শিরোনাম
প্রকাশ: ১২:৩২, মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬ আপডেট:

অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান পর্ব ৯

রণক ইকরাম
অনলাইন ভার্সন
অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান পর্ব ৯

‘সুলেমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট’ খ্যাত সুলতান সুলেমান পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সেরা শাসক ছিলেন। ক্ষমতার টানাপড়েনে ষড়যন্ত্র, গুপ্তহত্যা, সন্তান হত্যা-পিতৃহত্যা, দাসপ্রথা আর হেরেমের নানা পরিক্রমা ছাপিয়ে এগিয়ে গেছে সুলেমানের শাসনকাল। তার আমলেই আলেকজান্দ্রা নামের এক সাধারণ দাসী হয়ে ওঠেন সুলেমানের স্ত্রী ও সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় আসা সুলেমানকে নিয়ে ইতিহাস আশ্রয়ী এ উপন্যাস। এই উপন্যাসের সরাসরি কোনো উৎস নেই। তবে তথ্য-উপাত্তের মূল উৎস অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস বিষয়ক নানা বইপত্র। মূল চরিত্র আর গল্প ঠিক রেখে লেখক তার কল্পনায় তুলে এনেছেন সেই সময়টুকু। টিভি সিরিজ মুহতাশিম ইউজিয়েলের সঙ্গে আমাদের যেমন কোনো বিরোধ নেই, তেমনি এর অনুকরণেরও প্রশ্নই ওঠে না। এটি কেবল ইতিহাসের আশ্রয়ে আরও একটি রচনা।

১ম থেকে ৮ম পর্ব পর্যন্ত সুলেমান খানের গভর্নর জীবন ও সেখান থেকে অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতান হয়ে ওঠার গল্প তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল হেরেম জীবন, তোপকাপি প্রাসাদ, সুলতান সেলিম খানের মৃত্যু প্রভৃতি। সর্বশেষ ৮ম পর্বে এসে সুলেমান খান সুলতান হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন। নতুন অটোমান সুলতান হিসেবে তিনি তার দায়িত্ব পালনের যাবতীয় প্রস্তুতি সেরেছেন। মা আয়শা হাফসার আশীর্বাদ আর পরামর্শ সঙ্গে নিয়ে শুরু করেছেন নিজের সুলতানি জীবন। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ সভাসদ থেকে শুরু করে সব প্রান্ত থেকে অভিনন্দন গ্রহণ করেছেন। হেরেমের ভিতরের নতুন-পুরনো সব দাসীর মধ্যেও সুলতানকে নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই কিছুদিন আগে ক্রিমিয়া থেকে আসা আলেকজান্দ্রা নামের একটা মেয়ে সুলতানকে জয় করার স্বপ্ন দেখে। প্রতি শনিবারের এ বিশেষ আয়োজনে আজ ছাপা হলো নবম পর্ব।

[পূর্ব প্রকাশের পর]

নতুন অটোমান সূর্য আলো দেওয়া শুরু করেছে। সুলেমানের আভায় আস্তে আস্তে নতুন করে সাজতে শুরু করেছে কনস্টান্টিনোপল। পেছনে আয়শা হাফসার মতো আরও অনেক কুশীলব থাকলেও আগ্রহের কেন্দ্রে সুলেমানই। সবাই অধীর আগ্রহে তার রাজ-সিদ্ধান্তগুলো দেখার অপেক্ষায়। বিশেষ করে উজিরে আজমের পদ নিয়ে অনেক আলোচনা জল্পনা-কল্পনা হলো। সবাই মোটামুটি একটা ব্যাপারে নিশ্চিত যে পীরে মেহমুদ পাশার অবসরের সময় হয়ে গেছে। সুলতান সুলেমান খান হয়তো তাকে আর দায়িত্বে রাখবেন না। তাহলে কে হচ্ছেন অটোমানদের নতুন উজিরে আজম?

