান্দ্রার ক্রোধান্বিত প্রশ্ন।

‘জাহান্নাম কেন বলছ। আমরাতো বরং সুলতানের হারেমে বেশ আয়েশেই আছি। তুমি দেখনি অন্য সব দাসীদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হয়? তুমি কী ভুলে গেছ কাফফায় কাটানো দুর্বিষহ দিনগুলোর কথা?’

এবার একটু ভাবলো আলেকজান্দ্রা। সত্যিইতো। তাতাররা যখন ওদের বন্দী করে আনে তখন কী অমানুষিক অত্যাচার গেছে ওদের ওপর দিয়ে, তা বলে শেষ করা যাবে না। ঠিক মতো খাবার দিত না, কথায় কথায় গায়ে হাত দিত। কোনো পোশাক আশাকের ব্যবস্থাতো দূরে থাকুক গোসলের সুযোগ পর্যন্ত ছিল না। কাফফায় আসার পর দাস-দাসীদের বাজারে ওদের পণ্যের মতো তুলে ধরা হয়েছিল। দুষ্টু লোকগুলো সব খুঁটিয়ে, হাতড়ে-হুতড়ে দেখেছে ওদের। যেন ওরা মানুষ নয়, বাজারের আলু, পটোল। সেই দুর্বিষহ দিনের চেয়ে আজকের দিন সত্যি অনেক ভালো। মন্দের ভালো হিসেবে তাই এই দিনকে মেনে নিতেই হবে।

এসব ভেবে ভেবেই মন পাল্টে গেল আলেকজান্দ্রার।  চোয়াল শক্ত হয়ে এলো রাগে-ক্ষোভে অভিমানে। ইসাবেলার দিকে তাকিয়ে বলল

‘তোমার কী মনে হয়, আমি পারব সুলতানকে বশে আনতে?’

‘তুমি চেষ্টা করলে সব পারবে আলেক। তুমি সুন্দরী। গাইতে জানো। নাচতে জানো। তোমার চোখের গভীরতা যে কাউকেই আকৃষ্ট করবে। না পারার কোনো কারণ তো আমি দেখি না। তবে তোমার চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখা চলবে না।’

‘ধর আমি অনেক চেষ্টা করলাম। এরপরও যদি সফল হতে না পারি?’

আলেকজান্দ্রা তবু সংশয়ে থেকে যায়। ইসাবেলা এরপরও তাকে ভরসা দেওয়ার চেষ্টা করে।

‘ভয়ের কিছু নেই। কেন তুমি ভুলে গেলে একবার বাজি ধরে সারিয়াস নামের একটা ছেলেকে কীভাবে পটিয়ে ফেলেছিলে! কি ছ্যাঁকাটাই না খেয়েছিল ছেলেটা।’

ইসাবেলা হাসে। কিন্তু সে হাসি ছুঁতে পারে না আলেকজান্দ্রাকে।

‘দেখ ইসাবেলা, সারিয়াস ছিল একটা সাধারণ ছেলে। আর এখানে যিনি তিনি অটোমান সুলতান। সুলতান সুলেমান খান।’

‘সুলতান হোক আর যাই হোক, মানুষতো? মানবিক ব্যাপার স্যাপারের ঊর্ধ্বে তো আর নন তিনি?’

‘তা অবশ্য তুমি ঠিক বলেছ।’

‘...এই মেয়েরা এখানে বসে কী করছ। দ্রুত উঠে পড়। তোমাদের জন্য নতুন জামা রাখা আছে। সব বুঝে নাও। রাতের জলসার আগেই তৈরি হয়ে নাও। দ্রুত উঠে পড়। নইলে কিন্তু খবর করে ছেড়ে দেব।’

হাত দুলিয়ে দুলিয়ে ছন্দ করে বললেন হারেমের প্রধান রক্ষী দানা হালিল।

‘আমরা কী নাচ-গানে অংশ নিতে পারব দানা?’

আলেকজান্দ্রার প্রশ্ন শুনে রেগে গেলেন দানা হালিল। তবে প্রশ্নে নয়, রাগলেন সম্বোধনে।

‘দানা নয়, বলুন দানা হালিল। আমি তোমাদের বারবার বলেছি আমায় আমার পুরো নামে ডাকবে।   নইলে কিন্তু খবর করে ছেড়ে দেব।’

‘আচ্ছা আচ্ছা দানা হালিল এখন আমাদের বলুন যে আমরা নাচ-গানে অংশ নিতে পারব কি না।’

‘আপাতত তালিকায় কেবল পুরনো মেয়েদের রাখা হয়েছে। তোমাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে তোমরা প্রস্তুত থাকতে পার।’

‘অংশ নিতে না পারলে প্রস্তুতি নিয়ে কী লাভ?’

