লোকসভা নির্বাচনের শেষ পর্ব শেষ হলো সোমবার বিকেল ৬টায়। এদিন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ভোটদানের হার ৮০.২৬ শতাংশ।
প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৯ সালের তুলনায় ভোট কমলেও রাজ্যজুড়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আধিপত্য অটুট থাকছে। অন্যান্য সংস্থার সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, কোচবিহার, বালুরঘাট, রায়গঞ্জ, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, হুগলি, আরামবাগ, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্বাপুর, বোলপুর, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, আসানসোল, বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রাণাঘাট, বনগাঁ, ব্যারাকপুর, দমদম, বারাসত, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল কেন্দ্রগুলি নিজেদের কব্জায় রাখতে সফল হবে ঘাসফুল শিবির।
অন্যদিকে, প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত ঘাঁটি বলে পরিচিত জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ এবং মালদা উত্তর ও দক্ষিণ আসনগুলি ধরে রাখতে চলেছে কংগ্রেস।
তৃণমূলের একচেটিয়া সাফল্যের পাশে তুলনায় যথেষ্টই ম্লান বামেরা। বুথ ফেরত মানুষ জানাচ্ছেন, রাজ্যে সাকুল্যে তিনটি আসন পেতে চলেছেন তারা। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও বসিরহাট আসনে জয়লাভ করতে পারেন বাম প্রার্থীরা, জানাচ্ছে অন্যান্য সমীক্ষা।
পশ্চিমবঙ্গের ভোট সমীক্ষার হিসেব ধরলে গোটা পূর্ব ভারতে ইউপিএ ১৮টি, এনডিএ ৩৮টি এবং অন্যান্যরা মোট ৬১টি আসন পাবে বলে টাইমস নাও-ওআরজি-র সমীক্ষা রিপোর্টে জানা গিয়েছে।