ফেরাত পাশাকে নিয়েই আলোচনাটা বেশি হচ্ছে। তিনিও মনে মনে নিজেকে উজিরে আজম হিসেবে প্রস্তুত করে রেখেছেন। এখন কেবল সুলতানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।  পীরে মেহমুদ পাশার বয়স যেমন বেড়েছে অন্যদিকে অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতান পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে উজিরে আজম পাল্টে যাওয়ার রীতিটা অনেক পুরনো। সেই হিসেবে পীরে মেহমুদ পাশার অবসরটাই স্বাভাবিক। এমনকি মেহমুদ পাশা নিজেই অবসর গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন। ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন অটোমান উজিরের গুরুত্বপূর্ণ সিলমোহর ‘হুমায়ুন।’

কিন্তু তখনো অনেক ঝলক অপেক্ষা করছিল কনস্টান্টিনোপল বাসির জন্য। নতুন সুলতান কেবল নিয়ম রক্ষার সুলতান হতেই সিংহাসনে বসেননি। বরং ইতিহাসের স্রোতধারা পাল্টে দেওয়ার গোপন অভিপ্রায় তার মনে। বিষয়টা টের পেতে খুব বেশি সময় লাগল না অটোমানদের।

সবার হিসাব-নিকাশ আর জল্পনা-কল্পনাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে অভিজ্ঞ পীরে মেহমুদ পাশাকেই সুলেমানের উজিরে আজম ঘোষণা করা হলো। বাবা সেলিম খানের আমল থেকে অটোমান সাম্রাজ্যের সেবা করার জন্য সুলেমান অভিজ্ঞ মেহমুদ পাশার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এটুকু চমকই কিন্তু যথেষ্ট ছিল। সবাই বেশ ধাক্কা খেয়েছে। বিশেষত ফেরাত পাশা ও তার অনুসারীরা। এরপরই আরেকটি বিষয় ছিল আলোচনায়। সুলতানের খাস কামরা প্রধান বা একান্ত ব্যক্তিগত সচিবের পদটি। অটোমান সাম্রাজ্যে সুলতান এবং উজিরে আজমের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ এটিই। কারণ এই পদে নিয়োজিত মানুষটি মোটামুটি দিন রাতই সুলতানের সঙ্গে থাকেন। ফলে ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক— দুই ভাবেই সুলতানের খুব কাছাকাছি থাকার সুযোগ পান তিনি। ফলে রাষ্ট্রপরিচালনা এবং সুলতানের ব্যক্তিগত জীবনে বরাবরই এই পদের একটা দাপুটে প্রভাব থাকে। কে জানত এই পদে সুলতান যাকে বেছে নেবেন সেটিও অটোমানদের কাছে আরেকটি বিস্ময় হিসেবে আবির্ভূত হবে!

পারগালি ইব্রাহীমকেই নিজের খাস কামরা প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেছেন সুলতান। পীরে মেহমুদ পাশা কিঞ্চিৎ আপত্তি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ভিনদেশি হোক আর যাই হোক সুলতানের পছন্দের ওপর আর কোনো কথা থাকে না। তাই হলো। অটোমানদের মধ্যে শুরু হলো কানাঘুষা। কেউ বলল ভালো হয়েছে আবার কেউ বলছে মন্দ। কিন্তু সুলতান ঠিক অবিচল।

পারগালি ইব্রাহীম কখনো ভাবেননি তার জন্য এত বড় একটা উপহার অপেক্ষা করছিল। খাস কামরা প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পর সুলতানের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা আরও বেড়ে গেল। এরই মধ্যে আয়শা হাফসা হারেমের প্রধান দানা হালিলকে দিয়ে  পারগালিকে ডেকে পাঠালেন। আয়শা হাফসা এখন বালিদ সুলতান। অটোমান সাম্রাজ্যে খুব কম নারীই বালিদ সুলতান হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। বালিদ সুলতান হচ্ছে সুলতানের মাতা। ক্ষমতাসীন সুলতান যে মায়ের গর্ভজাত সন্তান, তিনিই বালিদ সুলতান হওয়ার গৌরব লাভ করেন। কাগজে কলমে সুলতানের সমান পরিমাণ ক্ষমতা থাকে বালিদ সুলতানের। তবে শেষ পর্যন্ত প্রায়োগিক দিক থেকে বালিদ সুলতান কখনোই সুলতানদের ছাপিয়ে যেতে পারেন না।

