শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫

থামতে একদিন হবেই, আগেই থামুন

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
থামতে একদিন হবেই, আগেই থামুন

অবরোধ-হরতাল, সহিংসতা-নাশকতা, বন্দুকযুদ্ধ-ক্রসফায়ার ইত্যাকার শ্বাসরুদ্ধকর এবং বিভীষিকাময় বিষয়গুলো যখন শান্তিপ্রিয় জনগণকে চরম আতঙ্ক, অনিশ্চয়তা ও গভীর হতাশার মধ্যে নিমজ্জমান রেখেছে, তখন জাতীয় সংলাপের একটি প্রস্তাব জাতীয় রাজনীতিকে হঠাৎই যেন একটা দোলা দিয়ে গেল। সংলাপের কথা বলা হচ্ছে অনেক আগে থেকে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত দশম সংসদ নির্বাচনের আগে জাতিসংঘ মহাসচিবের দূত তারানকো সাহেবের সেই দূতিয়ালী এবং তার উপস্থিতিতে বিবদমান পক্ষসমূহের মধ্যে কিছু কথাবার্তা-সংলাপের কথা মিডিয়ায়ও এসেছিল। কিন্তু সেই সংলাপ শেষ পর্যন্ত 'সংলাপে' পর্যবসিত হয়েছিল। ফলে নির্বাচনটি হয়ে গেল সম্পূর্ণ একপক্ষীয়ভাবে 'আমরা আর মামুরা'দের মধ্যে। জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ অনেক বিদেশি বন্ধুরাষ্ট্র ও উন্নয়ন সহযোগী সেই নির্বাচনকে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হিসেবে বিবেচনা করেনি। তারা এখনো তাদের সেই মনোভাব পরিবর্তন করেনি। শুধু তাই নয়, দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সরকার ও প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে অর্থবহ সংলাপের প্রস্তাবও তারা দিয়ে চলেছে অবিরাম। কিন্তু সরকার তা আমলেই নিচ্ছে না। ৯ ফেব্রুয়ারি নাগরিক উদ্যোগের নামে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনকল্পে একটা জাতীয় সংলাপ আয়োজনের জন্য প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয় ৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে 'নাগরিক ঐক্যের' উদ্যোগে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে। প্রস্তাবটি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ডক্টর শামসুল হুদার স্বাক্ষরে পাঠানো হলেও তাতে উদ্যোক্তারা কিছু ভুল করেছেন বলে মনে হয়। যে সংগঠনের ব্যানারে গোলটেবিল বৈঠকটি হয়েছে তা কোনো অরাজনৈতিক সংগঠন নয়- একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক দল গঠন বা একটি সমন্বিত রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ভ্রূণ বা উদ্যোগ বলেই তা বিবেচিত। সাবেক ডাকসু ভিপি ও আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মান্না এর আহ্বায়ক। প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনও উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ছিলেন ডাকসুর আরেক সাবেক সহ-সভাপতি ও শাসক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুরও। ফলে একে পরিপূর্ণ নাগরিক উদ্যোগ বলতে চাননি সমালোচকরা। রাজনীতিবিদরা নাগরিক সমাজের বাইরের লোক নন ঠিক, কিন্তু এ ধরনের একটি উদ্যোগের সঙ্গে পরিচিত রাজনৈতিক নেতারা জড়িত থাকলে তার নিরপেক্ষ নাগরিক চরিত্র প্রশ্নবিদ্ধ হয়েই যায়। যদি একে নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে 'তেতো' বের করার দুষ্টবুদ্ধি বা কু-মতলব কারও থাকে, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। সরকার সে সুযোগই নিয়েছে। তবে আমি মনে করি, উদ্যোগটি সৎ ও নির্মোহ। বর্তমান শ্বাসরুদ্ধকর জাতীয় পরিস্থিতিতে এ ধরনের একটি উদ্যোগ গ্রহণ সময়ের দাবি। সে দাবি তারা মিটিয়েছেন। তাদের প্রস্তাব জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার পেয়েছে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায়। সরকারের সর্বোচ্চ মহল- খোদ প্রধানমন্ত্রী কঠোর মনোভাব নিয়ে এ ব্যাপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেছেন, 'খুনিদের সঙ্গে কীসের সংলাপ?' গত ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে বোমায় দগ্ধদের দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এতে সংলাপের জন্য নাগরিক প্রস্তাব সম্পর্কে সরকারের মনোভাব ও অবস্থান স্পষ্ট হয়ে গেল। প্রধানমন্ত্রী নিজে প্রস্তাবটি সরাসরি নাকচ না করলেও পারতেন। সরকার বা দলের অন্য কাউকে দিয়ে নিজেদের কথাটা জানিয়ে গণপ্রতিক্রিয়াটা যাচাই করতে পারতেন। এ বিষয়েও প্রস্তাবের উদ্যোক্তাদের একটা ভুল হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। এদের মতে, ডক্টর কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না, সুলতান মুহাম্মদ মনসুর প্রমুখের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব দীর্ঘদিন ধরেই নেতিবাচক। সোজা বাংলায় প্রধানমন্ত্রী এদের মোটেই পছন্দ করেন না। এরা এক সময় ডাকসাইটে আওয়ামী লীগার ছিলেন। ড. কামাল হোসেন তো ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হওয়ার পেছনে যে ক'জন মুখ্য ভূমিকা পালন করেন ড. কামাল ছিলেন তাদের অন্যতম। বিচারপতি আবদুস সাত্তারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলসমূহের সমর্থিত আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ছিলেন তিনি। রাজনৈতিক মহলে এই ধারণা প্রতিষ্ঠিত যে, দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র চর্চাসহ বিভিন্ন মতাদর্শগত কারণে তিনি আওয়ামী লীগ ছাড়তে বাধ্য হন। 'জো হুজুরের' রাজনীতি করাও তার মতো ব্যক্তিত্বের পক্ষে সম্ভব ছিল না। দলত্যাগের পর থেকেই দুজনের পারস্পরিক সম্পর্ক বৈরী। বাকি দুজন দলের ভালোর জন্য সংস্কার চেয়েছিলেন। তা পছন্দ হয়নি দলনেত্রীর। ওয়ান-ইলেভেন-পরবর্তীকালে সংস্কারের মূল ও প্রকাশ্য প্রস্তাবক আমির হোসেন আমু, আবদুর রাজ্জাক (মরহুম), সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত প্রমুখ ক্ষমতার অংশীদারিত্বের লোভে ও মোহে ক্ষমা চেয়ে বশ্যতা স্বীকার করলেও উল্লিখিত দুজন তা করেননি। দল থেকে তাদের বহিষ্কার করা না হলেও তাদের আর সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রাখা হয়নি। সম্পর্কটা তো খারাপ থাকারই কথা। প্রধানমন্ত্রী যাদের পছন্দ করেন না বা যাদের ওপর কোনো না কোনো কারণে ক্ষুব্ধ, সংলাপ প্রস্তাবের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে তারা যুক্ত আছেন দেখলে সেই প্রস্তাব পড়ে দেখার আগেই যে প্রধানমন্ত্রী ছুড়ে ফেলে দেবেন তা বোধহয় উদ্যোগ গ্রহণের প্রাক্কালে ভাবা হয়নি- যদিও উদ্যোগটি সৎ ছিল বলে ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এ ধরনের একটি প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে উত্থাপন করাই যুক্তিযুক্ত। তাহলে প্রস্তাবকের নাম দেখেই মন্ত্রী-নেতাদের চুল খাড়া হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতির উদ্ভব হয় না। এদের নাম উদ্যোগের পেছনে যুক্ত না থাকলেই এমন একটি সংলাপের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী লুফে নিতেন তেমন কথা বলছি না। তবে তার রি-অ্যাকশনটা এমন কড়া হতো না বলে মনে হয়। শুধু নাগরিক সমাজের উদ্যোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা এই উদ্যোগ থেকে সরে গেছেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি উদ্যোক্তাদের যে সংবাদ সম্মেলনের দৃশ্য দেখা গেছে তাতে রাজনৈতিক নেতাদের কাউকে দেখা যায়নি। ১৩ জনের যে কমিটি করা হয়েছে তাতেও কোনো রাজনৈতিক দলের কাউকে রাখা হয়নি। এটাকে এখন স্রেফ নাগরিক উদ্যোগই বলতে হবে। বর্তমান এই অসহনীয় পরিস্থিতির কবল থেকে শুধু নাগরিক সাধারণকে রক্ষার জন্যই নয়, রাষ্ট্রের কল্যাণেও বিবদমান পক্ষসমূহকে আলোচনার টেবিলে বসিয়ে শান্তিপূর্ণ একটা সমাধানের পথ বের করার উদ্যোগ গ্রহণ খুবই জরুরি। উল্লেখ্য, ক'দিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ প্রায় একই ধরনের একটি উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

