ফুটবলারদের ফোকাস ও ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য অনেক দলের কোচ বউ কিংবা বান্ধবীর সঙ্গে বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে সেক্সের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। সেটাই এখন ব্রাজিল বিশ্বকাপের ‘হট টপিক’। অনেকে বলছেন এটা ‘অমানবিক’। আর কেউবা বলছেন ফুটবলারদের এরকম শৃঙ্খলার মাঝে রাখা খারাপ কিছু নয়। এ নিয়েই জোর বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে ফুটবল অঙ্গনে।
মেক্সিকো মিগুয়েল হেরেরা বলেন, 'একটা মাস তোমাদের অবিবাহিত পুরুষ হয়ে থাকতে হবে। কেননা আমরা পার্টি করতে যাচ্ছি না। বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছি। কেউ ৪০ দিন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন না করলে মারা যাবে না।'
পরে হেরেরা দেখানো পথে হেঁটেছেন ঘানা এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার কোচও। যদিও গবেষকরা বলছেন- খেলার একদিন আগে শারীরিক সম্পর্ক করলে খেলোয়াড়দের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে। যা ভালো খেলাতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে সেই ফুটবলারকে। অন্যদিকে বিপক্ষ শিবিরের মত, সহবাস মানুষের মস্তিস্ককে অস্থির করে তোলে। এটা কখনো সখনো মানসিক বিচ্যুতি ঘটায়।
নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে না থেকেই লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা বছরের পর বছর ভালো খেলে চলেছেন। তাছাড়া কাকতালীয় একটা ঘটনা দারুণ উদ্বুদ্ধ করছে সেক্স বহাল রাখার পক্ষপাতী শিবিরকে। সেটা হলো- মেসি ২০১২ সালে বাবা হয়েছেন। সেই বছরই কিন্তু মেসি জীবনের সেরা ছন্দে ছিলেন।