‘বাজে কথা বলবে না। যা বলেছি, তা শুনো। প্রস্তুত থাকবে আর খুব দ্রুত গোসল সেরে তৈরি হয়ে নাও। কথা না শুনলে কিন্তু খবর করে ছেড়ে দেব।’

‘কী খবর করবেন, দানা?’

বলে ফিক করে হেসে উঠলো আলেকজান্দ্রা। দানা হালিল যখন রাগে ফুঁসছেন। আলেকজান্দ্রা আর ইসাবেলা তখন হাসতে হাসতে সেখান থেকে বেরিয়ে গেছে। দানা হালিল ওদের গমন পথের দিকে তাকিয়ে কেবল রাগে ফুঁসছেন!

সারা রাজ্যজুড়েই নতুন সুলতানের অভিষেক উৎসব চলছে। দারুণ ভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছে নগরীর মোড়ে মোড়ে। সবখানে তাই সুলতান সুলেমানেরই জয়জয়কার। সবাই নতুন সুলতানের জন্য মন ভরে দোয়া করল।

এই আনন্দের ঢেউ বয়ে গেছে তোপকাপি প্রাসাদের ভিতরও। সবাই উপস্থিত হেরেমের জলসা ঘরে। সংগীত আর নৃত্যের আসর বসেছে। সন্ধ্যা নামার কিছুক্ষণ আগে তোপকাপি প্রাসাদে এসে পৌঁছেছেন সুলতানের স্ত্রী মাহিদেভরান সুলতান এবং তাদের একমাত্র পুত্র শাহজাদা মুস্তফা। আসর তাই একেবারে পরিপূর্ণ। একপাশের বড় আসন অলংকৃত করে বসে আছেন আয়শা হাফসা। তার ঠিক পাশেই মাহিদেভরান সুলতান। আছেন সুলেমানের বোন হেতিজা সুলতান। রাত ৯টার পর আসবেন সুলেমান। তিনি আসার কিছুক্ষণ পরই সেখান থেকে চলে যাবেন আয়শা, হেতিজা, মাহিদেভরানসহ অন্দরমহলের নারীরা। এরপর আরও কিছুক্ষণ চলবে নাচ-গান।

দানা হালিলকে ডেকে সুলেমানের আসার বিষয়ে খোঁজ নিলেন আয়শা হাফসা। সঙ্গে এও জিজ্ঞেস করলেন সুলেমানের জন্য বিশেষ আয়োজন রয়েছে কি না।

দানা হালিল বালিদ সুলতানকে সব নিশ্চিত করলেন। কতক্ষণ বাদেই পুরো রংমহল আলোকিত করে সেখানে উপস্থিত হলেন সবার নয়নের মণি স্বয়ং সুলতান সুলেমান খান। গানের সুর আর নৃত্যের ঝংকার থেমে গিয়েছিল। কিন্তু হাতের ইশারায় সব আগের মতো চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন সুলেমান। তার জন্য রাখা আসনে বসে সবার সঙ্গে শুভেচ্ছার দৃষ্টি বিনিময় করলেন সুলতান।

নাচ-গানের আয়োজন তখন তুঙ্গে। এ পর্ব শেষ হতেই অন্দরমহলের মেয়েরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করলেন। তবে হারেমের সেবাদাসীরা রয়ে গেলেন ঠিকই। পারগালি ইব্রাহীম ফেরাত পাশাসহ পদস্থদের ডাক পড়ল।

নাচ-গান আর বাদ্যের তালে সবাই যখন উন্মত্ত তখনই সুলেমানের দৃষ্টি কাড়ল এক জোড়া বাদামি ধূসর চোখ। হারেমের মেয়েগুলোর মধ্যে একেবারে পেছন দিকে গুটিসুটি মেরে বসে আছে। মাঝে মাঝে গলা উঁচু করে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে। সুলতান তখন একমনে তাকিয়ে আছেন মেয়েটির দিকে। ব্যাপারটা নজর এড়াল না পারগালির। কিছুক্ষণ না যেতেই সুলতানের কানের কাছে মুখ নিয়ে পারগালি বললেন

‘হুজুর আপনার খেদমতে খাস কামরা সাজানোর হুকুম দিয়েছেন বালিদ সুলতান। আপনি অনুমতি দিলে একজন পরীও রাখতে পারি, আপনার দুই চোখ যাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।’

পারগালির দিকে তাকিয়ে একটু হাসলেন সুলতান। তারপর ক্রিমীয় বাদামি চোখের মেয়েটার দিকে তাকালেন আরেকবার। সেখান থেকে ইব্রাহীমের দিকে তাকিয়ে আয়োজনের সম্মতি দিলেন।

গান আর নাচের তালে রাত বাড়ছে।

সুলতানের ভাবনায় কেবল সেই মেয়ে।

দানা হালিলকে ডেকে সুলতানের জন্য খাস কামরার আয়োজন করতে বললেন পারগালি। আঙ্গুলের ইশারায় সেই ক্রিমীয় দাসীটিকে দেখাতেও ভুল করলেন না। দানা হালিল একবার বললেন

‘পারগালি, ক্ষমা করবেন। ওরা নতুন মেয়ে। আদব কায়দা এখনো পুরোপুরি আয়ত্তে আনতে পারেনি। যদি কোনো ভুল করে বসে! আমি বলি কী এ যাত্রায় পুরনো মেয়েদের মধ্য থেকে কাউকে পাঠালে ভালো হয় না। পরে না হয় একে পাঠালাম।’

‘বেশি বুঝ না দানা হালিল। তোমার আর আমার পছন্দে কিছু আসে যায় না। পছন্দটা সুলতানের। আমি আবার বলছি পছন্দটা সুলতান সুলেমান খানের। অতএব মেয়ে যদি কোনো বেয়াদবি করেও তখন সেটার দায়ভারও তোমার। গর্দান তোমারই যাবে। অতএব কথা না বাড়িয়ে দ্রুত মেয়েটাকে তৈরি করে নিয়ে এসো।’

‘জি আচ্ছা। পারগালি।’

বলেই চলে যাচ্ছিল দানা হালিল। এরপর আবার পেছন ফিরে এসে বলল—

‘ক্ষমা করবেন পারগালি। আবার একটু বিরক্ত করছি আপনাকে। আমি কী আসর থেকে মেয়েটিকে নিয়ে যেতে পারি? ইয়ে মানে তৈরি করতে একটু সময় লাগবে তো... তাই।’

‘ঠিক আছে। কোনো সমস্যা নেই। তুমি নিয়ে যাও। কিন্তু যা করার খুব দ্রুত করতে হবে। জাঁহাপনাকে খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করানো যাবে না।’

‘আচ্ছা।’

বলেই দ্রুত আরেক প্রান্তে হাঁটা দিলেন দানা হালিল। ওর ব্যস্ততা বেড়ে গেছে।

সুলতান সুলেমানের দিকে তাকিয়ে একবারের জন্য মুচকি হাসলেন ইব্রাহীম পাশা। সুলতান কিছু বললেন না। চুপ থেকে নৃত্য দেখায় মনোযোগ দিলেন। এর মধ্যেই জলসা থেকে সুলতানের পছন্দের মেয়েটিকে নিয়ে গেছে।

সুলেমান বুঝতে পারলেন ইব্রাহীমের নির্দেশেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাই তিনি কিছু বললেন না। আরও কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর গানের অনুষ্ঠান বিরক্তিকর ঠেকল সুলেমানের কাছে।

ইশারায় সেটির সমাপ্তি করে দিয়ে নিজের খাস কামরার দিকে চলে গেলেন সুলেমান।

ততক্ষণে খাবার দেওয়া হয়েছে সেখানে। ইব্রাহীমকে নিয়ে সেখানে খাবার গ্রহণ করতে বসলেন সুলেমান।

খেতে খেতেই ইব্রাহীমকে প্রশ্ন করলেন

‘মেয়েটার নাম যেন কী পারগালি?’

‘হুজুর আলেকজান্দ্রা।’

‘তোমার স্মৃতিশক্তি কিন্তু অসাধারণ পারগালি।’

‘ধন্যবাদ হুজুর।’

‘কখন আসবে সে?’

‘এইতো ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই চলে আসার কথা।’

দুজনেই খাবার গ্রহণে ব্যস্ত। মাঝখানে একজন সেবাদাসী এগিয়ে এসে সুলতানকে খাবার এগিয়ে দিচ্ছেন। খাবার শেষ করেই ইব্রাহীম চলে গেছেন দানা হালিলের কাছে। প্রস্তুতি শেষ হলো কি না খোঁজ নিতে।

ওদিকে সুলেমান অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন আলেকজান্দ্রার জন্য। সাধারণ একজন সেবাদাসীর জন্য এমন ব্যাকুলতা কখনোই অনুভব করেননি সুলেমান। এই মেয়েটার মধ্যে অদ্ভুত কী যেন একটা আছে। কী অসাধারণ মায়াভরা সেই চোখ দুটি! সুলেমানের চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে উঠল আলেকজান্দ্রার মায়াভরা মুখখানি!

চলবে... পরবর্তী পর্ব আগামী শনিবার


বিডি প্রতিদিন/ ২৪ মে ২০১৬/ হিমেল-১৪

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
যশোর বোর্ডে এইচএসসিতে নতুন করে ৭২ শিক্ষার্থীর জিপিএ-৫
যশোর বোর্ডে এইচএসসিতে নতুন করে ৭২ শিক্ষার্থীর জিপিএ-৫

১৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নোয়াখালী বিভাগের দাবিতে ফের জেলা সমাবেশ
নোয়াখালী বিভাগের দাবিতে ফের জেলা সমাবেশ

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশে চালু হলো অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড
বাংলাদেশে চালু হলো অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড

২৬ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

ধনী দেশগুলো ব্যর্থ প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ধনী দেশগুলো ব্যর্থ প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

৩০ মিনিট আগে | জাতীয়

রেলওয়ের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রেলওয়ের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৫০৩ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৫০৩ মামলা

৩৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের
আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের

৩৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে এইচএসসিতে পুনর্নিরীক্ষণে ফেল থেকে পাস ৩৯৩ শিক্ষার্থী
চট্টগ্রামে এইচএসসিতে পুনর্নিরীক্ষণে ফেল থেকে পাস ৩৯৩ শিক্ষার্থী

৩৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

হায়দ্রাবাদে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৭
হায়দ্রাবাদে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৭

৩৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘরের মাঠে প্রথমবার ব্যর্থ জয়সওয়াল, দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্বনিম্ন রান
ঘরের মাঠে প্রথমবার ব্যর্থ জয়সওয়াল, দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্বনিম্ন রান

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর
রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাওয়ার টিলার উল্টে শ্রমিক নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাওয়ার টিলার উল্টে শ্রমিক নিহত

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি
ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি মুজিবুল হকের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ
সাবেক এমপি মুজিবুল হকের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

মওলানা ভাসানী সবসময় আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন: তারেক রহমান
মওলানা ভাসানী সবসময় আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন: তারেক রহমান

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ঝড়ের তাণ্ডবে পর্তুগালে ৩ মৃত্যু, ইংল্যান্ডে বন্যা
ঝড়ের তাণ্ডবে পর্তুগালে ৩ মৃত্যু, ইংল্যান্ডে বন্যা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে কুষ্টিয়ায় ট্রাকে আগুন
‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে কুষ্টিয়ায় ট্রাকে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধানের সংযুক্ত আরব আমিরাত গমন
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধানের সংযুক্ত আরব আমিরাত গমন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডেঙ্গু প্রতিরোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি
ডেঙ্গু প্রতিরোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বিএনপি এখনো ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থাশীল : রিজভী
বিএনপি এখনো ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থাশীল : রিজভী

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীদের অংশীদারিত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল অনুষ্ঠিত
‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীদের অংশীদারিত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হন কানকাটা কাদিরা, প্রবাসীসহ গ্রেপ্তার ৩
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হন কানকাটা কাদিরা, প্রবাসীসহ গ্রেপ্তার ৩

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শাহরিয়ার আলমের আয়কর নথি জব্দের আদেশ
শাহরিয়ার আলমের আয়কর নথি জব্দের আদেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণে পাশে ইউএস-বাংলা
পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণে পাশে ইউএস-বাংলা

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১২
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গঠনে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা
তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গঠনে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গভীররাতে কাশিয়ানীতে গাছ ফেলে মহাসড়ক অবরোধ
গভীররাতে কাশিয়ানীতে গাছ ফেলে মহাসড়ক অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আটক ১৫ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ
আটক ১৫ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজশাহীতে এইচএসসির পুনর্নিরীক্ষণে ফেল থেকে পাস ৫৩ শিক্ষার্থী
রাজশাহীতে এইচএসসির পুনর্নিরীক্ষণে ফেল থেকে পাস ৫৩ শিক্ষার্থী

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার
স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড
আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী
কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী
'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা
মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন
প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

১০ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে
আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে

১৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’
‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’

১৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও
সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তফসিলের আগে লটারির মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনকে আবারও ঢেলে সাজাবে সরকার
তফসিলের আগে লটারির মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনকে আবারও ঢেলে সাজাবে সরকার

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর
পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জামিন পেলেন হিরো আলম
জামিন পেলেন হিরো আলম

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তেহরানে আতঙ্কে বাসিন্দারা, বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা
তেহরানে আতঙ্কে বাসিন্দারা, বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই শিরোপার নায়ক রাসেলকেই বাদ দিল কেকেআর!
দুই শিরোপার নায়ক রাসেলকেই বাদ দিল কেকেআর!

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি
শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমেরিকা থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে এমভি উইকোটাটি
আমেরিকা থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে এমভি উইকোটাটি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি
নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি

শোবিজ

হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’

শোবিজ

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

উর্বশীর জীবন পরিবর্তন
উর্বশীর জীবন পরিবর্তন

শোবিজ

মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার
মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার

মাঠে ময়দানে

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের
দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের

মাঠে ময়দানে

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ইংল্যান্ডের পর ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া
ইংল্যান্ডের পর ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া

মাঠে ময়দানে

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা