শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৫

ময়মনসিংহের গ্রাম-গ্রামান্তরে

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
অনলাইন ভার্সন
ময়মনসিংহের গ্রাম-গ্রামান্তরে

এবার কোথা থেকে শুরু করব বুঝতে পারছি না। আজ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘ অবরোধ-হরতাল থেকে দৃষ্টি এড়াতে দেওয়া হয় এ নির্বাচন। এ নির্বাচন সম্পর্কে আমার কোনো আগ্রহ ছিল না। ভাতের বদলে ফেন দিয়ে কাজ চালানোর মতো, দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো আর কী? সেবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ১৫ দিন আগে নারায়ণগঞ্জের এক সভায় আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে বলেছিলাম, অবশ্যই গাজীপুরে সরকারি প্রার্থী লক্ষাধিক ভোটে হারবে। একসময়ের টঙ্গী পৌরসভার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজমত আলী আমার খুবই প্রিয় ভালো মানুষ। আওয়ামী লীগের না হয়ে স্বতন্ত্র দাঁড়ালেও কিছু বেশি ভোট পেত, জেতার সম্ভাবনাও ছিল প্রচুর। কারণ আবদুল মান্নানের চেয়ে দেখতে শুনতে, যোগ্যতা দক্ষতায় অ্যাডভোকেট আজমত আলী মোটেই পেছনের ছিল না। শুধু আওয়ামী লীগ করার কারণে সে যাত্রায় তাকে হারতে হয়েছে। ২৮ জানুয়ারি থেকে ২৮ এপ্রিল ৯২ দিন ঘরের বাইরে দেশের নানা পথে-প্রান্তরে ঘুরছি, নির্বাচনের তেমন পর্যবেক্ষণ করিনি। লোকজনের কাছ থেকে যা শুনেছি তা-ই একমাত্র ভরসা।

যাক ওসব কথা। আজ অথবা কাল হালুয়াঘাট থাকব। হালুয়াঘাটের কথা মনে হলেই '৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ প্রতিরোধের কথা মনে হয়। আমরা ৪০ জন ঈশ্বরগঞ্জ, ফুলপুর, তারাকান্দা হয়ে হালুয়াঘাট পৌঁছেছি। হালুয়াঘাট থানা পেরিয়ে উত্তরে গেলে নির্বোধের মতো কিছু পুলিশ আমাদের পিছু নেয়। তারা বুঝতে না পেরে প্রতিরোধ সংগ্রামীদেরই জিজ্ঞাসা করে, যারা গেল তারা কারা? এক পুলিশ এলএমজি বসিয়ে গুলি চালাতে যায়। আরিফ আহমেদ দুলাল পুলিশের এলএমজির ব্যারেল ধরে টান দিলে ব্যারেল ছুটে বেরিয়ে আসে। প্রতিরোধ সংগ্রামীরা গুলি চালালে পুলিশরা থানা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ওসি পায়খানায় পালায়। হালুয়াঘাট থেকে দুই-আড়াই মাইল উত্তরে গোবরাকুড়া সীমান্ত পিলারের পাশে প্রবোধ দিওয়ের বাড়ি। অনেক রাতে সেখানে অনেক চেষ্টা করে এক কেজি চালের ভাত সবাই ভাগ করে খাই। হালুয়াঘাটে এসে সেসব কথা জীবন পর্দায় ছায়াছবির মতো একের পর এক ভেসে উঠছে।

