শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫

এক মায়ের কাছে প্রশ্ন : আগে সন্তান নাকি দেশ?

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
এক মায়ের কাছে প্রশ্ন : আগে সন্তান নাকি দেশ?

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার অতি আদরের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর অকাল মৃত্যু (মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৫ বছর) বাংলাদেশের অসুস্থ রাজনীতি নিরাময়ের একটা সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু তা নষ্ট হয়ে গেল। নষ্ট হয়ে গেল বলি কেন, বলা উচিত নষ্ট করে দেওয়া হলো। ২৪ জানুয়ারি কোকোর মৃত্যু সংবাদ শোনার পর ছেলেহারা মা বেগম খালেদা জিয়াকে সমবেদনা ও সান্ত্বনা জানাতে তার বাড়ির দরজায় গিয়ে ৭ মিনিট দাঁড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গুলশান ৮৬ নম্বর সড়কের বাড়িটি তার কার্যালয় হিসেবে পরিচিত হলেও গত ২৭ দিন তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। আপাতত সেটাই তার ঘরবাড়ি। পুত্র শোকে অসুস্থ বেগম জিয়াকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখার কথা বলেছেন তার কর্মচারীরা। ইনজেকশন ছাড়াও তিনি সেই রকম অবস্থায় থাকতে পারতেন; তা অস্বাভাবিক বলে মনে করত না কেউ। কিন্তু এই ফালতু অজুহাতে ভিতর দিয়ে তালা মেরে গেট আটকে রেখে প্রধানমন্ত্রীকে ঢুকতে না দেওয়া গণতান্ত্রিক ও কূটনৈতিক শিষ্টাচার-বহির্বূত কাজই শুধু হয়নি, সভ্যতা-বর্জিত কাজ হয়েছে বলেও সর্বত্র কঠোরভাবে সমালোচিত হয়েছে, এখনো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ওই বাড়িতে পৌঁছেন, তখন সেখানে বিএনপির অন্তত চারজন সিনিয়র নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং আবদুল্লাহ্-আল নোমান উপস্থিত ছিলেন। বেগম জিয়ার কর্মচারীরা যা করেছেন ওই নেতাদের অজ্ঞাতেই করেছেন। তার প্রমাণ মিলেছে পরদিন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে। সিনিয়র নেতাদের এক বৈঠক শেষে গুলশানের ৮৬ নম্বর সড়কের বাড়ির গেটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আচরণ অসৌজন্যমূলক হয়েছে স্বীকার করে তিনি মন্তব্য করেছেন, কাজটি ঠিক হয়নি। তিনি আরও বলেছেন, ওই অশোভন কাজটি দলের সিনিয়র নেতাদের অগোচরে ম্যাডামের কর্মচারীরাই করেছেন। তারাই ভিতর থেকে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। তার বক্তব্যের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের অসহায়ত্বের আর্তনাদ! একই বিষয়ে একই ধরনের আর্তনাদ শোনা গেছে বিএনপির আরেক নীতি নির্ধারক (!) মির্জা আব্বাসের কণ্ঠেও। এমন একটি খারাপ কাজকে বিএনপির অতীতের কিছু ক্ষমতাভোগী ও ক্ষমতাপ্রত্যাশী দলদাস জাস্টিফাইও করতে চাইছে। তারা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগকে বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির 'চিরশত্রু' হিসেবে চিহ্নিত করে বলতে চাইছে 'শত্রুর' সঙ্গে এমন আচরণই নাকি যথার্থ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা এসব দলদাস-দাসীদের মূর্খের সঙ্গে তুলনা করে বলতে চান, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সমঝোতার দরজা সর্বদা খোলা রেখেই চলে বিরোধ-বিসম্বাদ। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বী-প্রতিপক্ষ আছে, কোনো শত্রু নেই। প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে আচরণ হয় সর্বদা প্রতিযোগিতার; সভ্য, শোভন ও গণতান্ত্রিক শিষ্টারের। এখানে জয়-পরাজয় আছে, হার-জিৎ আছে। কিন্তু শত্রুর সঙ্গে কোনো সুশীল প্রতিযোগিতা-প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা হয় না, হয় একে অপরকে নিঃশেষ-নির্মূল করার জিঘাংসা বাস্তবায়ন। যেই রাজনীতিতে এমন জিঘাংসা কাজ করে তা সুস্থ-স্বাভাবিক রাজনীতি নয়, এই রাজনীতি সমাজ ও রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে। বিএনপিতে যারা 'শত্রুতার' রাজনীতি করছেন বা করতে চান তারা কার্যত সংঘাত-হানাহানিকেই যে উসকে দিচ্ছেন বা পৃষ্ঠপোষকতা করছেন তারা তা বোঝার বোধশক্তিও বোধহয় হারিয়ে ফেলেছেন।

