মন্ত্রিসভা নিয়ে এখনও নিজের পরিকল্পনার কথা দলীয় মহলে প্রকাশ করেননি হবু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে এই বিপুল জয় বদলে দিচ্ছে অনেক সমীকরণ। এর আগে যে সব বিষয় নিয়ে মোদি অনড় ছিলেন, এখন তাতে অনেকটা নরম হয়েছেন। অর্থ, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যে কোনও সরকারের কাছে সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ। রাজনাথ সিং স্বরাষ্ট্র, অরুণ জেটলি অর্থ এবং সুষমা যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় চান।
বিজেপি সূত্রের খবর, সুষমার মন্ত্রিপদ অনেকটাই নির্ভর করছে আরএসএসের ওপর, বিশেষ করে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী সঙ্ঘ নেতা সুরেশ সোনির ওপর। মধ্যপ্রদেশের লোক সুরেশ সোনি চাইছেন, মন্ত্রিসভায় সুষমাকে যেন গুরুত্ব দেন মোদি। নতুন মন্ত্রিসভায় যে সব নেতার ঠাঁই পাওয়া অনেকটাই নিশ্চিত তার মধ্যে রয়েছেন স্মৃতি ইরানি, নীতিন গড়করি, হর্ষবর্ধন, রবিশঙ্কর প্রসাদ, রাজীব প্রতাপ রুডি, পীযূষ গোয়েল, মীনাক্ষি লেখি, অনুরাগ ঠাকুর, উমা ভারতীরা। ঠাঁই পেতে পারেন ভি কে সিং, যিনি মোদির পরেই বেশি ভোটে গাজিয়াবাদ থেকে জিতে এসেছেন। তামিলনাড়ু থেকে মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন পন্নু রধাকৃষ্ণন।
এদিকে, শুক্রবারই মোদি বলে দিয়েছেন, স্বাধীনতার পরে যারা জন্মেছেন, সরকার তারা চালাবেন। সেটা হলে মন্ত্রিসভায় বিজেপির বয়স্ক নেতাদের ঠাঁই হওয়ার কথা নয়। আদভানি, যোশী, যশবন্ত সিনহা, ভুবনচন্দ খান্ডৌরিদের মন্ত্রিসভার বাইরে থাকার কথা।