তিনি এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছেও চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু তার গায়ে বিএনপির গন্ধ আছে। আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীরাও এখন দলীয়ভাবে বিভক্ত। কেউ আওয়ামী বুদ্ধিজীবী, কেউ বিএনপি বুদ্ধিজীবী। এত বড় বিদ্বান-পণ্ডিতরাও এখন দলবাজিতে জড়িয়ে গিয়ে মানুষকে হতাশ করছেন। দেশের চেনাজানা বুদ্ধিজীবীদের নাম শুনলে কিংবা টিভি পর্দায় চেহারা দেখলেই মানুষ বলে দিতে পারেন তিনি বিএনপি বুদ্ধিজীবী নাকি আওয়ামী বুদ্ধিজীবী। এমনকি কোনো আলোচনায়-বিতর্কে কে কি বলবেন তা-ও বলে দিতে পারেন দর্শক-শ্রোতারা। অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের প্রস্তাবটি মার খেয়েছে তার সম্পর্কে দলীয় সম্পৃক্ততার ধারণার কারণে। কিন্তু ডক্টর শামসুল হুদা, ডক্টর আকবর আলি খান, ডক্টর শাহদীন মালিক প্রমুখ কোনো দলীয় কাদায় এখন পর্যন্ত পা দেননি। এরা কোন দলের পক্ষে কাজ করছেন তা বলা যাবে না। তবে তাদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর একটা সমালোচনা খুবই যথার্থ বলেই মনে হয়। তারা বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসনকে সংলাপে বসা বা সংলাপের আয়োজন করার জন্য চিঠি দিয়েছেন কিন্তু বর্তমান সহিংসতা-নাশকতার নিন্দা করেননি, যারা এসবের সঙ্গে জড়িত তাদের এই জঘন্য অপকর্ম থেকে নিবৃত্ত হওয়ার কোনো আহ্বান জানাননি। নাগরিক সাধারণ তো উদ্যোক্তাদের বলতেই পারে যে, আগে তো আগুন, পেট্রলবোমা, গুলি, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচানোর জন্য এগুলো থামানোর ব্যবস্থার কথা বলুন; প্রথম বাক্যে এটা বলে পরে এর মূল কারণ ঘুচিয়ে ভবিষ্যতে রাজনীতির নামে এসব মানুষ মারার যজ্ঞ যাতে না চলে তার পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করার কথা বলুন। আশা করতে চাই, নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সমঝোতা ও সংলাপের মাধ্যমে আসল রাজনৈতিক অসুখ সারানোর উদ্যোগ গ্রহণকারীরা এ ব্যাপারে মুখ খুলবেন এবং সন্ত্রাস-সহিংসতা-নাশকতার বিরুদ্ধেও সোচ্চার হবেন। এই লেখা প্রেসে যাওয়ার আগে জানা গেল, উদ্যোক্তারা সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য নাশকতা বন্ধের জোরালো দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের প্রতি। এতে তাদের শুভ উদ্যোগের পক্ষে জনমত আরও প্রবল হবে।

নাগরিক উদ্যোগের সূচনায় কিছুটা ত্রুটির কথা বলা হলেও এর পেছনে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য কাজ করেছে মনে হয় না। কিন্তু এই ব্যাপারে সরকারি মহলের প্রতিক্রিয়া সাধারণ মানুষ ভালো চোখে দেখছে না। মানুষ বর্তমান শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি চায়। এটা তো স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত সরকার ব্যর্থ। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারে তাদের বার বার তারিখ ঘোষণা এবং লম্বা লম্বা কথা সব ফাঁকা আওয়াজে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে বিএনপি নাশকতার সঙ্গে জড়িত নয় বলে ঘোষণা দিলেও নাশকতা অব্যাহত আছে ২০ দলের ডাকা টানা অবরোধ ও হরতালের ছাতার নিচে থেকেই। তারা বিএনপিকে ডিফেইম করে জনগণের কাছে পচিয়ে দেওয়ার কৌশল হিসেবে সরকারই সব নাশকতা করাচ্ছে বলে যা বলছে তার পক্ষে সবল কোনো যুক্তি নেই। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জসহ কিছু জায়গায় পেট্রলবোমা হামলা, বোমা তৈরি, বোমা তৈরির মালামাল উদ্ধার, গ্রেফতার ও বোমাবাজের পক্ষে প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে থাকলেও বেশি অভিযোগ ছাত্রদল-যুবদল ও জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে। নাশকতায় এ পর্যন্ত ছাত্রদল-যুবদলের গ্রেফতারকৃতের সংখ্যা ১০২ এবং জামায়াত-শিবিরের ৮৪। সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ আংশিক সত্য বলে ধরে নিলেও বিএনপি-জামায়াত জোট সহিংসতা-নাশকতার দায় এড়াতে পারে না। যারা নাশকতা ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা তারা বলছেন না। তাদের দল বা অঙ্গদলের লোকেরা নাশকতার সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণিত হলে কিংবা হাতেনাতে ধরা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে তাদের অনাপত্তির কথাও তারা বলছে না এবং দলীয় লোকদের এসব অপকর্মে জড়িত না হওয়ার প্রকাশ্য কোনো নির্দেশও দিচ্ছে না। ফলে সব কিছুই রহস্যময় থেকে যাচ্ছে। সহিংসতা, নাশকতা হচ্ছে, নিরীহ মানুষ দগ্ধ হয়ে মারা যাচ্ছে, বার্ন ইউনিটে যন্ত্রণাকাতর মানুষ কাতরাচ্ছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটছে, সংঘর্ষেও মানুষ মারা যাচ্ছে- এটাই বাস্তব, এটাই সত্য। ১৩ ফেব্রুয়ারি সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী অবরোধের ৩৯ দিনে নিহতের সংখ্যা ৮৭। এর মধ্যে পেট্রলবোমা ও আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন ৫২ জন, ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন ১৯ জন, সংঘর্ষে ১৩ জন এবং অন্যান্য ৩ জন। যানবাহনে আগুন ও ভাঙচুরের সংখ্যা ১০৮৪, রেলে নাশকতা হয়েছে ১১ দফা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একে অপরকে নিঃশেষ না করে থামতে চাইছে না। কিন্তু এটা একটা অসম্ভব চিন্তা। জনগণের মধ্যে দুই দলের অবস্থানই এমন যে, কাউকে নিঃশেষ করে দেওয়া সম্ভব নয়। বরং 'রাজায় রাজায় যুদ্ধে উলু খাগড়ারই প্রাণ' যাবে। তাতে তাদের কী লাভ হবে? সাধারণ মানুষ কেন বলির পাঁঠা হবে? এভাবে চলবে না, চলতে পারে না। গণপ্রতিরোধের মুখে পড়ে অথবা বিবেকের দংশনে কিংবা ক্লান্ত ও ব্যর্থ হয়ে তাদের উভয়কে থামতে একদিন হবেই, আগেই থামেন না কেন? না থামলে আন্দোলনকারী এবং নিয়ন্ত্রণকারী পক্ষ উভয়কেই এর দায় নিতে হবে।

এই সময়ে নাগরিক সমাজের প্রস্তাব তাই সর্বত্র গুরুত্বসহকারে বিবেচিত হচ্ছে। সর্বত্র এখন এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অনুকূল জনমতও গড়ে উঠছে। সরকারের উচিত হবে নেতিবাচক অবস্থান পরিবর্তন করে প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটা স্থায়ী সমাধানের ব্যাপারে সম্মত হওয়া এবং বিএনপির উচিত আলোচনা-সংলাপের পথ উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে তাদের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার বা স্থগিত ঘোষণা করা। নাগরিক উদ্যোগের পক্ষ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি তেমন আহ্বান জানানো হয়েছে। সরকার তার সদিচ্ছার প্রমাণ দিতে পারে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত ও বিচারাধীন আসামিরা ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ দলের অন্য নেতা-কর্মী-রাজবন্দীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শুরুর মধ্য দিয়ে।

এরপরই মূল বিষয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে। জাতিসংঘের মধ্যস্থতার কথা বলছেন কেউ কেউ। কেউবা আরও কারও হস্তক্ষেপের কথা বলছেন। কিন্তু কেন? কারও সঙ্গে আলোচনা ও মধ্যস্থতা ছাড়া যে জাতি নিজের দেশকে স্বাধীন করে ফেলতে পারে, নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিরসনে বিদেশিদের মুখাপেক্ষী হওয়া সেই জাতির জন্য বড়ই লজ্জার, অপমানের। মূল বিরোধীয় বিষয় তো ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচন। ৩০০ সংসদীয় আসনের ১৫৩টিতেই কোনো প্রত্যক্ষ নির্বাচন হয়নি- যা সংবিধানের ৬৫(২) অনুচ্ছেদের নির্দেশ। বাকি ১৪৭ আসনেও ভোটার উপস্থিতি ছিল নগণ্য। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ছিল নিয়ম রক্ষার দশম সংসদ নির্বাচনের পর আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে দশম সংসদ ভেঙে দিয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর তিনি এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষিত হলেই বর্তমান সংকট থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। কীভাবে তা করা যায় সে ব্যাপারেই প্রয়োজন আলোচনা, সংলাপ। তবে এই সংলাপে ভবিষ্যতের একটি স্থায়ী নির্বাচন ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক দলের আচরণবিধিরও ফয়সালা হওয়া উচিত। দরকার এ ব্যাপারে একটা জাতীয় সনদে সবার সম্মত হওয়া। সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। সমঝোতা ও সমাধানে না পৌঁছলে পরিণতি কারও জন্যই শুভ নয়।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ব্যবসা-বিনিয়োগে কেন গতি ফেরানো জরুরি?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক : কেমন ছিল দুই নেতার বডি ল্যাংগুয়েজ?
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্ন
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
ড. ইউনূসের নোবেলপ্রাপ্তিতে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের ভূমিকা
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
পুঁজিবাদী পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান জরুরি
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
যে বৈশিষ্ট্যে অনন্য কওমি মাদরাসা
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
বাংলাদেশ ব্যাংক কি নিরাপদ হাতে, নাকি শিয়ালের কাছে মুরগি?
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
ভুল সড়কে নির্বাচনী বাস
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিল নয়, কেন ডিসেম্বর-জানুয়ারিই যুক্তিযুক্ত
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
দেশের মানুষ আর রূপকথা চায় না, চায় প্রকৃত গণতন্ত্র: জিল্লুর রহমান
সর্বশেষ খবর
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত
ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে ইরান, চলবে ভোর পর্যন্ত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের
ইসরায়েলের দুই টিভি চ্যানেলের অফিস খালি করার নির্দেশ ইরানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
খামেনিকে হত্যা করতে পারে ইসরায়েল, ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর
ট্রাম্প যেন ইচ্ছা করলেই যুদ্ধে জড়াতে না পারেন — প্রস্তাব আনছেন মার্কিন সিনেটর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের
তাবরিজে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিতের দাবি ইরানের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা
তেহরানে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ইসরায়েলের হামলা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?
পৃথিবীতে প্রাণের উৎস কী সত্যিই এসেছে এই অঞ্চল থেকে?

৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন
নন্দনগাছীতে দুই মিনিট থামবে ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেন

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর
করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, ডেঙ্গু মোকাবেলায় স্পেশাল টিম: ডা. সায়েদুর

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ
ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সংবাদপত্রের ওপর কালোছায়া নেমে আসে’

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী
ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫

৭ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ
সাংবাদিকদের সর্বদা সত্যের পক্ষে কথা বলতে হবে: ডা. জাহিদ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
বোচাগঞ্জের ওসিকে অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা
উপদেষ্টার নির্দেশে বনবিভাগের অভিযান, উদ্ধার হলো সেই বানরছানা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা
নওগাঁয় আমের দাম কম, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কৃষকরা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?
সত্যিই কি ইরান-তুরস্ক-সৌদি-পাকিস্তান মিলে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন করবে?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর
ইরানে মোসাদ গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের খোঁজে বিশ্ব, গোপন আস্তানা নিয়ে প্রশ্ন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

২০ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা
সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলে ইরানের সবচেয়ে বড় হামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
ইরানের ৩৭০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
মার্কিন দূতাবাসে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারের 'এক তৃতীয়াংশ' ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’
‘শখ করে শিশুদের হত্যা করছে ইসরায়েল’

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার : দুদকের জালে সাবেক হাইকমিশনার মুনা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা
ইসরায়েলের হামলায় আতঙ্কিত তেহরান, রাজধানী ছাড়ছেন বাসিন্দারা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা
নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইসরায়েলিরা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
ভারতে সৌদি হজ ফ্লাইটে যান্ত্রিক ত্রুটি, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত
ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি
ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব ছাড়ার হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী
১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম: ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর প্রধান হচ্ছেন নারী

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত
ধোঁয়ায় ঢাকা তেল আবিব, ইসরায়েলে আরও ৫ নিহত

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ
এটিএম বুথের ভেতরে কারখানা শ্রমিককে ধর্ষণ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস
ইতা‌লি প্রবাসী বাংলাদেশিদের যে বার্তা দি‌ল দূতাবাস

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস
সর্বাত্মক যুদ্ধের আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত
রাজনৈতিক দলগুলো আট বিষয়ে একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা
দলগুলোতে নির্বাচনি তৎপরতা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমা খাতে আসছে নতুন আইন
বিমা খাতে আসছে নতুন আইন

শিল্প বাণিজ্য

সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ
সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার
মৃত্যুর মহাসড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি
সপ্তমবারের মতো ভাঙছে এরশাদের জাতীয় পার্টি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি
স্বরূপে ফিরছে সেই জমিদারবাড়ি

পেছনের পৃষ্ঠা

নামেই জীবন নামেই মরণ
নামেই জীবন নামেই মরণ

সম্পাদকীয়

নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি
নিবন্ধন পেতে চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে এনসিপি

নগর জীবন

চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি
চরে কৃষিবিপ্লবের হাতছানি

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা
ভোট কেন্দ্র সংস্কারে ইসির নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ
নিষেধাজ্ঞা শেষ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ

খবর

পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ
পোশাকশিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ যুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা
লন্ডন বৈঠকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথযাত্রা

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে অগ্রগতি

শিল্প বাণিজ্য

ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে গভর্নরের দক্ষ ব্যবস্থাপনায়

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন
ব্র্যান্ড দূষণ বাড়াচ্ছে ৪০ শতাংশ ফ্যাশন

শিল্প বাণিজ্য

হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী
হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে ধর্ষণের স্বীকার কলেজছাত্রী

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি
গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ
সচিবালয়ে ফের বিক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ
বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু
শেষ বিদায়ে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন মোস্তফা মহসিন মন্টু

নগর জীবন

গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়
গণমাধ্যম এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
সাবেক হাইকমিশনার মুনার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

পেছনের পৃষ্ঠা

বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইসিকে দ্রুত জানান

প্রথম পৃষ্ঠা

সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত
সহসাই থামছে না ইরান ইসরায়েল সংঘাত

পূর্ব-পশ্চিম

গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ
গুম সনদে স্বাক্ষর করলেও এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল
দেশের উন্নয়নে চাই মালয়েশিয়া মডেল

সম্পাদকীয়