আরাফাত রহমান কোকোর অকাল মৃত্যুর বেদনার্ত পরিবেশ দেশে একটি শান্ত-সুস্থ পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল বলে নানা মহল থেকেই বলা হচ্ছে। সেই জন্য বেগম খালেদা জিয়ার বা দলের নেতাদের নয়, তার ব্যক্তিগত কর্মচারীদের 'অসদাচরণ' নিয়ে এত কথা হচ্ছে। সেদিন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যদি সাক্ষাৎও হতো কিংবা দু-একটা বাক্য বিনিময়ও হতো তাতে তাৎক্ষণিক বর্তমান রাজনৈতিক অশান্ত, সহিংস পরিস্থিতি পাল্টে যেত এমন আশা কেউ করেনি। কিন্তু এই যে পরস্পরের মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত নেই, তার তো অবসান হতো। সারা দেশে উভয় দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে শীতল সম্পর্ক কিছুটা উষ্ণতা পেত এবং দ্বিতীয় সারির নেতৃত্ব পর্যায়ে কথা বলার সূচনা হতে পারত। এটা সাধারণ মানুষেরও আশার কথা ছিল। তা না হওয়ার প্রাথমিক দায়টা পার্টির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মচারীদের। যে সব অর্বাচীন এই খারাপ কাজটি করে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটি কু-দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে বিএনপি নেত্রী তার এতদিনের উজ্জ্বল রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের প্রতিই সুবিচার করবেন এবং বিজ্ঞতার পরিচয় দেবেন। নতুবা এর দায় বিএনপি দলকেই বইতে হবে অনন্তকাল।

