শিরোনাম
প্রকাশ: ১২:৩২, মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬ আপডেট:

অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান পর্ব ৯

রণক ইকরাম
অনলাইন ভার্সন
অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান পর্ব ৯

‘সুলেমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট’ খ্যাত সুলতান সুলেমান পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সেরা শাসক ছিলেন। ক্ষমতার টানাপড়েনে ষড়যন্ত্র, গুপ্তহত্যা, সন্তান হত্যা-পিতৃহত্যা, দাসপ্রথা আর হেরেমের নানা পরিক্রমা ছাপিয়ে এগিয়ে গেছে সুলেমানের শাসনকাল। তার আমলেই আলেকজান্দ্রা নামের এক সাধারণ দাসী হয়ে ওঠেন সুলেমানের স্ত্রী ও সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় আসা সুলেমানকে নিয়ে ইতিহাস আশ্রয়ী এ উপন্যাস। এই উপন্যাসের সরাসরি কোনো উৎস নেই। তবে তথ্য-উপাত্তের মূল উৎস অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস বিষয়ক নানা বইপত্র। মূল চরিত্র আর গল্প ঠিক রেখে লেখক তার কল্পনায় তুলে এনেছেন সেই সময়টুকু। টিভি সিরিজ মুহতাশিম ইউজিয়েলের সঙ্গে আমাদের যেমন কোনো বিরোধ নেই, তেমনি এর অনুকরণেরও প্রশ্নই ওঠে না। এটি কেবল ইতিহাসের আশ্রয়ে আরও একটি রচনা।

১ম থেকে ৮ম পর্ব পর্যন্ত সুলেমান খানের গভর্নর জীবন ও সেখান থেকে অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতান হয়ে ওঠার গল্প তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল হেরেম জীবন, তোপকাপি প্রাসাদ, সুলতান সেলিম খানের মৃত্যু প্রভৃতি। সর্বশেষ ৮ম পর্বে এসে সুলেমান খান সুলতান হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন। নতুন অটোমান সুলতান হিসেবে তিনি তার দায়িত্ব পালনের যাবতীয় প্রস্তুতি সেরেছেন। মা আয়শা হাফসার আশীর্বাদ আর পরামর্শ সঙ্গে নিয়ে শুরু করেছেন নিজের সুলতানি জীবন। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ সভাসদ থেকে শুরু করে সব প্রান্ত থেকে অভিনন্দন গ্রহণ করেছেন। হেরেমের ভিতরের নতুন-পুরনো সব দাসীর মধ্যেও সুলতানকে নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই কিছুদিন আগে ক্রিমিয়া থেকে আসা আলেকজান্দ্রা নামের একটা মেয়ে সুলতানকে জয় করার স্বপ্ন দেখে। প্রতি শনিবারের এ বিশেষ আয়োজনে আজ ছাপা হলো নবম পর্ব।

[পূর্ব প্রকাশের পর]

নতুন অটোমান সূর্য আলো দেওয়া শুরু করেছে। সুলেমানের আভায় আস্তে আস্তে নতুন করে সাজতে শুরু করেছে কনস্টান্টিনোপল। পেছনে আয়শা হাফসার মতো আরও অনেক কুশীলব থাকলেও আগ্রহের কেন্দ্রে সুলেমানই। সবাই অধীর আগ্রহে তার রাজ-সিদ্ধান্তগুলো দেখার অপেক্ষায়। বিশেষ করে উজিরে আজমের পদ নিয়ে অনেক আলোচনা জল্পনা-কল্পনা হলো। সবাই মোটামুটি একটা ব্যাপারে নিশ্চিত যে পীরে মেহমুদ পাশার অবসরের সময় হয়ে গেছে। সুলতান সুলেমান খান হয়তো তাকে আর দায়িত্বে রাখবেন না। তাহলে কে হচ্ছেন অটোমানদের নতুন উজিরে আজম?

ফেরাত পাশাকে নিয়েই আলোচনাটা বেশি হচ্ছে। তিনিও মনে মনে নিজেকে উজিরে আজম হিসেবে প্রস্তুত করে রেখেছেন। এখন কেবল সুলতানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।  পীরে মেহমুদ পাশার বয়স যেমন বেড়েছে অন্যদিকে অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতান পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে উজিরে আজম পাল্টে যাওয়ার রীতিটা অনেক পুরনো। সেই হিসেবে পীরে মেহমুদ পাশার অবসরটাই স্বাভাবিক। এমনকি মেহমুদ পাশা নিজেই অবসর গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন। ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন অটোমান উজিরের গুরুত্বপূর্ণ সিলমোহর ‘হুমায়ুন।’

কিন্তু তখনো অনেক ঝলক অপেক্ষা করছিল কনস্টান্টিনোপল বাসির জন্য। নতুন সুলতান কেবল নিয়ম রক্ষার সুলতান হতেই সিংহাসনে বসেননি। বরং ইতিহাসের স্রোতধারা পাল্টে দেওয়ার গোপন অভিপ্রায় তার মনে। বিষয়টা টের পেতে খুব বেশি সময় লাগল না অটোমানদের।