পারগালি ইব্রাহীম খাস কামরা প্রধানের দায়িত্ব প্রদানের জন্য কৃতজ্ঞতা ও দোয়া চাইলেন বালিদ সুলতানের কাছে। ইব্রাহীমকে সুলেমানের প্রতি চব্বিশ ঘণ্টা খেয়াল রাখার নির্দেশ দিলেন। ছেলের যেন কোনো কিছুর কমতি না হয়। সেই সঙ্গে দানা হালিলকে নির্দেশ দিলেন হারেমের মেয়েদের তৈরি রাখতে। পারগালির নির্দেশ মেনে যেন সুলতানের কাছে পাঠানো হয় এদের। তবে এদের দুজনকে আয়শা ডেকে পাঠিয়েছেন অন্য কারণে। নতুন সুলতানের অভিষেক উপলক্ষে রাজ্যজুড়ে আনন্দ উৎসবের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বিশেষ ভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর রাতের বেলায় হারেমে গান বাজনার আয়োজন থাকবে। স্বয়ং সুলতান সুলেমান সেখানে উপস্থিত থাকবেন। পারগালি ইব্রাহীম আর দানা হালিল দুজনেই তাদের কাজ বুঝে নিলেন।

ওদিকে রাতের উৎসব নিয়ে হারেমের মেয়েদের মধ্যে 

দারুণ প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। সবার মনের ভিতর একটাই আকাঙ্ক্ষা, নতুন সুলতানকে কীভাবে আকৃষ্ট করা যায়।

হারেমের যে অংশে নতুন মেয়েদের রাখা হয়েছে সে অংশে বসে আছে আলেকজান্দ্রা আর ইসাবেলা।

‘তুমিতো ভালো নাচতে পার। আমি কী দানা হালিলকে বলব যে আজ রাতে তুমি নাচতে চাও?’

আলেকজান্দ্রার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল ইসাবেলা। আলেকজান্দ্রা তখন চুপ।

নীরবতা ভেঙে একটু পর বলল,

‘নাহ! সবার সামনে ওভাবে নাচতে পারব না। আর দানা হালিল লোকটাকে দেখলেই আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।’

‘কিন্তু কিছু করার নেই। হারেমে সেই কিন্তু সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি। তাকে এড়িয়ে চলা মুশকিল।’

‘এরপরও! একটা মানুষ অমন বিচ্ছিরি কী করে হয়?’

‘আলেকজান্দ্রা, আমার কাছে কিন্তু খারাপ লাগে না। একটু অন্যরকম। তাছাড়া উনি তো একজন খোজা। তার কাছে কিন্তু আমাদের কোনো ঝুঁকি নেই!’

‘কী করে থাকবে? জিনিসপাতিই তো ঠিক নেই!’

বলেই হেসে উঠল আলেকজান্দ্রা। এখানে আসার পর এই প্রথম এভাবে হাসল আলেকজান্দ্রা। ক্রিমিয়ার পুরনো দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল আলেকজান্দ্রার। ইসাবেলা খেয়ার করল কয়েক মিনিটের মধ্যেই আলেকজান্দ্রার হাসিখুশি মুখটা কেমন যেন বেদনায় ভারাক্রান্ত হয়ে উঠল।

‘কী হয়েছে আলেক? কোনো সমস্যা?’

‘না... পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেছে।’

এবার ইসাবেলাও নিশ্চুপ।

আলেকজান্দ্রার দুই চোখ বেয়ে কয়েক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল।

রুহাটাইন নগরীর সেই দিনগুলো কতই না আনন্দের ছিল। কত স্বপ্ন ছিল আলেকজান্দ্রার। ধর্মযাজক বাবার  আদরের মেয়ে আলেকজান্দ্রা ছোটবেলা থেকেই গায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন। সেজন্য নিয়ম করে গান শিখেছেনও অনেকদিন। কিন্তু বর্বর ক্রিমিয়ার তাতারদের অভিযান ওর জীবনের সব স্বপ্ন ধূলিসাৎ  করে দেয়। সেই অভিযানে আলেকজান্দ্রার বাবা এবং মা নিহত হন। এরপর আলেকজান্দ্রার আশ্রয় হয় ক্রিমিয়ার কাফফায়। এখান থেকেই দাসী হিসেবে তাকে নিয়ে আসা হয় অটোমান হারেমে।

পরিবার হারিয়েছে ইসাবেলাও। তাই স্বজন হারানোর ব্যথাটা তারও অজানা নয়। এরপরও আলেকজান্দ্রাকে  সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করল সে।

‘শান্ত হও আলেকজান্দ্রা। আমরা কী করব বল? এটাই আমাদের নিয়তি। ভাগ্যই আমাদের এখানে টেনে এনেছে।’

‘তাই বলে এই জাহান্নামে?’

আলেকজান্দ্রার ক্রোধান্বিত প্রশ্ন।

‘জাহান্নাম কেন বলছ। আমরাতো বরং সুলতানের হারেমে বেশ আয়েশেই আছি। তুমি দেখনি অন্য সব দাসীদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হয়? তুমি কী ভুলে গেছ কাফফায় কাটানো দুর্বিষহ দিনগুলোর কথা?’

এবার একটু ভাবলো আলেকজান্দ্রা। সত্যিইতো। তাতাররা যখন ওদের বন্দী করে আনে তখন কী অমানুষিক অত্যাচার গেছে ওদের ওপর দিয়ে, তা বলে শেষ করা যাবে না। ঠিক মতো খাবার দিত না, কথায় কথায় গায়ে হাত দিত। কোনো পোশাক আশাকের ব্যবস্থাতো দূরে থাকুক গোসলের সুযোগ পর্যন্ত ছিল না। কাফফায় আসার পর দাস-দাসীদের বাজারে ওদের পণ্যের মতো তুলে ধরা হয়েছিল। দুষ্টু লোকগুলো সব খুঁটিয়ে, হাতড়ে-হুতড়ে দেখেছে ওদের। যেন ওরা মানুষ নয়, বাজারের আলু, পটোল। সেই দুর্বিষহ দিনের চেয়ে আজকের দিন সত্যি অনেক ভালো। মন্দের ভালো হিসেবে তাই এই দিনকে মেনে নিতেই হবে।

এসব ভেবে ভেবেই মন পাল্টে গেল আলেকজান্দ্রার।  চোয়াল শক্ত হয়ে এলো রাগে-ক্ষোভে অভিমানে। ইসাবেলার দিকে তাকিয়ে বলল

‘তোমার কী মনে হয়, আমি পারব সুলতানকে বশে আনতে?’

‘তুমি চেষ্টা করলে সব পারবে আলেক। তুমি সুন্দরী। গাইতে জানো। নাচতে জানো। তোমার চোখের গভীরতা যে কাউকেই আকৃষ্ট করবে। না পারার কোনো কারণ তো আমি দেখি না। তবে তোমার চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখা চলবে না।’

‘ধর আমি অনেক চেষ্টা করলাম। এরপরও যদি সফল হতে না পারি?’

আলেকজান্দ্রা তবু সংশয়ে থেকে যায়। ইসাবেলা এরপরও তাকে ভরসা দেওয়ার চেষ্টা করে।

‘ভয়ের কিছু নেই। কেন তুমি ভুলে গেলে একবার বাজি ধরে সারিয়াস নামের একটা ছেলেকে কীভাবে পটিয়ে ফেলেছিলে! কি ছ্যাঁকাটাই না খেয়েছিল ছেলেটা।’

ইসাবেলা হাসে। কিন্তু সে হাসি ছুঁতে পারে না আলেকজান্দ্রাকে।

‘দেখ ইসাবেলা, সারিয়াস ছিল একটা সাধারণ ছেলে। আর এখানে যিনি তিনি অটোমান সুলতান। সুলতান সুলেমান খান।’

‘সুলতান হোক আর যাই হোক, মানুষতো? মানবিক ব্যাপার স্যাপারের ঊর্ধ্বে তো আর নন তিনি?’

‘তা অবশ্য তুমি ঠিক বলেছ।’

‘...এই মেয়েরা এখানে বসে কী করছ। দ্রুত উঠে পড়। তোমাদের জন্য নতুন জামা রাখা আছে। সব বুঝে নাও। রাতের জলসার আগেই তৈরি হয়ে নাও। দ্রুত উঠে পড়। নইলে কিন্তু খবর করে ছেড়ে দেব।’

হাত দুলিয়ে দুলিয়ে ছন্দ করে বললেন হারেমের প্রধান রক্ষী দানা হালিল।

‘আমরা কী নাচ-গানে অংশ নিতে পারব দানা?’

আলেকজান্দ্রার প্রশ্ন শুনে রেগে গেলেন দানা হালিল। তবে প্রশ্নে নয়, রাগলেন সম্বোধনে।

‘দানা নয়, বলুন দানা হালিল। আমি তোমাদের বারবার বলেছি আমায় আমার পুরো নামে ডাকবে।   নইলে কিন্তু খবর করে ছেড়ে দেব।’

‘আচ্ছা আচ্ছা দানা হালিল এখন আমাদের বলুন যে আমরা নাচ-গানে অংশ নিতে পারব কি না।’

‘আপাতত তালিকায় কেবল পুরনো মেয়েদের রাখা হয়েছে। তোমাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে তোমরা প্রস্তুত থাকতে পার।’

‘অংশ নিতে না পারলে প্রস্তুতি নিয়ে কী লাভ?’

‘বাজে কথা বলবে না। যা বলেছি, তা শুনো। প্রস্তুত থাকবে আর খুব দ্রুত গোসল সেরে তৈরি হয়ে নাও। কথা না শুনলে কিন্তু খবর করে ছেড়ে দেব।’

‘কী খবর করবেন, দানা?’

বলে ফিক করে হেসে উঠলো আলেকজান্দ্রা। দানা হালিল যখন রাগে ফুঁসছেন। আলেকজান্দ্রা আর ইসাবেলা তখন হাসতে হাসতে সেখান থেকে বেরিয়ে গেছে। দানা হালিল ওদের গমন পথের দিকে তাকিয়ে কেবল রাগে ফুঁসছেন!

সারা রাজ্যজুড়েই নতুন সুলতানের অভিষেক উৎসব চলছে। দারুণ ভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছে নগরীর মোড়ে মোড়ে। সবখানে তাই সুলতান সুলেমানেরই জয়জয়কার। সবাই নতুন সুলতানের জন্য মন ভরে দোয়া করল।

এই আনন্দের ঢেউ বয়ে গেছে তোপকাপি প্রাসাদের ভিতরও। সবাই উপস্থিত হেরেমের জলসা ঘরে। সংগীত আর নৃত্যের আসর বসেছে। সন্ধ্যা নামার কিছুক্ষণ আগে তোপকাপি প্রাসাদে এসে পৌঁছেছেন সুলতানের স্ত্রী মাহিদেভরান সুলতান এবং তাদের একমাত্র পুত্র শাহজাদা মুস্তফা। আসর তাই একেবারে পরিপূর্ণ। একপাশের বড় আসন অলংকৃত করে বসে আছেন আয়শা হাফসা। তার ঠিক পাশেই মাহিদেভরান সুলতান। আছেন সুলেমানের বোন হেতিজা সুলতান। রাত ৯টার পর আসবেন সুলেমান। তিনি আসার কিছুক্ষণ পরই সেখান থেকে চলে যাবেন আয়শা, হেতিজা, মাহিদেভরানসহ অন্দরমহলের নারীরা। এরপর আরও কিছুক্ষণ চলবে নাচ-গান।