জীবনে এই প্রথম ময়মনসিংহ টাউন হল মাঠে তাঁবু খাটিয়ে রাত কাটিয়েছি। ময়মনসিংহের ছাত্র-যুবক, সাধারণ মানুষের অভাবনীয় সহযোগিতায় হৃদয় ভরে গেছে। শহরে আসার আগে সৌজন্য হিসেবে ময়মনসিংহের মন্ত্রী প্রিন্সিপাল মতিউর রহমানকে ফোন করেছিলাম। তিনি অসাধারণ সৌজন্যের পরিচয় দিয়েছেন। বার বার আমার স্ত্রীকে তার সালাম পৌঁছে দিতে বলেছেন। আমি অভিভূত হয়েছি। প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান আজীবন সংগ্রামী, জনগণের একজন কাছের মানুষ। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর ময়মনসিংহ পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকা সত্ত্বেও তিনি যে কী সরকারি নির্যাতন ভোগ করেছেন তা বলার মতো নয়। মুক্তিযুদ্ধে এ অঞ্চলে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে রফিক উদ্দিন ভূঁইয়ার অবদান তুলনাহীন, সবার ওপরে। তারপর কেউ যদি প্রত্যক্ষভাবে শিবিরে বাস করে থাকেন তিনি প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান। তুরার ঢালু ইয়ুথ ক্যাম্পে সব থেকে বেশি যুবকদের দেখাশোনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে ভূমিকা রেখেছেন। আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠনের পরও যতবার ময়মনসিংহ এসেছি প্রিন্সিপাল মতিউর রহমানের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তার সৌজন্যের তুলনা হয় না। এখন তিনি মন্ত্রী, মন্ত্রী হিসেবে তাকে নিয়ে যত আলোচনা হোক আমার ব্যাপারে তার আচরণের কোনো তফাত হয়নি। সড়ক দুর্ঘটনায় তার ছেলে মারা গেলে শুধু একজন আহত পিতাকে সান্ত্বনা দিতে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ গিয়েছিলাম।

দাপুনিয়া কলেজ মাঠে রাত কাটিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বেগ ও মাহবুব ইসলাম বেগের সঙ্গে কথা বলে বেগুনবাড়ী গিয়েছিলাম। বেগুনবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রীদের ভীষণ ভালো লেগেছে। তার আগে দাপুনিয়া ডি কে জি এস ইউনাইটেড কলেজের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী এবং অধ্যক্ষ মাকসুদুল হাসান আরিফকেও ভালো লেগেছে। তাদের সৌজন্য ও আতিথেয়তা অবস্থান কর্মসূচিতে এক নতুন মাত্রা জুগিয়েছে। ক্লাস থ্রির ছাত্র ছোট্ট বাচ্চা রোমান বার বার খাবার এনেছে। কী যে ভালো লেগেছে বলে বোঝানো যাবে না। দাপুনিয়ার আগে দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম চুরখাইয়ে। চুরখাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এ কে এম. আবদুল হাই চেয়ারম্যানের ছেলে হাসিম বাড়ি থেকে খাবার এনেছিল। পরম তৃপ্তিতে সে খাবার খেয়েছিলাম। তার আগে সাড়ে তিন মিনিটের ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি প্রত্যক্ষ করেছি। ডোবার পানি এপাশ ওপাশ দুলছিল, মাথা ঘুরছিল। রিখটার স্কেলের ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প সচরাচর খুব একটা হয় না। উৎপত্তিস্থল নেপালে কয়েক হাজার লোক মারা গেছে। আমাদের