আরাফাত রহমান কোকোর অসময় মৃত্যুজনিত পরিস্থিতি আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে সভ্যতা ও শিষ্টাচারের নাজুক বা স্পর্শকাতর স্থানটিতে অনাকাঙ্ক্ষিত কম্পন সৃষ্টি করেছে। তবে এই মৃত্যু নিয়ে কোনো কথা যে বলার নেই তা-ও নয়। আরাফাত রহমান কোকো আট বছর ধরেই দেশের বাইরে থাকতে বাধ্য হয়েছেন দুটি কারণে। ১. চিকিৎসা গ্রহণের জন্য ২. মামলা-মোকদ্দমাজনিত কারণে। বলতেই হবে যে, ওয়ান-ইলেভেনের তৈরি সরকারের আক্রোশের শিকার ছিলেন তিনি। মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকার ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল বিএনপির নির্বাচিত বৈধ সাংবিধানিক সরকারের কাছ থেকে। তবে খুবই চাতুর্যের পরিচয় দিয়েছিল তারা। হাওয়া ভবনের 'কলের পুতুল' রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমদের দুর্বলতা এবং একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তকে কাজে লাগিয়েছে তারা। ক্ষমতা নিয়ে নেওয়াটা জাস্টিফাই করার জন্য সামরিক বাহিনীর সমর্থনপুষ্ট সরকার মূল আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করে সদ্য-বিগত সরকারি দল বিএনপিকে। এটাও সত্য, ওয়ান-ইলেভেনের পরিস্থিতি আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরাই সৃষ্টি করেছিলেন। একদিকে বিরোধী দল দমনের নামে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, অপরদিকে লগি-বৈঠার উন্মত্ত ব্যবহার ও প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ হত্যা করে লাশের ওপর লাফালাফির মতো ঘটনা ওয়ান-ইলেভেনকে অনিবার্য করে তুলেছিল। জনগণ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল এবং প্রথম দিকে সেই পরিবর্তনকে স্বাগতও জানিয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত সরকার-বিরোধীরা এমনও বলেছিলেন যে, ওয়ান-ইলেভেনের সরকার তাদের আন্দোলনেরই ফসল। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষমতায় গিয়ে সেই সরকারের সব কর্মকাণ্ডকেই দায়মুক্তি দিয়েছে লীগ সরকার। ওই সরকারের কুশীলবদের নিরাপদ দেশত্যাগ ও বিদেশে কারও বড় রাষ্ট্রীয় চাকরি, কারও সুখের জীবনের ব্যবস্থাও করে দিয়েছে। এটা বিএনপিকে শায়েস্তা করার পুরস্কার। কোকো বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান না হলে মইনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকারের কোপানলে পড়তেন না, সে কথা বলাই যায়। ওয়ান-ইলেভেন সরকার কোকো এবং তার মা খালেদা জিয়া ও ভাই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যেসব মামলা দিয়েছিল, একই চরিত্রের মামলা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের অনেকের বিরুদ্ধেও দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়ে থাকে সেই মামলার সংখ্যা সাত হাজারের মতো। ক্ষমতায় গিয়ে দলীয় মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি কমিটির সুপারিশে শেখ হাসিনাসহ দলের লোকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় 'রাজনৈতিক বিবেচনায়' দায়েরকৃত মামলা হিসেবে। কোকোর মামলা, তার মা-ভাইসহ বিএনপি নেতাদের কয়েক হাজার মামলা প্রত্যাহার হয়নি 'রাজনৈতিক বিবেচনায়।' মামলা প্রত্যাহার হলে কোকো আট বছর দেশান্তরী থাকত না। থাকত মায়ের কোলে। হায়াত ফুরোলেও মারা যেত মায়ের চোখের সামনে, সেবা-যত্নে। এই কষ্ট বেগম জিয়ার আছে, থাকবে। কিন্তু তিনি তো কোকোর মা-ই শুধু নন, বিএনপির মতো একটি বিশাল দলের নেত্রী। নির্দ্বিধায় বলা চলে দেশের কমপক্ষে অর্ধেক মানুষের সমর্থনধন্য। এ ব্যাপারে তার বড় পুত্রবধূ, তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বক্তব্যটা বিবেচনায় নিলে বেগম জিয়ার কর্তব্যও নির্ণিত হয়ে যায়। তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, 'একজন মাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল- সন্তান নাকি দেশ? তিনি উত্তরে বলেছিলেন- দেশ। এরপর অমানুষিক নির্যাতন নেমে এলো তার দুই সন্তানের ওপর। এক সন্তানের পায়ের হাড়গুলো ভেঙে দেওয়া হলো, আরেক সন্তানকে ইলেক্ট্রিকের সাহায্যে ব্রেন ডেমেজ করে দেওয়া হলো। এরপর সেই মাকে আবার জিজ্ঞেস করা হলো- আপনার কাছে সন্তান বড় নাকি দেশ? উনি কেঁদেছেন। চোখের পানি ফেলতে ফেলতেই বলেছেন- দেশ। এই দেশ আমার মা। এই দেশ আমার স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন। আমি আমার মায়ের কাছেই থাকব, আমার স্বামীর স্বপ্নের দেশেই থাকব। আমি আমার দুই সন্তানকে আল্লাহ্র কাছে সঁপে দিয়েছি। আমি বেঁচে থাকব আমার ১৬ কোটি সন্তানদের মাঝে (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ৩০.০১.২০১৫)। সমগ্র দেশকে যিনি নিজের মাঝে ধারণ করেন বা মিশে থাকতে চান দেশের মাটি আর মানুষের সঙ্গে, সন্তানের মৃত্যুতেও যিনি স্থির, অবিচল থাকতে চাইছেন; আবেগ উসকে দিয়ে কারও কারও ভাষায় 'চাকর-বাকর'রা তাকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করুক- এটা শান্তি, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মুক্তিকামী মানুষের কাছে প্রত্যাশিত নয়।

২৫ জানুয়ারি গুলশান ৮৬ নম্বর সড়কের বাড়ির সামনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কিন্তু সে ক্ষতি এখন পুষিয়ে দিচ্ছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এবং তার লীগ সরকারের মন্ত্রী-মিনিস্টার এবং বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। গত ২৬ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে যে বক্তব্য রেখেছেন তা 'কাটা গায়ে নুনের ছিটা' দেওয়ার মতোই। যে কোনো মায়ের কাছেই সন্তানের মৃত্যুশোক অন্য কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। অবরোধ কর্মসূচিতে সহিংসতায় দগ্ধ ও মৃত্যুমুখে পতিতদের মার শোক নিশ্চয়ই অসহনীয় কষ্টের। কিন্তু কোকোর মৃত্যুকে 'অসুস্থ সন্তানের মৃত্যু' বলে সহিংসতায় মৃত সন্তানদের মার কষ্ট অনুভব করার জন্য বেগম জিয়ার প্রতি তার পরামর্শ এ সময়ে নিষ্ঠুর বলেই মনে হয়েছে। কেউ প্রশ্ন তুলতেই পারেন, কোকো এমন অসুস্থ হলো কী করে? বেগম খালেদা জিয়ার 'হোমগ্রাউন্ড' (গুলশান ৮৬ নম্বর সড়ক) থেকে গত ২৫ জানুয়ারি তিনি যে পয়েন্ট নিয়ে এসেছিলেন, সংসদের বক্তব্যে সে পয়েন্ট তিনি খুইয়ে ফেলেছেন বলেই মনে হচ্ছে। তার মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বেগম জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেছেন, 'আল্লাহর আরশ কেঁপেছে, নইলে ছেলে মরবে কেন?' (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৫)? এমন কথা বলা কী ঠিক হয়েছে?

দেখা করতে না পেরে বেগম জিয়ার দরজা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিরে যাওয়ার অনভিপ্রেত ঘটনার পরের দিনই বিএনপির পক্ষ থেকে একটি মার্জিত বক্তব্য দিয়েছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ। সবাই আশা করেছিল, সব আলো এখনো নিভে যায়নি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, সরকারই সব বাতি নিভিয়ে দিচ্ছে একে একে। তবে কী এটা ধরে নিতে হবে যে, সরকারও চাইছে সংঘাত-সহিংসতা চলতে থাকুক আর এই অজুহাতেই তারা বিএনপিকে নির্মূল করে দেবে? আওয়ামী লীগকে কী নির্মূল করতে পেরেছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার? পারেনি। কোকোর মৃত্যু, এয়ারপোর্ট থেকে গুলশান এবং গুলশান থেকে বায়তুল মোকাররম পর্যন্ত তার লাশবাহী গাড়ির পেছনে হাজার হাজার মানুষের শোকের মাতম, তার জানাজায় লাখ লাখ মানুষের ঢল প্রমাণ করেছে বিএনপিকে নিঃশেষ করে দেওয়া সহজ কাজ নয়। কারাগারে এত জায়গা কোথায়?

সব মহল থেকেই আওয়াজ উঠেছে, বর্তমান সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবসান হোক। দেশের অর্থনীতি বাঁচুক, দেশ বাঁচুক, মানুষ বাঁচুক। শুধু সহিংসতার 'কলেরগান' বাজিয়ে লাভ হবে না, মূল জায়গায় হাত দিতে হবে। বিএনপিকে বুঝতে হবে অবরোধের ছাতার নিচে যে সহিংসতা চলছে, এটা সমাধান নয়। আর কিছুদিন পর এসব একদমই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। ভবিষ্যতের জন্য এটা খারাপ উদাহরণ হয়ে থাকবে। কখনো ক্ষমতায় এলে বিরোধী পক্ষ তখন তাদের বিরুদ্ধেও একই অস্ত্র প্রয়োগ করবে। তা ছাড়া নিরীহ মানুষের রক্ত কখনোই ক্ষমতার সিঁড়ির আলপনা হতে পারে না। এসএসসি পরীক্ষার সময় বেপরোয়া লাগাতার অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার না হোক, স্থগিত রাখার চিন্তা করা উচিত বিএনপি নেত্রীর। সরকারকেও মানতে হবে যে, ৫ জানুয়ারির প্রশ্নবিদ্ধ, বিতর্কিত নির্বাচনই বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের উৎসমূল। সমাধান খুঁজতে হবে উৎসে- আলোচনায়, সমঝোতায়; ধমক দিয়ে, পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবির ভয় দেখিয়ে নয়। পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবি সদস্যরা তো এ দেশেরই মানুষ। তাদের নিজের ভাই-বোনদের, সন্তান-স্বজনদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না বলেই বলছেন বিজ্ঞজনরা। শান্তিপূর্ণ পথেই সমস্যার সমাধান করতে হবে রাজনীতিবিদদের। সম্ভাবনার সব দুয়ার বন্ধ করা ঠিক হবে না। মানুষ কিন্তু ধৈর্যহারা হয়ে যাচ্ছে। কখনো তারা এমনও বলে দিতে পারে- এই রাজনীতি ও এই রাজনীতিবিদদের আমাদের আর দরকার নেই।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের
ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের
তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?
পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন
নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর
করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ
ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী
ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫

৭ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী
১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ
এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত
রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা
দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমা খাতে আসছে নতুন আইন
বিমা খাতে আসছে নতুন আইন

শিল্প বাণিজ্য

সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ
সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি
সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি
স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

নামেই জীবন নামেই মরণ
নামেই জীবন নামেই মরণ

সম্পাদকীয়

নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি
নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি

নগর জীবন

চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি
চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা
ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ
নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ

খবর

পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ
পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা
লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি

শিল্প বাণিজ্য

ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন
ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন

শিল্প বাণিজ্য

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ
বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়
গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু
শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু

নগর জীবন

বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

পেছনের পৃষ্ঠা

সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত
সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত

পূর্ব-পশ্চিম

গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ
গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল
দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল

সম্পাদকীয়