দানা হালিলকে ডেকে সুলেমানের আসার বিষয়ে খোঁজ নিলেন আয়শা হাফসা। সঙ্গে এও জিজ্ঞেস করলেন সুলেমানের জন্য বিশেষ আয়োজন রয়েছে কি না।

দানা হালিল বালিদ সুলতানকে সব নিশ্চিত করলেন। কতক্ষণ বাদেই পুরো রংমহল আলোকিত করে সেখানে উপস্থিত হলেন সবার নয়নের মণি স্বয়ং সুলতান সুলেমান খান। গানের সুর আর নৃত্যের ঝংকার থেমে গিয়েছিল। কিন্তু হাতের ইশারায় সব আগের মতো চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন সুলেমান। তার জন্য রাখা আসনে বসে সবার সঙ্গে শুভেচ্ছার দৃষ্টি বিনিময় করলেন সুলতান।

নাচ-গানের আয়োজন তখন তুঙ্গে। এ পর্ব শেষ হতেই অন্দরমহলের মেয়েরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করলেন। তবে হারেমের সেবাদাসীরা রয়ে গেলেন ঠিকই। পারগালি ইব্রাহীম ফেরাত পাশাসহ পদস্থদের ডাক পড়ল।

নাচ-গান আর বাদ্যের তালে সবাই যখন উন্মত্ত তখনই সুলেমানের দৃষ্টি কাড়ল এক জোড়া বাদামি ধূসর চোখ। হারেমের মেয়েগুলোর মধ্যে একেবারে পেছন দিকে গুটিসুটি মেরে বসে আছে। মাঝে মাঝে গলা উঁচু করে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে। সুলতান তখন একমনে তাকিয়ে আছেন মেয়েটির দিকে। ব্যাপারটা নজর এড়াল না পারগালির। কিছুক্ষণ না যেতেই সুলতানের কানের কাছে মুখ নিয়ে পারগালি বললেন

‘হুজুর আপনার খেদমতে খাস কামরা সাজানোর হুকুম দিয়েছেন বালিদ সুলতান। আপনি অনুমতি দিলে একজন পরীও রাখতে পারি, আপনার দুই চোখ যাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।’

পারগালির দিকে তাকিয়ে একটু হাসলেন সুলতান। তারপর ক্রিমীয় বাদামি চোখের মেয়েটার দিকে তাকালেন আরেকবার। সেখান থেকে ইব্রাহীমের দিকে তাকিয়ে আয়োজনের সম্মতি দিলেন।

গান আর নাচের তালে রাত বাড়ছে।

সুলতানের ভাবনায় কেবল সেই মেয়ে।

দানা হালিলকে ডেকে সুলতানের জন্য খাস কামরার আয়োজন করতে বললেন পারগালি। আঙ্গুলের ইশারায় সেই ক্রিমীয় দাসীটিকে দেখাতেও ভুল করলেন না। দানা হালিল একবার বললেন

‘পারগালি, ক্ষমা করবেন। ওরা নতুন মেয়ে। আদব কায়দা এখনো পুরোপুরি আয়ত্তে আনতে পারেনি। যদি কোনো ভুল করে বসে! আমি বলি কী এ যাত্রায় পুরনো মেয়েদের মধ্য থেকে কাউকে পাঠালে ভালো হয় না। পরে না হয় একে পাঠালাম।’

‘বেশি বুঝ না দানা হালিল। তোমার আর আমার পছন্দে কিছু আসে যায় না। পছন্দটা সুলতানের। আমি আবার বলছি পছন্দটা সুলতান সুলেমান খানের। অতএব মেয়ে যদি কোনো বেয়াদবি করেও তখন সেটার দায়ভারও তোমার। গর্দান তোমারই যাবে। অতএব কথা না বাড়িয়ে দ্রুত মেয়েটাকে তৈরি করে নিয়ে এসো।’

‘জি আচ্ছা। পারগালি।’

বলেই চলে যাচ্ছিল দানা হালিল। এরপর আবার পেছন ফিরে এসে বলল—

‘ক্ষমা করবেন পারগালি। আবার একটু বিরক্ত করছি আপনাকে। আমি কী আসর থেকে মেয়েটিকে নিয়ে যেতে পারি? ইয়ে মানে তৈরি করতে একটু সময় লাগবে তো... তাই।’

‘ঠিক আছে। কোনো সমস্যা নেই। তুমি নিয়ে যাও। কিন্তু যা করার খুব দ্রুত করতে হবে। জাঁহাপনাকে খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করানো যাবে না।’

‘আচ্ছা।’

বলেই দ্রুত আরেক প্রান্তে হাঁটা দিলেন দানা হালিল। ওর ব্যস্ততা বেড়ে গেছে।

সুলতান সুলেমানের দিকে তাকিয়ে একবারের জন্য মুচকি হাসলেন ইব্রাহীম পাশা। সুলতান কিছু বললেন না। চুপ থেকে নৃত্য দেখায় মনোযোগ দিলেন। এর মধ্যেই জলসা থেকে সুলতানের পছন্দের মেয়েটিকে নিয়ে গেছে।

সুলেমান বুঝতে পারলেন ইব্রাহীমের নির্দেশেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাই তিনি কিছু বললেন না। আরও কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর গানের অনুষ্ঠান বিরক্তিকর ঠেকল সুলেমানের কাছে।

ইশারায় সেটির সমাপ্তি করে দিয়ে নিজের খাস কামরার দিকে চলে গেলেন সুলেমান।

ততক্ষণে খাবার দেওয়া হয়েছে সেখানে। ইব্রাহীমকে নিয়ে সেখানে খাবার গ্রহণ করতে বসলেন সুলেমান।

খেতে খেতেই ইব্রাহীমকে প্রশ্ন করলেন

‘মেয়েটার নাম যেন কী পারগালি?’

‘হুজুর আলেকজান্দ্রা।’

‘তোমার স্মৃতিশক্তি কিন্তু অসাধারণ পারগালি।’

‘ধন্যবাদ হুজুর।’

‘কখন আসবে সে?’

‘এইতো ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই চলে আসার কথা।’

দুজনেই খাবার গ্রহণে ব্যস্ত। মাঝখানে একজন সেবাদাসী এগিয়ে এসে সুলতানকে খাবার এগিয়ে দিচ্ছেন। খাবার শেষ করেই ইব্রাহীম চলে গেছেন দানা হালিলের কাছে। প্রস্তুতি শেষ হলো কি না খোঁজ নিতে।

ওদিকে সুলেমান অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন আলেকজান্দ্রার জন্য। সাধারণ একজন সেবাদাসীর জন্য এমন ব্যাকুলতা কখনোই অনুভব করেননি সুলেমান। এই মেয়েটার মধ্যে অদ্ভুত কী যেন একটা আছে। কী অসাধারণ মায়াভরা সেই চোখ দুটি! সুলেমানের চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে উঠল আলেকজান্দ্রার মায়াভরা মুখখানি!

চলবে... পরবর্তী পর্ব আগামী শনিবার


বিডি প্রতিদিন/ ২৪ মে ২০১৬/ হিমেল-১৪

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
রাখাইনে চীনা প্রকল্পের এলাকায় সংঘর্ষ, ৩০ জান্তা নিহত
রাখাইনে চীনা প্রকল্পের এলাকায় সংঘর্ষ, ৩০ জান্তা নিহত

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অন্ধ কুকুরকে গুলি, কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন মালিক
অন্ধ কুকুরকে গুলি, কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন মালিক

৫ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

ঝিনাইগাতীতে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
ঝিনাইগাতীতে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ছেলের নাম জানল রাঘব-পরিণীতি
ছেলের নাম জানল রাঘব-পরিণীতি

৭ মিনিট আগে | শোবিজ

মাইলফলকের ম্যাচে মুশফিকের ফিফটি
মাইলফলকের ম্যাচে মুশফিকের ফিফটি

১৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে সৎমা গ্রেফতার
ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে সৎমা গ্রেফতার

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজশাহীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ কর্মীসহ গ্রেপ্তার ১৭
রাজশাহীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ কর্মীসহ গ্রেপ্তার ১৭

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অত্যাধুনিক চীনা সাবমেরিন পাচ্ছে পাকিস্তান, ভারতের আধিপত্যে চ্যালেঞ্জ
অত্যাধুনিক চীনা সাবমেরিন পাচ্ছে পাকিস্তান, ভারতের আধিপত্যে চ্যালেঞ্জ

২৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১১
রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১১

২৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

শাকসু নির্বাচন : খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ বৃহস্পতিবার
শাকসু নির্বাচন : খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ বৃহস্পতিবার

২৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে শুভসূচনা পাকিস্তানের
জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে শুভসূচনা পাকিস্তানের

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নারী ক্রিকেটারদের নিয়ে লিঙ্গ সংবেদনশীলতা কর্মশালা
নারী ক্রিকেটারদের নিয়ে লিঙ্গ সংবেদনশীলতা কর্মশালা

৩২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মানুষ মৃত্যুর চেয়ে বদনামকে বেশি ভয় করে: জিতু কমল
মানুষ মৃত্যুর চেয়ে বদনামকে বেশি ভয় করে: জিতু কমল

৩৩ মিনিট আগে | শোবিজ

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

৩৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে : মির্জা ফখরুল
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে : মির্জা ফখরুল

৩৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

৪৫ মিনিট আগে | জাতীয়

নির্বাচন কমিশনকে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান জোনায়েদ সাকির
নির্বাচন কমিশনকে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান জোনায়েদ সাকির

৪৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় কয়েক দফা হামলা ইউক্রেনের
মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় কয়েক দফা হামলা ইউক্রেনের

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট
গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

৫৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

সাংবাদিক সোহেলকে ডিবি তুলে নেওয়ার বিষয়ে যা বলল টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়
সাংবাদিক সোহেলকে ডিবি তুলে নেওয়ার বিষয়ে যা বলল টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চীনা জাদুঘরে মিলছে তেলাপোকা ও পিঁপড়ার কফি
চীনা জাদুঘরে মিলছে তেলাপোকা ও পিঁপড়ার কফি

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কুষ্টিয়ায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন
কুষ্টিয়ায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিথিলাকে ভোট দেওয়ার শেষ দিন আজ
মিথিলাকে ভোট দেওয়ার শেষ দিন আজ

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গণঅভ্যুত্থানে অংশীজনদের নিয়ে আসন সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি: নুর
গণঅভ্যুত্থানে অংশীজনদের নিয়ে আসন সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি: নুর

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২৮ বছর পর বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে স্কটল্যান্ড
২৮ বছর পর বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে স্কটল্যান্ড

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লালমনিরহাটে কৃষকের পাকা ধান কেটে দিল জেলা কৃষকদল
লালমনিরহাটে কৃষকের পাকা ধান কেটে দিল জেলা কৃষকদল

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারীদের পেছনে রেখে পুরুষরা এগিয়ে যেতে পারবে না : ধর্ম উপদেষ্টা
নারীদের পেছনে রেখে পুরুষরা এগিয়ে যেতে পারবে না : ধর্ম উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রমজানের আগে ছোলা-খেজুরসহ ছয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে
রমজানের আগে ছোলা-খেজুরসহ ছয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’
তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উত্তর কুয়েতে ৭,৭০০ বছরের প্রাচীন ভাটির সন্ধান
উত্তর কুয়েতে ৭,৭০০ বছরের প্রাচীন ভাটির সন্ধান

২২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের
কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা
তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা