ম্যাডাম আজকে আদালতে যাওয়ার পরে বিচারকের সামনে দাঁড়িয়ে যদি বলতেন, গত তারিখে সারা দেশব্যাপী ২০ দলের ডাকে হরতাল ছিল বলে তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। আজকে হরতাল নেই তাই তিনি উপস্থিত হয়েছেন। দুইটি মামলাই মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা। এই দুইটি মামলায় বিচারক যেভাবে খুশী বিচার করুক তাতে ম্যাডামের কোন বক্তব্য নাই এবং তিনি বিচারের জন্য কোন সময় বা জামিন কিছই চান না। ম্যাডামের এই বক্তব্যের পরে বিচারকের কি করার ছিল !!! মাননীয় বিচারক কি ম্যাডামের জামিন বাতিল করে ম্যাডামকে জেলে পাঠিয়ে দিতেন বা আজকেই বিচার করে জেল ফাঁসি দিয়ে দিতেন? আর দিলেই বা কি হতো?
ম্যাডামকে জেল ফাঁসি দেয়ার ক্ষমতা সরকারের থাকলে তা সরকার কবেই দিয়ে দিতো !!!
অথচ মুখচেনা উকিলদের কথায় গত তারিখে হাজির না হওয়ার যে ব্যাখ্যা ও জামিন এবং সময়ের জন্য যে কারণ এবং যুক্তিতে অধস্তন একটি বিচারিক আদালতের সামনে নিজেকে রক্ষা করার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ২০ দলীয় ঐক্যজোটের মহান নেত্রী ম্যাডামের পক্ষে উপস্থাপন করা হলো তাতে কি বর্তমান আন্দোলনের শত শহীদ ও নির্যাতিতদের সঙ্গে বেঈমানি করা হলো না? এই বক্তব্য না দিলে কি হতো ? জামিন হতো না? আদালত সময় দিতো না? আমার বিনীত এরকম লক্ষ প্রশ্ন।
আমার ক্ষুদ্রমতে জামিন ও সময় নেওয়ার জন্য এই ধরনের বক্তব্য দেয়ার চেয়ে ওই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা অনেক বেশি সম্মানের কাজ হতো। জাতি সেই মৃত্যুকে নিয়ে অনেক বেশি গৌরবান্বিত হতো। আরও হাজার লক্ষ মানুষ জীবন দিতে অনুপ্রাণিত হতো বলেই আমার বিশ্বাস।
আবারো প্রমাণিত হল ম্যাডামের চারপাশে ভাল মানুষ ও প্রকৃত রাজনৈতিক কর্মী বা নেতা নাই।
আমি যা বললাম, তা আমার বিশ্বাস থেকে বললাম, যার সকল দায় দায়িত্ব একান্তই আমার।
লেখক: সাবেক সংসদ সদস্য।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৫ এপ্রিল, ২০১৫/ রশিদা