সবার হিসাব-নিকাশ আর জল্পনা-কল্পনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে অভিজ্ঞ পীরে মেহমুদ পাশাকেই সুলেমানের উজিরে আজম ঘোষণা করা হলো। বাবা সেলিম খানের আমল থেকে অটোমান সাম্রাজ্যের সেবা করার জন্য সুলেমান অভিজ্ঞ মেহমুদ পাশার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এটুকু চমকই কিন্তু যথেষ্ট ছিল। সবাই বেশ ধাক্কা খেয়েছে। বিশেষত ফেরাত পাশা ও তার অনুসারীরা। এরপরই আরেকটি বিষয় ছিল আলোচনায়। সুলতানের খাস কামরা প্রধান বা একান্ত ব্যক্তিগত সচিবের পদটি। অটোমান সাম্রাজ্যে সুলতান এবং উজিরে আজমের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ এটিই। কারণ এই পদে নিয়োজিত মানুষটি মোটামুটি দিন রাতই সুলতানের সঙ্গে থাকেন। ফলে ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক— দুই ভাবেই সুলতানের খুব কাছাকাছি থাকার সুযোগ পান তিনি। ফলে রাষ্ট্রপরিচালনা এবং সুলতানের ব্যক্তিগত জীবনে বরাবরই এই পদের একটা দাপুটে প্রভাব থাকে। কে জানত এই পদে সুলতান যাকে বেছে নেবেন সেটিও অটোমানদের কাছে আরেকটি বিস্ময় হিসেবে আবির্ভূত হবে!

পারগালি ইব্রাহীমকেই নিজের খাস কামরা প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেছেন সুলতান। পীরে মেহমুদ পাশা কিঞ্চিৎ আপত্তি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভিনদেশি হোক আর যাই হোক সুলতানের পছন্দের ওপর আর কোনো কথা থাকে না। তাই হলো। অটোমানদের মধ্যে শুরু হলো কানাঘুষা। কেউ বলল ভালো হয়েছে আবার কেউ বলছে মন্দ। কিন্তু সুলতান ঠিক অবিচল।

পারগালি ইব্রাহীম কখনো ভাবেননি তার জন্য এত বড় একটা উপহার অপেক্ষা করছিল। খাস কামরা প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পর সুলতানের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা আরও বেড়ে গেল। এরই মধ্যে আয়শা হাফসা হারেমের প্রধান দানা হালিলকে দিয়ে  পারগালিকে ডেকে পাঠালেন। আয়শা হাফসা এখন বালিদ সুলতান। অটোমান সাম্রাজ্যে খুব কম নারীই বালিদ সুলতান হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। বালিদ সুলতান হচ্ছে সুলতানের মাতা। ক্ষমতাসীন সুলতান যে মায়ের গর্ভজাত সন্তান, তিনিই বালিদ সুলতান হওয়ার গৌরব লাভ করেন। কাগজে কলমে সুলতানের সমান পরিমাণ ক্ষমতা থাকে বালিদ সুলতানের। তবে শেষ পর্যন্ত প্রায়োগিক দিক থেকে বালিদ সুলতান কখনোই সুলতানদের ছাপিয়ে যেতে পারেন না।

পারগালি ইব্রাহীম খাস কামরা প্রধানের দায়িত্ব প্রদানের জন্য কৃতজ্ঞতা ও দোয়া চাইলেন বালিদ সুলতানের কাছে। ইব্রাহীমকে সুলেমানের প্রতি চব্বিশ ঘণ্টা খেয়াল রাখার নির্দেশ দিলেন। ছেলের যেন কোনো কিছুর কমতি না হয়। সেই সঙ্গে দানা হালিলকে নির্দেশ দিলেন হারেমের মেয়েদের তৈরি রাখতে। পারগালির নির্দেশ মেনে যেন সুলতানের কাছে পাঠানো হয় এদের। তবে এদের দুজনকে আয়শা ডেকে পাঠিয়েছেন অন্য কারণে। নতুন সুলতানের অভিষেক উপলক্ষে রাজ্যজুড়ে আনন্দ উৎসবের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বিশেষ ভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর রাতের বেলায় হারেমে গান বাজনার আয়োজন থাকবে। স্বয়ং সুলতান সুলেমান সেখানে উপস্থিত থাকবেন। পারগালি ইব্রাহীম আর দানা হালিল দুজনেই তাদের কাজ বুঝে নিলেন।

ওদিকে রাতের উৎসব নিয়ে হারেমের মেয়েদের মধ্যে 

দারুণ প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। সবার মনের ভিতর একটাই আকাঙ্ক্ষা, নতুন সুলতানকে কীভাবে আকৃষ্ট করা যায়।

হারেমের যে অংশে নতুন মেয়েদের রাখা হয়েছে সে অংশে বসে আছে আলেকজান্দ্রা আর ইসাবেলা।

‘তুমিতো ভালো নাচতে পার। আমি কী দানা হালিলকে বলব যে আজ রাতে তুমি নাচতে চাও?’

আলেকজান্দ্রার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল ইসাবেলা। আলেকজান্দ্রা তখন চুপ।

নীরবতা ভেঙে একটু পর বলল,

‘নাহ! সবার সামনে ওভাবে নাচতে পারব না। আর দানা হালিল লোকটাকে দেখলেই আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।’

‘কিন্তু কিছু করার নেই। হারেমে সেই কিন্তু সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি। তাকে এড়িয়ে চলা মুশকিল।’

‘এরপরও! একটা মানুষ অমন বিচ্ছিরি কী করে হয়?’

‘আলেকজান্দ্রা, আমার কাছে কিন্তু খারাপ লাগে না। একটু অন্যরকম। তাছাড়া উনি তো একজন খোজা। তার কাছে কিন্তু আমাদের কোনো ঝুঁকি নেই!’

‘কী করে থাকবে? জিনিসপাতিই তো ঠিক নেই!’

বলেই হেসে উঠল আলেকজান্দ্রা। এখানে আসার পর এই প্রথম এভাবে হাসল আলেকজান্দ্রা। ক্রিমিয়ার পুরনো দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল আলেকজান্দ্রার। ইসাবেলা খেয়ার করল কয়েক মিনিটের মধ্যেই আলেকজান্দ্রার হাসিখুশি মুখটা কেমন যেন বেদনায় ভারাক্রান্ত হয়ে উঠল।

‘কী হয়েছে আলেক? কোনো সমস্যা?’

‘না... পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেছে।’

এবার ইসাবেলাও নিশ্চুপ।

আলেকজান্দ্রার দুই চোখ বেয়ে কয়েক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল।

রুহাটাইন নগরীর সেই দিনগুলো কতই না আনন্দের ছিল। কত স্বপ্ন ছিল আলেকজান্দ্রার। ধর্মযাজক বাবার  আদরের মেয়ে আলেকজান্দ্রা ছোটবেলা থেকেই গায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন। সেজন্য নিয়ম করে গান শিখেছেনও অনেকদিন। কিন্তু বর্বর ক্রিমিয়ার তাতারদের অভিযান ওর জীবনের সব স্বপ্ন ধূলিসাৎ  করে দেয়। সেই অভিযানে আলেকজান্দ্রার বাবা এবং মা নিহত হন। এরপর আলেকজান্দ্রার আশ্রয় হয় ক্রিমিয়ার কাফফায়। এখান থেকেই দাসী হিসেবে তাকে নিয়ে আসা হয় অটোমান হারেমে।

পরিবার হারিয়েছে ইসাবেলাও। তাই স্বজন হারানোর ব্যথাটা তারও অজানা নয়। এরপরও আলেকজান্দ্রাকে  সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করল সে।

‘শান্ত হও আলেকজান্দ্রা। আমরা কী করব বল? এটাই আমাদের নিয়তি। ভাগ্যই আমাদের এখানে টেনে এনেছে।’

‘তাই বলে এই জাহান্নামে?’

আলেকজান্দ্রার ক্রোধান্বিত প্রশ্ন।

‘জাহান্নাম কেন বলছ। আমরাতো বরং সুলতানের হারেমে বেশ আয়েশেই আছি। তুমি দেখনি অন্য সব দাসীদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হয়? তুমি কী ভুলে গেছ কাফফায় কাটানো দুর্বিষহ দিনগুলোর কথা?’

এবার একটু ভাবলো আলেকজান্দ্রা। সত্যিইতো। তাতাররা যখন ওদের বন্দী করে আনে তখন কী অমানুষিক অত্যাচার গেছে ওদের ওপর দিয়ে, তা বলে শেষ করা যাবে না। ঠিক মতো খাবার দিত না, কথায় কথায় গায়ে হাত দিত। কোনো পোশাক আশাকের ব্যবস্থাতো দূরে থাকুক গোসলের সুযোগ পর্যন্ত ছিল না। কাফফায় আসার পর দাস-দাসীদের বাজারে ওদের পণ্যের মতো তুলে ধরা হয়েছিল। দুষ্টু লোকগুলো সব খুঁটিয়ে, হাতড়ে-হুতড়ে দেখেছে ওদের। যেন ওরা মানুষ নয়, বাজারের আলু, পটোল। সেই দুর্বিষহ দিনের চেয়ে আজকের দিন সত্যি অনেক ভালো। মন্দের ভালো হিসেবে তাই এই দিনকে মেনে নিতেই হবে।

এসব ভেবে ভেবেই মন পাল্টে গেল আলেকজান্দ্রার।  চোয়াল শক্ত হয়ে এলো রাগে-ক্ষোভে অভিমানে। ইসাবেলার দিকে তাকিয়ে বলল

‘তোমার কী মনে হয়, আমি পারব সুলতানকে বশে আনতে?’

‘তুমি চেষ্টা করলে সব পারবে আলেক। তুমি সুন্দরী। গাইতে জানো। নাচতে জানো। তোমার চোখের গভীরতা যে কাউকেই আকৃষ্ট করবে। না পারার কোনো কারণ তো আমি দেখি না। তবে তোমার চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখা চলবে না।’

‘ধর আমি অনেক চেষ্টা করলাম। এরপরও যদি সফল হতে না পারি?’

আলেকজান্দ্রা তবু সংশয়ে থেকে যায়। ইসাবেলা এরপরও তাকে ভরসা দেওয়ার চেষ্টা করে।

‘ভয়ের কিছু নেই। কেন তুমি ভুলে গেলে একবার বাজি ধরে সারিয়াস নামের একটা ছেলেকে কীভাবে পটিয়ে ফেলেছিলে! কি ছ্যাঁকাটাই না খেয়েছিল ছেলেটা।’

ইসাবেলা হাসে। কিন্তু সে হাসি ছুঁতে পারে না আলেকজান্দ্রাকে।

‘দেখ ইসাবেলা, সারিয়াস ছিল একটা সাধারণ ছেলে। আর এখানে যিনি তিনি অটোমান সুলতান। সুলতান সুলেমান খান।’

‘সুলতান হোক আর যাই হোক, মানুষতো? মানবিক ব্যাপার স্যাপারের ঊর্ধ্বে তো আর নন তিনি?’

‘তা অবশ্য তুমি ঠিক বলেছ।’

‘...এই মেয়েরা এখানে বসে কী করছ। দ্রুত উঠে পড়। তোমাদের জন্য নতুন জামা রাখা আছে। সব বুঝে নাও। রাতের জলসার আগেই তৈরি হয়ে নাও। দ্রুত উঠে পড়। নইলে কিন্তু খবর করে ছেড়ে দেব।’

হাত দুলিয়ে দুলিয়ে ছন্দ করে বললেন হারেমের প্রধান রক্ষী দানা হালিল।

‘আমরা কী নাচ-গানে অংশ নিতে পারব দানা?’

আলেকজান্দ্রার প্রশ্ন শুনে রেগে গেলেন দানা হালিল। তবে প্রশ্নে নয়, রাগলেন সম্বোধনে।

‘দানা নয়, বলুন দানা হালিল। আমি তোমাদের বারবার বলেছি আমায় আমার পুরো নামে ডাকবে।   নইলে কিন্তু খবর করে ছেড়ে দেব।’

‘আচ্ছা আচ্ছা দানা হালিল এখন আমাদের বলুন যে আমরা নাচ-গানে অংশ নিতে পারব কি না।’

‘আপাতত তালিকায় কেবল পুরনো মেয়েদের রাখা হয়েছে। তোমাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে তোমরা প্রস্তুত থাকতে পার।’

‘অংশ নিতে না পারলে প্রস্তুতি নিয়ে কী লাভ?’

‘বাজে কথা বলবে না। যা বলেছি, তা শুনো। প্রস্তুত থাকবে আর খুব দ্রুত গোসল সেরে তৈরি হয়ে নাও। কথা না শুনলে কিন্তু খবর করে ছেড়ে দেব।’

‘কী খবর করবেন, দানা?’

বলে ফিক করে হেসে উঠলো আলেকজান্দ্রা। দানা হালিল যখন রাগে ফুঁসছেন। আলেকজান্দ্রা আর ইসাবেলা তখন হাসতে হাসতে সেখান থেকে বেরিয়ে গেছে। দানা হালিল ওদের গমন পথের দিকে তাকিয়ে কেবল রাগে ফুঁসছেন!

সারা রাজ্যজুড়েই নতুন সুলতানের অভিষেক উৎসব চলছে। দারুণ ভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছে নগরীর মোড়ে মোড়ে। সবখানে তাই সুলতান সুলেমানেরই জয়জয়কার। সবাই নতুন সুলতানের জন্য মন ভরে দোয়া করল।

এই আনন্দের ঢেউ বয়ে গেছে তোপকাপি প্রাসাদের ভিতরও। সবাই উপস্থিত হেরেমের জলসা ঘরে। সংগীত আর নৃত্যের আসর বসেছে। সন্ধ্যা নামার কিছুক্ষণ আগে তোপকাপি প্রাসাদে এসে পৌঁছেছেন সুলতানের স্ত্রী মাহিদেভরান সুলতান এবং তাদের একমাত্র পুত্র শাহজাদা মুস্তফা। আসর তাই একেবারে পরিপূর্ণ। একপাশের বড় আসন অলংকৃত করে বসে আছেন আয়শা হাফসা। তার ঠিক পাশেই মাহিদেভরান সুলতান। আছেন সুলেমানের বোন হেতিজা সুলতান। রাত ৯টার পর আসবেন সুলেমান। তিনি আসার কিছুক্ষণ পরই সেখান থেকে চলে যাবেন আয়শা, হেতিজা, মাহিদেভরানসহ অন্দরমহলের নারীরা। এরপর আরও কিছুক্ষণ চলবে নাচ-গান।

দানা হালিলকে ডেকে সুলেমানের আসার বিষয়ে খোঁজ নিলেন আয়শা হাফসা। সঙ্গে এও জিজ্ঞেস করলেন সুলেমানের জন্য বিশেষ আয়োজন রয়েছে কি না।

দানা হালিল বালিদ সুলতানকে সব নিশ্চিত করলেন। কতক্ষণ বাদেই পুরো রংমহল আলোকিত করে সেখানে উপস্থিত হলেন সবার নয়নের মণি স্বয়ং সুলতান সুলেমান খান। গানের সুর আর নৃত্যের ঝংকার থেমে গিয়েছিল। কিন্তু হাতের ইশারায় সব আগের মতো চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন সুলেমান। তার জন্য রাখা আসনে বসে সবার সঙ্গে শুভেচ্ছার দৃষ্টি বিনিময় করলেন সুলতান।

নাচ-গানের আয়োজন তখন তুঙ্গে। এ পর্ব শেষ হতেই অন্দরমহলের মেয়েরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করলেন। তবে হারেমের সেবাদাসীরা রয়ে গেলেন ঠিকই। পারগালি ইব্রাহীম ফেরাত পাশাসহ পদস্থদের ডাক পড়ল।

নাচ-গান আর বাদ্যের তালে সবাই যখন উন্মত্ত তখনই সুলেমানের দৃষ্টি কাড়ল এক জোড়া বাদামি ধূসর চোখ। হারেমের মেয়েগুলোর মধ্যে একেবারে পেছন দিকে গুটিসুটি মেরে বসে আছে। মাঝে মাঝে গলা উঁচু করে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে। সুলতান তখন একমনে তাকিয়ে আছেন মেয়েটির দিকে। ব্যাপারটা নজর এড়াল না পারগালির। কিছুক্ষণ না যেতেই সুলতানের কানের কাছে মুখ নিয়ে পারগালি বললেন

‘হুজুর আপনার খেদমতে খাস কামরা সাজানোর হুকুম দিয়েছেন বালিদ সুলতান। আপনি অনুমতি দিলে একজন পরীও রাখতে পারি, আপনার দুই চোখ যাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।’

পারগালির দিকে তাকিয়ে একটু হাসলেন সুলতান। তারপর ক্রিমীয় বাদামি চোখের মেয়েটার দিকে তাকালেন আরেকবার। সেখান থেকে ইব্রাহীমের দিকে তাকিয়ে আয়োজনের সম্মতি দিলেন।

গান আর নাচের তালে রাত বাড়ছে।

সুলতানের ভাবনায় কেবল সেই মেয়ে।

দানা হালিলকে ডেকে সুলতানের জন্য খাস কামরার আয়োজন করতে বললেন পারগালি। আঙ্গুলের ইশারায় সেই ক্রিমীয় দাসীটিকে দেখাতেও ভুল করলেন না। দানা হালিল একবার বললেন

‘পারগালি, ক্ষমা করবেন। ওরা নতুন মেয়ে। আদব কায়দা এখনো পুরোপুরি আয়ত্তে আনতে পারেনি। যদি কোনো ভুল করে বসে! আমি বলি কী এ যাত্রায় পুরনো মেয়েদের মধ্য থেকে কাউকে পাঠালে ভালো হয় না। পরে না হয় একে পাঠালাম।’

‘বেশি বুঝ না দানা হালিল। তোমার আর আমার পছন্দে কিছু আসে যায় না। পছন্দটা সুলতানের। আমি আবার বলছি পছন্দটা সুলতান সুলেমান খানের। অতএব মেয়ে যদি কোনো বেয়াদবি করেও তখন সেটার দায়ভারও তোমার। গর্দান তোমারই যাবে। অতএব কথা না বাড়িয়ে দ্রুত মেয়েটাকে তৈরি করে নিয়ে এসো।’

‘জি আচ্ছা। পারগালি।’

বলেই চলে যাচ্ছিল দানা হালিল। এরপর আবার পেছন ফিরে এসে বলল—

‘ক্ষমা করবেন পারগালি। আবার একটু বিরক্ত করছি আপনাকে। আমি কী আসর থেকে মেয়েটিকে নিয়ে যেতে পারি? ইয়ে মানে তৈরি করতে একটু সময় লাগবে তো... তাই।’

‘ঠিক আছে। কোনো সমস্যা নেই। তুমি নিয়ে যাও। কিন্তু যা করার খুব দ্রুত করতে হবে। জাঁহাপনাকে খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করানো যাবে না।’

‘আচ্ছা।’

বলেই দ্রুত আরেক প্রান্তে হাঁটা দিলেন দানা হালিল। ওর ব্যস্ততা বেড়ে গেছে।

সুলতান সুলেমানের দিকে তাকিয়ে একবারের জন্য মুচকি হাসলেন ইব্রাহীম পাশা। সুলতান কিছু বললেন না। চুপ থেকে নৃত্য দেখায় মনোযোগ দিলেন। এর মধ্যেই জলসা থেকে সুলতানের পছন্দের মেয়েটিকে নিয়ে গেছে।

সুলেমান বুঝতে পারলেন ইব্রাহীমের নির্দেশেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাই তিনি কিছু বললেন না। আরও কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর গানের অনুষ্ঠান বিরক্তিকর ঠেকল সুলেমানের কাছে।

ইশারায় সেটির সমাপ্তি করে দিয়ে নিজের খাস কামরার দিকে চলে গেলেন সুলেমান।

ততক্ষণে খাবার দেওয়া হয়েছে সেখানে। ইব্রাহীমকে নিয়ে সেখানে খাবার গ্রহণ করতে বসলেন সুলেমান।

খেতে খেতেই ইব্রাহীমকে প্রশ্ন করলেন

‘মেয়েটার নাম যেন কী পারগালি?’

‘হুজুর আলেকজান্দ্রা।’

‘তোমার স্মৃতিশক্তি কিন্তু অসাধারণ পারগালি।’

‘ধন্যবাদ হুজুর।’

‘কখন আসবে সে?’

‘এইতো ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই চলে আসার কথা।’

দুজনেই খাবার গ্রহণে ব্যস্ত। মাঝখানে একজন সেবাদাসী এগিয়ে এসে সুলতানকে খাবার এগিয়ে দিচ্ছেন। খাবার শেষ করেই ইব্রাহীম চলে গেছেন দানা হালিলের কাছে। প্রস্তুতি শেষ হলো কি না খোঁজ নিতে।

ওদিকে সুলেমান অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন আলেকজান্দ্রার জন্য। সাধারণ একজন সেবাদাসীর জন্য এমন ব্যাকুলতা কখনোই অনুভব করেননি সুলেমান। এই মেয়েটার মধ্যে অদ্ভুত কী যেন একটা আছে। কী অসাধারণ মায়াভরা সেই চোখ দুটি! সুলেমানের চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে উঠল আলেকজান্দ্রার মায়াভরা মুখখানি!

চলবে... পরবর্তী পর্ব আগামী শনিবার


বিডি প্রতিদিন/ ২৪ মে ২০১৬/ হিমেল-১৪

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশ-মালদ্বীপের মধ্যে উচ্চশিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে নতুন সহযোগিতার অঙ্গীকার
বাংলাদেশ-মালদ্বীপের মধ্যে উচ্চশিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে নতুন সহযোগিতার অঙ্গীকার

এই মাত্র | পরবাস

স্ত্রী-কন্যাসহ র‍্যাবের সাবেক ডিজি হারুনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
স্ত্রী-কন্যাসহ র‍্যাবের সাবেক ডিজি হারুনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

১৭ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১১
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১১

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

প্রাথমিকের শিক্ষক পদে আবেদন করতে পারবেন না ধূমপায়ীরা
প্রাথমিকের শিক্ষক পদে আবেদন করতে পারবেন না ধূমপায়ীরা

৬ মিনিট আগে | জাতীয়

যে ‘মিথ্যাচারে’ কষ্ট পেয়েছেন লামিন ইয়ামাল
যে ‘মিথ্যাচারে’ কষ্ট পেয়েছেন লামিন ইয়ামাল

৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ভোলা-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীরকে সংবর্ধনা
ভোলা-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীরকে সংবর্ধনা

৮ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

কোরিয়ার কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় ব্রাজিলের
কোরিয়ার কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় ব্রাজিলের

১২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আমিরাতে সিলেট ডিভিশনাল এফসি দুবাইয়ের জার্সি উন্মোচন
আমিরাতে সিলেট ডিভিশনাল এফসি দুবাইয়ের জার্সি উন্মোচন

১৪ মিনিট আগে | পরবাস

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের দুই কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের দুই কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত

২১ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জামিন পেলেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম
জামিন পেলেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

ঢাবিতে শীতকালীন বইমেলা শুরু
ঢাবিতে শীতকালীন বইমেলা শুরু

৩২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা উত্তর কমিটি গঠন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা উত্তর কমিটি গঠন

৩৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

বাগেরহাটে ডেঙ্গু সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ
বাগেরহাটে ডেঙ্গু সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ

৩৫ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিচার শুরু
সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিচার শুরু

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ ১৬ নভেম্বর
এইচএসসির খাতা পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ ১৬ নভেম্বর

৪০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

গণতন্ত্র রক্ষায় প্রয়োজন অনুযায়ী সংবিধান সংশোধন করতে হবে:অ্যাটর্নি জেনারেল
গণতন্ত্র রক্ষায় প্রয়োজন অনুযায়ী সংবিধান সংশোধন করতে হবে:অ্যাটর্নি জেনারেল

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ৮০ হাজার ভিসা বাতিল
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ৮০ হাজার ভিসা বাতিল

৪৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমার শর্তে কাজ করতে রাজি হয়েছেন পরিচালক-প্রযোজকরা: শুভশ্রী
আমার শর্তে কাজ করতে রাজি হয়েছেন পরিচালক-প্রযোজকরা: শুভশ্রী

৪৭ মিনিট আগে | শোবিজ

৪ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্ক হবে : আমীর খসরু
৪ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্ক হবে : আমীর খসরু

৫৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

২০২৬ বিশ্বকাপে এলো মেসিদের নতুন জার্সি, দাম কত?
২০২৬ বিশ্বকাপে এলো মেসিদের নতুন জার্সি, দাম কত?

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিচারপতি হলেন সোমা সাইদ
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিচারপতি হলেন সোমা সাইদ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খেলাধুলাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা উচিত : ওয়াসিম আকরাম
খেলাধুলাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা উচিত : ওয়াসিম আকরাম

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জামায়াতসহ ৮ দলের গণমিছিলে পুলিশের বাধা
জামায়াতসহ ৮ দলের গণমিছিলে পুলিশের বাধা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৫৬তম টিআরসি ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
৫৬তম টিআরসি ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইন্টারনেটে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ালে ৫ বছর কারাদণ্ড , ৯৯ কোটি টাকা জরিমানা
ইন্টারনেটে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ালে ৫ বছর কারাদণ্ড , ৯৯ কোটি টাকা জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কমনওয়েলথ দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন লুবাবা
কমনওয়েলথ দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন লুবাবা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপিতে যোগদানের কারণ জানালেন স্নিগ্ধ
বিএনপিতে যোগদানের কারণ জানালেন স্নিগ্ধ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে : তারেক রহমান
মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে : তারেক রহমান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় লতিফ সিদ্দিকীর জামিন
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় লতিফ সিদ্দিকীর জামিন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে যেসব কর্মসূচি করবে বিএনপি
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে যেসব কর্মসূচি করবে বিএনপি

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
রুবাবা দৌলাকে নিয়ে রসিকতা, তোপের মুখে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ
রুবাবা দৌলাকে নিয়ে রসিকতা, তোপের মুখে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী অ্যাটর্নি জেনারেল
পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী অ্যাটর্নি জেনারেল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ
‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অবশেষে সিলেট-৪ আসনেই প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী
অবশেষে সিলেট-৪ আসনেই প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী

১২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না মামদানি
যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না মামদানি

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়
পাইলটের উড্ডয়নের ত্রুটির কারণে মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত হয়

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুনবাজার-রামপুরা ব্রিজ-কাকলী পর্যন্ত কাল থেকে যানজটের শঙ্কা
নতুনবাজার-রামপুরা ব্রিজ-কাকলী পর্যন্ত কাল থেকে যানজটের শঙ্কা

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় জামায়াত আমিরের নিন্দা
চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় জামায়াত আমিরের নিন্দা

১৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

পাকিস্তানে ৬৩৬ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের মজুত আবিষ্কারের দাবি
পাকিস্তানে ৬৩৬ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের মজুত আবিষ্কারের দাবি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ
গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ

১৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী মীর হেলালের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
চট্টগ্রাম-৫ আসনে বিএনপি প্রার্থী মীর হেলালের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

১৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত

১৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে বাংলাদেশ সীমান্তে রেখে পালালেন বাবা
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, ছেলেকে বাংলাদেশ সীমান্তে রেখে পালালেন বাবা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ না, টার্গেট ছিলেন বাবলা : সিএমপি কমিশনার
বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ না, টার্গেট ছিলেন বাবলা : সিএমপি কমিশনার

১৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে বৃহৎ প্রতিরক্ষা চুক্তি সই
ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে বৃহৎ প্রতিরক্ষা চুক্তি সই

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপিতে যোগদানের বিষয়ে যা বললেন রেজা কিবরিয়া
বিএনপিতে যোগদানের বিষয়ে যা বললেন রেজা কিবরিয়া

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রাথমিকে শিক্ষক পদে আবেদন শুরু ৮ নভেম্বর
প্রাথমিকে শিক্ষক পদে আবেদন শুরু ৮ নভেম্বর

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের উপহারের গম ফিরিয়ে দিয়েছিল তুরস্ক, দিল্লিকে বাঁচায় ইসরায়েল
ভারতের উপহারের গম ফিরিয়ে দিয়েছিল তুরস্ক, দিল্লিকে বাঁচায় ইসরায়েল

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের কাছে পারমাণবিক প্ল্যান বিক্রির চেষ্টা ভারতীয় ভুয়া বিজ্ঞানীর
ইরানের কাছে পারমাণবিক প্ল্যান বিক্রির চেষ্টা ভারতীয় ভুয়া বিজ্ঞানীর

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ
বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি মির্জা ফখরুলের
এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি মির্জা ফখরুলের

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তানজিন তিশার বিরুদ্ধে মামলা
তানজিন তিশার বিরুদ্ধে মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ট্রাম্পের হুমকি ‘অনিবার্য’ : মামদানি
ট্রাম্পের হুমকি ‘অনিবার্য’ : মামদানি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউরোপীয় সামরিক জোটে অংশীদারের মর্যাদা পেল ইউক্রেন
ইউরোপীয় সামরিক জোটে অংশীদারের মর্যাদা পেল ইউক্রেন

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমজনতার দল’ শীর্ষ দশে না থাকলে রাজনীতি ছাড়বেন তারেক
‘আমজনতার দল’ শীর্ষ দশে না থাকলে রাজনীতি ছাড়বেন তারেক

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

উত্তেজনা বাড়িয়ে এবার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিলেন পুতিন
উত্তেজনা বাড়িয়ে এবার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিলেন পুতিন

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক অকার্যকর ঘোষণা
পাঁচ শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক অকার্যকর ঘোষণা

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মেয়েকে যে অভ্যাস পরিবর্তন করতে বললেন শাহরুখ
মেয়েকে যে অভ্যাস পরিবর্তন করতে বললেন শাহরুখ

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক উপার্জনকারী অভিনেত্রীর তালিকায় রাশমিকা
সর্বাধিক উপার্জনকারী অভিনেত্রীর তালিকায় রাশমিকা

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

স্ত্রীসহ অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সেলিম মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
স্ত্রীসহ অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সেলিম মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
নির্বাচন ৫ অথবা ১২ ফেব্রুয়ারি
নির্বাচন ৫ অথবা ১২ ফেব্রুয়ারি

প্রথম পৃষ্ঠা

সিন্ডিকেটের খপ্পরে পিঁয়াজের বাজার
সিন্ডিকেটের খপ্পরে পিঁয়াজের বাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব মানুষ
অনলাইন জুয়ায় নিঃস্ব মানুষ

পেছনের পৃষ্ঠা

গণসংযোগের সময় গুলিতে বিএনপি প্রার্থী আহত, একজন নিহত
গণসংযোগের সময় গুলিতে বিএনপি প্রার্থী আহত, একজন নিহত

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দরকষাকষিতে ব্যস্ত দলগুলো
দরকষাকষিতে ব্যস্ত দলগুলো

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুল নকশায় ভোগান্তি
ভুল নকশায় ভোগান্তি

রকমারি নগর পরিক্রমা

সবার আগে বাংলাদেশ
সবার আগে বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নয় রায় ছিল অনুমাননির্ভর
তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে নয় রায় ছিল অনুমাননির্ভর

প্রথম পৃষ্ঠা

পদ ছেড়ে লড়বেন অ্যাটর্নি জেনারেল
পদ ছেড়ে লড়বেন অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রথম পৃষ্ঠা

এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি
এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি

পেছনের পৃষ্ঠা

বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?
বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পরকীয়ার বলি ব্যবসায়ী
স্ত্রীর পরকীয়ার বলি ব্যবসায়ী

দেশগ্রাম

ডেকে নিয়ে হত্যা দুই ব্যবসায়ী ও বৃদ্ধকে
ডেকে নিয়ে হত্যা দুই ব্যবসায়ী ও বৃদ্ধকে

দেশগ্রাম

সৌদির স্কুলে নিয়োগ পাচ্ছে ১৭ হাজার গানের শিক্ষক
সৌদির স্কুলে নিয়োগ পাচ্ছে ১৭ হাজার গানের শিক্ষক

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্রীড়াঙ্গনে অন্যরকম নভেম্বর
ক্রীড়াঙ্গনে অন্যরকম নভেম্বর

মাঠে ময়দানে

মশার কামড়ে ঝরছে প্রাণ
মশার কামড়ে ঝরছে প্রাণ

পেছনের পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে ডেনিম এক্সপো
আইসিসিবিতে ডেনিম এক্সপো

পেছনের পৃষ্ঠা

সংকটে আগুনে ঘি ঢেলে দেয় প্রথম আলো
সংকটে আগুনে ঘি ঢেলে দেয় প্রথম আলো

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা রাশিয়ার
ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা রাশিয়ার

পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত সেনাবাহিনী
নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত সেনাবাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

পদ্মার পানি ন্যায্য বণ্টনের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ
পদ্মার পানি ন্যায্য বণ্টনের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ

দেশগ্রাম

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ জরুরি
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ জরুরি

নগর জীবন

সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

নগর জীবন

ভোটার এলাকা পরিবর্তনের শেষ সময় ১০ নভেম্বর
ভোটার এলাকা পরিবর্তনের শেষ সময় ১০ নভেম্বর

প্রথম পৃষ্ঠা

বিরোধকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা দুই ভাগে বিভক্ত
বিরোধকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা দুই ভাগে বিভক্ত

নগর জীবন

সম্প্রসারণ শেষ না হতেই সড়ক বিভাজন
সম্প্রসারণ শেষ না হতেই সড়ক বিভাজন

রকমারি নগর পরিক্রমা

ফিলিপাইনে টাইফুনে প্রাণহানি বেড়ে ১০০
ফিলিপাইনে টাইফুনে প্রাণহানি বেড়ে ১০০

পূর্ব-পশ্চিম

কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত খতমে নবুয়ত
কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত খতমে নবুয়ত

নগর জীবন

অটোচালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার
অটোচালকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার

দেশগ্রাম