তেমন জানমালের ক্ষতি না হলেও পরদিন আবার ভূমিকম্প হয়েছে। জানি না এ কিসের আলামত। যাত্রা শুরু করেছিলাম আছিম থেকে ফুলবাড়িয়া, ফুলবাড়িয়া থেকে ত্রিশাল। আছিমে যেমন ঝড়-তুফানে আক্রান্ত হয়েছিলাম, ফুলবাড়িয়ায়ও সেই একইরকম। তাঁবুর নানা জায়গা দিয়ে পানি ঝরে বিছানাপত্র ভিজে যায়। সে যে কী লেজে-গোবরে অবস্থা, ভাবা যায় না। তার পরও মানুষের ভালোবাসায় কোনো কষ্টই কষ্ট মনে হয় না। ২২ তারিখ সকাল ৭টায় বাবার সঙ্গে ছোট্ট মেয়ে প্রেরণা এসেছিল। তারপর আবার বিকালে। পরদিন সকাল ৭টায় বাপ-বেটি নাস্তা নিয়ে হাজির। ওইদিন ত্রিশালে যাওয়ার কথা ছিল। আমাদের একটু দেরি হচ্ছিল। দেখলাম দুপুরের খাবার নিয়ে এসেছে। খাবার শেষে একেবারে কাছঘেঁষে সে যে কী দরদ দিয়ে বলেছিল, 'দাদু, সাবধানে থাকবে। বৃষ্টিতে ভিজবে না, শরীর খারাপ হবে। তোমার জন্য খুব মায়া হয়।' মনে হচ্ছিল এ যেন আমার মা-ই আমাকে সাবধান করছে। ফুলবাড়িয়ার সবুজ, বেলাল, প্রশান্ত, দেলোয়ার অসাধারণ সহযোগিতা করেছে। সেখান থেকে তাঁবু ফেলেছিলাম ত্রিশালের দরিরামপুর কবি কাজী নজরুল ইসলাম একাডেমি মাঠে দরিরামপুর প্রাইমারি স্কুলের সামনে। গিয়েই শুনি জায়গাটা নাকি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। ত্রিশালের প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা রজব আলী সেখানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসে হাজির। একটু পরই এসেছিলেন নবী নেওয়াজ সরকার। ত্রিশালের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের নেতা। বাঁশের চেয়ে কঞ্চি শক্ত, সেটা সেখানেই ভালোভাবে বুঝলাম। বৃষ্টি-বাদলের দিন, তাই একটি ঘরের চাবি চেয়েছিলাম, প্রাইমারি স্কুলের হেড মিস্ট্রেজ চাবি দেননি। তার ছেলে অ্যাডভোকেট সবুজ আওয়ামী লীগ করে। সেজন্য মুক্তিযুদ্ধের সরকারের আমলে কোনো মুক্তিযোদ্ধা আশ্রয় পাবে না- ভাবতেই যেন কেমন লাগে। অথচ টুঙ্গিপাড়ায় গিয়েছিলাম। যাওয়ার আগে কর্নেল ফারুক খানের নির্বাচনী এলাকা কাশিয়ানীর হোগলাকান্দি প্রাইমারি স্কুলের ছোট্ট মাঠে ছিলাম। তাদের সহযোগিতায় স্তম্ভিত হয়েছি। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে, বাড়িতে, বৈকুণ্ঠ, নির্মল, আতিয়ার, আক্কাস, আলভী সবাই অভাবনীয় যত্ন করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ড্রইংরুম, খাবার ঘর আমাদের লোকজন ব্যবহার করেছে। আমি ফজরের নামাজের সময় নিচ তলার বাথরুম ব্যবহার করেছি। কোথাও কোনো বাধা হয়নি। যত বাধা ত্রিশালের দরিরামপুরে। শুধু মানুষের সৃষ্ট বাধা নয়, প্রকৃতিও বাধা হয়েছে। এমন ঝড়-তুফান, ব্যক্তিগত সচিব ফরিদ আহমেদ এবং কম্পিউটার অপারেটর মো. আলমগীর হোসেনের বিছানা চার-পাঁচ ইঞ্চি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। যা হোক, ত্রিশালের গুটিকয় মানুষের অসহযোগিতা আপামর জনসাধারণ ও ছাত্রছাত্রীদের অভাবনীয় সহযোগিতাকে ম্লান করতে পারেনি। ত্রিশাল থেকে চুরখাইয়ে এলে শত শত মানুষ পঙ্গপালের মতো ছুটে আসতে দেখে হৃদয় মন ভরে গিয়েছিল।

সেখান থেকে দাপুনিয়ায় সর্বসাধারণের সাড়া দেখে আরও অভিভূত হয়েছি। তারপর বেগুনবাড়ী। সেই ছোটবেলা থেকে দেখতাম, আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে কত মানুষ যেত। কোথায় যাচ্ছেন জিজ্ঞাসা করলে খুব দাপটে বলতেন, বেগুনবাড়ী। সাত-আট দিন পর ফেরার পথে শোনা যেত, 'আর বলবেন না, মরবার গেছিলাম। হায়রে মানুষ, নোকরে নোকে খায়।' সেই বেগুনবাড়ী আনন্দমোহন কলেজের ছাত্র শাহীনুর আলমের কল্যাণে ঘুরে এলাম। ময়মনসিংহ টাউন হল মাঠে তাঁবুতে বসে যখন লিখছি তখন '৬৯-এর কথা বড় বেশি করে মনে পড়ছে। আইয়ুব খানের পতনের আগে ময়মনসিংহ জেলে ছিলাম। আড়াই-তিন বছর আগে থেকে বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী ছিলেন। ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের নেতা নজরুল ইসলামের ভাগ্নে আনোয়ার, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তাগাছার শহিদুল্লাহ খন্দকার, নেত্রকোনার অজয় রায়, কিশোরগঞ্জের নগেন সরকার, অষ্টগ্রামের ন্যাপ নেতা আবদুল বারী- আরও অনেকেই ছিলেন। ১৬ বা ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তিতে আমরা জেল থেকে ছাড়া পাই। ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আগরতলা মামলা থেকে মুক্ত হয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে ছাড়া পান। বঙ্গবন্ধু ছাড়া পেলেও ময়মনসিংহ জেল থেকে বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী ও অন্যরা তখনো ছাড়া পাননি। শুনেছিলাম, সন্ধ্যার পর রাজবন্দীদের মুক্তির আদেশ গেলে তারা কেউ জেল থেকে বেরোতে রাজি হননি। তাই জেল কর্তৃপক্ষ নিরুপায় হয়ে পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের মুক্তি দেয়। আমরা টাঙ্গাইল থেকে একদল ছাত্র-যুবক এসেছিলাম সদ্য কারামুক্ত আমাদের নেতা লতিফ সিদ্দিকীকে নিতে। এই টাউন হল ময়দানেই ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ এক অসাধারণ ঐতিহাসিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। বিপুল লোকসমাগম হয়েছিল। কমিউনিস্ট নেতারা জেল খাটতে পারলেও উত্তাল জনতার সামনে আকাশফাটা মাঠ কাঁপানো বক্তৃতা করতে পারতেন না। মুক্তাগাছার খন্দকার শহিদুল্লাহ এবং টাঙ্গাইলের লতিফ সিদ্দিকী ছিলেন বক্তৃতার জাদুকর। বিশেষ করে লতিফ সিদ্দিকী তার বক্তৃতায় আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে তুলতে পারতেন। এখন টাউন হলের পুব-দক্ষিণে ফুলপুরের জননেতা শামসুল হকের এক প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়েছে। এই প্রথম দেখলাম একজন জেলা পর্যায়ের নেতার এ ধরনের বিরল সম্মান। যদিও তার প্রস্তরফলকে জীবনীর অনেকটাই ঘাসের নিচে তলিয়ে গেছে। ফুলপুরের শামসুল হক এক বিরল চরিত্রের নেতা। তিনি একবার এক সভায় ৩০ লাখ শহীদের স্থলে ৩০ কোটি বলে ফেলেছিলেন। সভার উদ্যোক্তারা ভুল ধরে দিতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, 'যা বলেছি বলেছিই। একজনও কমাইবাম না।' মানে ৩০ কোটিই সই। সারা জীবন বড় কষ্ট করেছেন। '৯৭ অথবা '৯৮ সালে সংসদ সদস্যদের কোটা থেকে একটি ট্যাক্স-ফ্রি রিকন্ডিশন কার নিয়েছিলেন। আমি একবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক সভায় যাওয়ার পথে জোর করেই গাড়ি দিয়েছিলেন। পরদিন বাসায় এসেছিলেন। কথার ছলে বলেছিলেন, 'লিডার, ছেঁড়া জুতা আর পুরান গাড়ি এক সমান।' আমিও জীবনে বার বার তা উপলব্ধি করেছি।

ফুলবাড়িয়া জেলা পরিষদের ডাকবাংলো মাঠে যেদিন ছিলাম সেদিন হঠাৎই জার্মানি থেকে লাবলু ফোন করেছিল। নির্বাসিত জীবনে জার্মানিতে প্রবাসী অনিল দাশগুপ্ত, আবদুল মতিন, আনোয়ারুল কবির, লাবলু, আলমগীর ভূইয়া, সুইডেনের কাদের, প্রদীপ আরও অনেকে দারুণ সাহায্য করেছে। লাবলু কোনো দুর্ঘটনায় বিকলাঙ্গ হয়েছিল সে অবস্থাতেই আমার দেশে ফেরা নিয়ে ইউরোপের নানা প্রান্তে যেভাবে ছুটে বেরিয়েছে সে এক বিস্ময়কর ব্যাপার। সেই লাবলুর মামাতো ভাই যুবলীগ নেতা চঞ্চল হঠাৎই আত্দহত্যা করেছে। খবরটা আমাকে চমকে দিয়েছে। কবির মামার ছেলে চঞ্চল আমার খুবই প্রিয়। এত কিছুর পরও কতবার যে সে এসেছে তার হিসাব নেই। ভারতে নির্বাসিত থাকতে লাবলুর কারণে কবির মামা সব সময় যোগাযোগ করতেন। তিনি গিটার বাজাতে ভালোবাসেন। স্বাধীন বাংলা বেতারের অনেক গান গিটারে তুলেছেন। তার স্বরলিপি ছাপার জন্য অনেক চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি। দু-চার বার আমার সাহায্য চেয়েছেন, আমিও সাহায্য করতে চেষ্টা করেছি। সেই মামার উপযুক্ত ছেলে বিষণ্নতায় ভুগে অকালে চলে গেল। ছেলেটির মধ্যে হতাশা ছিল জানতাম। আওয়ামী রাজনীতি নিয়ে কিছুই ভাবি না। তার পরও আপনজনের হতাশায় কষ্ট হয়। নাম না জানা অনেকেই নেতা হয়ে যাওয়ায় ভীষণ ক্ষুব্ধ ছিল। এত অল্প বয়সে ছয়-সাত তলা দালান বাড়ি থাকতে, ছেলেমেয়ে থাকতে আওয়ামী ঘরানার নেতা-কর্মীরা যদি আত্দহত্যা করে তাহলে দিনের পর দিন বঞ্চনার শিকার হয়ে আমার তো ৭০ বার মৃত্যুবরণ করা উচিত। এই সফরে গত ২৩ তারিখ আওয়ামী ঘরানার নবী নেওয়াজ সরকারের যোগ্যতা দেখলাম। অ্যাডভোকেট সবুজের যে অসৌজন্য দেখেছি তা তো ভোলার নয়। সবুজের মা দরিরামপুর প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। রুম খুলে দেয়নি সে ভিন্ন কথা, পায়খানাও খোলেনি। যেখানে ছিলাম সেখান থেকে দেড়-দুইশ গজ দূরে একসময় উপজেলা চেয়ারম্যান, তারপর এমপি মতিনের বাড়ি। একবারের জন্যও খোঁজ নেয়নি। বরং অসহযোগিতায় ইন্ধন জুগিয়েছে। অথচ চুরখাই, দাপুনিয়া, বেগুনবাড়ী এবং সর্বশেষ ময়মনসিংহ টাউন হল মাঠে তাঁবু ফেলে যে অভাবনীয় সৌজন্য পেয়েছি তাতে মনপ্রাণ ভরে গেছে। আমরা টাউন হলে পৌঁছতেই পিয়ন ছুটে এসে সালাম দিয়ে বলেছিল, 'আমি পৌরসভার কর্মচারী। আপনার যা কিছু দরকার সাধ্যমতো সব পাবেন। হলের বাথরুম খুলে রেখেছি, যেখান থেকে খুশি বিদ্যুৎ নিতে পারবেন।' একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভদ্রলোকের কথা শুনে বুক জুড়িয়ে গিয়েছিল। সত্যিই ভালো-মন্দ নিয়ে যে সমাজ তা পথে পথে পদে পদে চলতে ফিরতে দেখতে পাচ্ছি। শান্তির অন্বেষণে যা করা দরকার আমরা তা করতে প্রস্তুত। তবু কেন যেন বার বার ত্রিশালের কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত এখনো টিকে থাকা স্কুলঘরের প্রতি অবহেলার কথা মন থেকে মুছে ফেলতে পারছি না। ষষ্ঠ শ্রেণির অচেনা ছেলে নিবিড় ছুটে খাবার নিয়ে আসতে পারল, জিহাদ, মাজহার, আছিমের ভুট্টো, সোয়াইতপুরের কামরুল, বারেক সরকার, চান মিয়া, দাপুনিয়ার ডা. রফিক, চুরখাইয়ের ইদ্রিস মেম্বার তারা এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে কত সহযোগিতা করল। ওহাব মিয়া বাড়িতে রান্না করে খাবার খাওয়ালো। অথচ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রতিবাদ না করলে যে আওয়ামী লীগ নেতারা শ্মশানে অথবা কবরস্থানে থাকত তারা অনেকেই সামান্য সৌজন্যের পরিচয় দিতেও কুণ্ঠাবোধ করল। সত্যি এটাই জীবন। এই বাস্তবতাকে অতিক্রম করার ক্ষমতা কারও নেই।

কেন যেন দুই দিনে দুবার ভূমিকম্প হওয়ার পর দীপ-কুঁড়ি-কুশির কথা, ওদের মায়ের কথা বার বার মনে পড়ছে, কেন যেন দেখতে বড় বেশি ইচ্ছা করছে। দিনে দু-তিন বার কুশিমণির সঙ্গে কথা বলেও মন শান্ত হচ্ছে না। কী করে যে কুশির মধ্যে আমার প্রাণ লুকিয়ে আছে। অনেকে অনেক সময় আমাকে বইপুস্তকসহ অনেক উপহার দেয়।

গতকালই প্রথম আলোর মিছিলের সংগঠক আনিসুর রহমান সোহাগ কুশিমণিকে পবিত্র কোরআন উপহার দিয়েছে। আট বছরের মেয়ে ওর তো কোরআন পড়ার বয়স হয়নি। আল্লাহর দয়ায় বেঁচে থাকলে নিশ্চয় বড় হয়ে পড়বে।

লেখক : রাজনীতিক

 

এই বিভাগের আরও খবর
বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার : দূরদৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত
বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার : দূরদৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
সর্বশেষ খবর
'কালি মুছে গেলেও জাল ভোটের সুযোগ নেই'
'কালি মুছে গেলেও জাল ভোটের সুযোগ নেই'

১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার

১ মিনিট আগে | পরবাস

১০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা কাঠের সেতু এখন অকেজো
১০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা কাঠের সেতু এখন অকেজো

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস
শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান
'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান

২২ মিনিট আগে | শোবিজ

মা ইলিশ রক্ষায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা
মা ইলিশ রক্ষায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা

২৭ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ স্বামী
গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ স্বামী

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দরিদ্র ভ্যানচালকের ৬ মেয়ের শিক্ষার দায়িত্ব নিলো ছাত্রদল
দরিদ্র ভ্যানচালকের ৬ মেয়ের শিক্ষার দায়িত্ব নিলো ছাত্রদল

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ড এককভাবে মরক্কোর
টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ড এককভাবে মরক্কোর

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাকচাপায় জাবি ছাত্রী নিহত
ট্রাকচাপায় জাবি ছাত্রী নিহত

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫ দফা দাবিতে গোপালগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন
৫ দফা দাবিতে গোপালগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান
একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচিতে মিলছে সাড়া
পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচিতে মিলছে সাড়া

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প
হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কর জাল সম্প্রসারণে এনবিআরের ১২ নতুন ইউনিট গঠন
কর জাল সম্প্রসারণে এনবিআরের ১২ নতুন ইউনিট গঠন

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

১৬ লাশের মধ্যে সাত লাশ হস্তান্তর হতে পারে
১৬ লাশের মধ্যে সাত লাশ হস্তান্তর হতে পারে

৫৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

তারেক রহমানের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ
তারেক রহমানের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আটক ৬১ জেলে
চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আটক ৬১ জেলে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই-আগস্টের ৭ মামলায় সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির
জুলাই-আগস্টের ৭ মামলায় সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা
দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উষ্ণায়নের ফলে ধ্বংসের পথে প্রবাল প্রাচীর
উষ্ণায়নের ফলে ধ্বংসের পথে প্রবাল প্রাচীর

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের
আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের সম্মান বাড়বে: চবি উপাচার্য
নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের সম্মান বাড়বে: চবি উপাচার্য

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জামায়াত নেতা হত্যা: একজনের আমৃত্যুসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন
জামায়াত নেতা হত্যা: একজনের আমৃত্যুসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত
নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্রিকসের দেশগুলোকে শুল্ক দিতে হবে, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
ব্রিকসের দেশগুলোকে শুল্ক দিতে হবে, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

২৩ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান
১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি
ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর
আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা
চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল
নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল

পেছনের পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

রাকিবের গোলে ১ পয়েন্ট
রাকিবের গোলে ১ পয়েন্ট

মাঠে ময়দানে

অধরাই বিকল্প বাজার
অধরাই বিকল্প বাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

১২ বছর চলছে ১১ কিমি সড়কের কাজ!
১২ বছর চলছে ১১ কিমি সড়কের কাজ!

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন