শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ০৩ মে, ২০১৫

সিটিতে অগৌরবের জয় ও বর্জনের অর্জন

কাজী সিরাজ
অনলাইন ভার্সন
সিটিতে অগৌরবের জয় ও বর্জনের অর্জন

তিন সিটি নির্বাচনে মানুষের আশা ও স্বপ্নের মিনার ভেঙে গেছে। আবার এক কেলেঙ্কারির নির্বাচন নতুন করে প্রশ্ন জাগিয়ে দিয়েছে যে, শুধু জাতীয় নির্বাচন নয়, স্থানীয় কোনো নির্বাচনও কি আর দলীয় সরকারের অধীনে স্বচ্ছভাবে ও নিরপেক্ষ অনুষ্ঠিত হতে পারে? গত চার দিনে এই নির্বাচন নিয়ে যে মতামত প্রকাশিত হয়েছে, সরকার পক্ষের লোকজন ছাড়া দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মহল একবাক্যে বলছে, এ নির্বাচনটিও বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছে নির্বাচন কমিশন। মনে হয়েছে লীগ সরকার এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশন একে অপরের পরিপূরক। এই নির্বাচন যেন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ধাপের ধারাবাহিক 'প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনী নাটকের' নতুন আরেকটি এপিসোড। সিটি নির্বাচন স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এই নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা প্রকাশ্যে ও প্রবলভাবে থাকলেও সবাই জানতেন এই নির্বাচনের ফলাফল বা জয়-পরাজয় সরকার পরিবর্তনের নিয়ামক নয়। কিন্তু ক্ষমতাসীন সরকারের আচরণে মনে হয়েছে, এতে হারলেই বুঝি ক্ষমতাটা গেল! ক্ষমতার অদল-বদল না হলেও এই ছোট্ট পরিসরের নির্বাচনের অনেক বিরাট আকারের একটি রাজনৈতিক গুরুত্ব ছিল। কেউ কেউ একে মিনি পার্লামেন্ট নির্বাচন, কেউবা আবার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের 'ড্রেস রিহার্সাল' বলে অভিহিত করেছিলেন। নির্বাচনটি বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় সবার হিসাব-নিকাশই এলোমেলো হয়ে গেল। সিটি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরুর আগে দেশে তিন মাস এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ ছিল। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের ডাকে টানা অবরোধ ও হরতাল চলছিল দেশজুড়ে। অবরোধ কর্মসূচি নাকি এখনো বলবৎ আছে! কিন্তু কোথায় অবরোধ? তিন মাসের অবরোধ এবং দুই মাস সপ্তাহে পাঁচ দিন করে হরতাল চলাকালে দেড় শতাধিক মানুষ মারা গেছেন। এর মধ্যে ৮০ জন মারা গেছেন পেট্রলবোমা হামলা, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি নাশকতায়, বাকিরা মারা গেছেন ক্রসফায়ার নামক আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সংঘর্ষ ইত্যাদিতে।

বিএনপির সমস্যা হচ্ছে, সরকার পক্ষ যেমন পরিচিত শতমুখে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে প্রচার-অপপ্রচার চালিয়েছে, বিএনপি-জামায়াত সেভাবে পারেনি। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া, দুই প্রভাবশালী নেতা কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানের ফাঁসি, ভোগকালীন কারাগারে গোলাম আযমের মৃত্যু, অনেকের জেল, মামলা-মোকদ্দমা, বিশেষ করে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দলগতভাবেও কোণঠাসা জামায়াত বর্তমানে ব্যাক ফুটে আছে। তাদের পক্ষে সরকারের সঙ্গে টক্কর দেওয়া সম্ভব নয়। তারা কৌশলীও বটে! কখনো কখনো সরকারের সঙ্গে তলে তলে তাদের সমঝোতার ব্যাপারেও রব ওঠে। বিএনপির ব্যাপারটা কিন্তু বিস্ময়কর তাদের পার্টি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া এসব ব্যাপারে জোরালোভাবে কথা বলার যেন লোকই নেই। তিন মাসের অবরোধ চলাকালে সহিংসতা-নাশকতার সঙ্গে বিএনপি জড়িত নয় এ কথা বেগম জিয়াই বারবার বলেছেন। বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রায় এক কুড়ি সদস্যের মধ্যে একজন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত, আর দুজন খোন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কারারুদ্ধ। বাকি সবাই মুক্ত আলো-বাতাসেই আছেন। তাদের মধ্যে লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান প্রায়শ কথাবার্তা বলেন মিডিয়ায়, লেখালেখিও করেন মাঝে মাঝে। আর দুজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হান্নান শাহ এবং নজরুল ইসলাম খানের নামও হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকের মতো দেখা যায়। কিন্তু বড়ই নিষ্প্রভ। দলের সাইজ ও নেতার সাইজ অনুযায়ী ভূমিকা অতিশয় অদৃশ্য প্রায়। ফলে তিন মাসের সহিংসতা-নাশকতার ব্যাপারে ব্লেইম গেমেও পরাস্ত বিএনপি। তাছাড়া 'করপোরেট হাউসের' মতো কর্মচারী দ্বারা চালিত দল হয়ে যাওয়ায় অনেক সময়ই বোঝা মুশকিল হয়ে যায় যে, এটা কি একটি রাজনৈতিক দল? তিন মাস লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি পালন করে (এখনো সেই কর্মসূচি নাকি জারি আছে) তারা যে রাজনৈতিক অপরিপক্বতার পরিচয় দিয়েছে তাতে দলের বর্তমান সর্বেসর্বাদের রাজনৈতিক মানও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। একটি রাজনৈতিক দল তার সাংগঠনিক অবস্থা, সমর্থনের জোর ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও কষ্ট স্বীকারের সীমারেখা বিবেচনা করেই কর্মসূচি প্রণয়ন করে। কর্মসূচির পরিধি, সময়কাল ও তীব্রতা নির্ধারণ করা হয় সাফল্যের লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। যে কর্মসূচি দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের কাছেই বোঝা ও জনক মনে হয়, জনগণ যাতে শুধু ক্ষতিগ্রস্ত ও বিরক্ত হয় না, বিরোধিতাও শুরু করে, সে কর্মসূচি ব্যর্থ বলে প্রমাণিত হয়। বিএনপি-জামায়াতের তিন মাসের টানা অবরোধ ও দুই মাসের হরতাল কর্মসূচি তার সাফল্য লাভ করেনি। কোনো প্রকাশ্য আন্দোলন কর্মসূচি যদি ব্যর্থতার পথে এগুতে থাকে, সেখান থেকে ফিরে আসা সহজ নয়। মেরে-কেটে, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়েও যদি কোনো আন্দোলন-লড়াই মোকাবিলায় শাসকগোষ্ঠীও ব্যর্থ হয়, সেই আন্দোলন সহিংসতা-নাশকতা হোক, আর অবরোধ-অসহযোগই হোক- তারও এমন একটা পথ খোঁজা উচিত, যে পথে শান্তি আর স্বস্তির আলোর রেখা দেখা যায়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের বিরোধিতা করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি অংশগ্রহণমূলক মধ্যবর্তী নির্বাচন চেয়ে আসছে বিএনপি। অনেকের ধারণা, মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক এবং একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামী বিএনপির এ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত না থাকলে আন্দোলনটি ভিন্ন মর্যাদায় অভিষিক্ত হতো। একটি অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি গণতান্ত্রিক দাবি। এই দাবিতে আন্দোলন গণতান্ত্রিক আন্দোলন। সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি গণতন্ত্রের মিত্র নয়, শত্রু। এদের সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন হয় না। তাছাড়া বিএনপির এজেন্ডা আশু মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি আদায় হলেও জামায়াতের এজেন্ডা কিন্তু তা নয়। তাদের এজেন্ডা দল ও নেতাদের রক্ষা করা। অস্থিতিশীলতা জিইয়ে রাখতে পারলেই তাদের লাভ। বিএনপি জিতে গেলে সুবিধা নেবে, চাপে ফেলে সরকারের কাছ থেকে তলে তলে ফায়দা নেওয়া গেলে তাও লাভ। সঙ্গিনী-সাপের মতো। এরা বিএনপির সঙ্গে না থাকলে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ছোট-মাঝারি কিছু প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল, শক্তি ও ব্যক্তিকে বিএনপি কাছে পেতে পারত। সে যাগগে। তিন মাসের আন্দোলনে বিএনপি তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি এটাই হলো সত্য। সরকার শক্তি প্রয়োগ করেও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। এটাও সত্য।

এমতাবস্থায় তিন সিটি নির্বাচনের ঘোষণাটি আসে। এর আগে থেকেই দুই পক্ষকে এক জায়গায় বসানো এবং একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাধানের উদ্যোগ চলে নানা মহল থেকে। ব্যবসায়ীরা উদ্যোগ নেন, বুদ্ধিজীবী মহল থেকে চেষ্টা করা হয়, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. শামসুল হুদার নেতৃত্বে একটি নাগরিক কমিটিও গঠিত হয় সমঝোতা উদ্যোগ চালানোর উদ্দেশ্যে। তারা এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিঠিও লেখেন। বিদেশি কূটনীতিকদেরও প্রকাশ্যে উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, খোদ জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিনের সমঝোতার উদ্যোগ সাফল্যের মুখ দেখেনি। হঠাৎ করে মনে হলো বরফ গলতে শুরু করেছে। মারমুখী দুই নেত্রী শেখ হাসিনা, বেগম খালেদা জিয়া হঠাৎ করেই যেন শান্ত হলেন। বেগম খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা দিলেন, সরকার জামিন আবেদনে কোনো প্রকার বিরোধিতা করল না, খালেদা জিয়ার জামিন হলো, তিনি তার গুলশান অফিসে নয়, বাসায় গেলেন। সব কিছু যেন ম্যাজিকের মতো ঘটল। সিটি নির্বাচনের ঘোষণা এলো। সবার মনে থাকার কথা যে, উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপ থেকে শেষ ধাপ পর্যন্ত শাসক দলের সীমাহীন কারচুপি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈরী ভূমিকা, সর্বোপরি নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের প্রতিবাদে বিএনপি ঘোষণা করেছিল, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে তারা আর কোনো নির্বাচনে যাবে না। কিন্তু সেই ঘোষণা থেকে সরে এসে তিন সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিলেন বেগম খালেদা জিয়া। এটা অবশ্যই একটা তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।

নির্বাচনটি শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে যেমনটি আশা করা গিয়েছিল মোটেই তেমন হয়নি। বরং এই সরকারের অধীনে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকেও হার মানিয়েছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ছিল না। একপক্ষীয় নির্বাচনে ১৫৩ আসনে কোনো নির্বাচনই হয়নি। বাকি আসনে 'আমরা আর মামুরা' মিলে যা খুশি তাই করেছে। এবার তিন সিটি নির্বাচন ছিল অংশগ্রহণমূলক। শুনেছি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনটি স্বচ্ছ করতে চেয়েছিলেন। এখন চরম একটি অস্বচ্ছ ও নোংরা নির্বাচনের বদনাম বইতে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকেই। অনেকে বলেন, সরকারের মধ্যে আরেকটি শক্তিশালী সরকার আছে। তারা পরাজয়ের কোনো ঝুঁকি নেননি। এই নির্বাচনে পরাজয়কে তারা হয়তো ভেবেছেন সরকারের দ্রুত বিদায়ের অশনি সংকেত। তারাই নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন কমিশন তাই এই নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দিয়েও 'লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড' নিশ্চিত করেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সরকার পক্ষের প্রার্থীদের সুবিধার জন্য যা যা করা দরকার সব কিছু করেছে বলে এন্তার অভিযোগ মিডিয়াতেও এসেছে। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা অনেকে বাসাবাড়িতেই নেই, এলাকাতেও থাকতে পারেননি। কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থীকে গ্রেফতারও করা হয়। বিরোধীরা নির্বাচনে সেনাবাহিনী তলবের দাবি করেছিল। নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্তও নিয়েছিল ২৬ থেকে ২৮ এপ্রিল সেনাবাহিনী টহলে থাকবে। কিন্তু পরদিনই তা পাল্টে ফেলে। নির্বাচনের দিন যে ধরনের কারচুপির অভিযোগ পত্র-পত্রিকায় এবং বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের পর্দায় এসেছে, সেনাবাহিনী টহলে থাকলে এসব সম্ভব হতো না বলেই বলছেন পর্যবেক্ষকরা। সব নির্বাচনী কেন্দ্র যে শাসক দলের লোকদের নিয়ন্ত্রণে ও পাহারায় ছিল তা প্রত্যক্ষ করেছে। এমন একটা ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল যে, বিরোধী প্রার্থী বা তাদের কর্মী-সমর্থকরা তো বটেই, সাধারণ মানুষও ভয়ে পা বাড়ায়নি সেদিকে। যা ইচ্ছা তাই হয়েছে ভোটকেন্দ্রের ভিতরে। জাল ভোট, সিল মারামারি, আগেই ব্যালট পেপারে সিল মেরে রাখা, কী হয়নি? মিডিয়াতে সবই ফাঁস হয়ে গেছে। 'জনগণের চোখের সিসিটিভিতে' সবই ধরা পড়েছে। এই লজ্জা এবার বিদেশি কূটনীতিকদের কাছেও লুকিয়ে রাখা যায়নি। এই নির্বাচনে বিএনপির বহু দুর্বলতা আছে। প্রমাণ হয়েছে বিএনপির সমর্থক বিপুল, কিন্তু সংগঠন বড় দুর্বল। প্রার্থী বাছাইয়ে দুর্বলতা ছিল। তাবিথ আউয়াল বিএনপির কে? বিকল্প কোনো প্রার্থী ছিল না কেন? ৯৩ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৫৪ জনই মামলায় জড়িত প্রার্থী কেন দেওয়া হলো? বিএনপিতে আর লোক নেই? বিকল্প এজেন্ট ছিল না কেন? যেসব এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বা বের করে দেওয়া হয়েছে বা ভয় দেখানো হয়েছে আগের রাতে তারা কারা? তারা প্রতিবাদ করল না কেন? সব এজেন্ট পার্টি অফিসের সামনে জড়ো হলে তো ১৫-২০ হাজার লোকের একটা প্রতিবাদ সমাবেশ ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদী মিছিল করা যেত। পুলিশ বাধা দিত বা মামলা দিত বা গ্রেফতার করত- এই তো? 'খাড়া' কমিটি 'শোয়া' কমিটি, 'লম্বা' বেঁটে কমিটির মতো কমিটি! কত নেতা! তারা কই? যাদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা নেই তারাই বা কই? সেদিন ভোট জালিয়াতির শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করতে গিয়ে ২০০-৩০০ বা তারও বেশি নেতা-কর্মী গ্রেফতার হতেন তাতে রাজনৈতিক অর্জন কি আরও বেশি হতো না? নির্বাচন বর্জনের ঘোষণাটি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের কাছে এসেছে একজন কর্মচারীর মাধ্যমে। টেলিফোনে তা শোনা গেছে। বেগম খালেদা জিয়ার বরাত দিয়ে প্রদত্ত নির্দেশনাটি যদি মিথ্যে হতো? হতে তো পারত। এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও দলের প্রধান নেত্রী যদি তার নীতিনির্ধারক(!) একজন সহকর্মীর সঙ্গে সরাসরি কথা না বলেন, দলের অন্য নেতা-কর্মীরা দলের এমন উঁচু পদাধিকারীকে মান্য করবে না, গুলশান অফিসের কর্মচারীদের তোয়াজ-তোষামোদ করবে?

এতসব ভুল-দুর্বলতার পরও এই সিটি নির্বাচনে বিএনপি একটি কাজ করতে পেরেছে সাফল্যের সঙ্গে। দেশি-বিদেশি সবার কাছে সরকারি দলের কারচুপি হাতেনাতে ধরিয়ে দিতে পেরেছে। পেরেছে মুখোশ উন্মোচন করে দিতে। বিদেশি কূটনীতিকরাও সরেজমিন, স্বচক্ষে দেখলেন সব কিছু। দেখে তারা স্তম্ভিত ও হতাশ।

সিটি নির্বাচন সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাদের পর্যবেক্ষণেও ধরা পড়েছে ভোট কারচুপি। তারা কারচুপির নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে, বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণভিত্তিক অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। যুক্তরাজ্যও একই দাবি করেছে। এদিকে ভোট কারচুপির তদন্ত চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা। তাদের সুষ্ঠু তদন্তের ব্যাপারে জাতিসংঘও দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। স্পষ্ট হয়েছে, ভোট কারচুপি হাতেনাতে ধরা পড়েছে বিদেশিদের কাছেও। সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম শাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রার্থিত তদন্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হলে তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে দূরে রাখতে হবে।

এমন একটি কেলেঙ্কারির নির্বাচনে ইসি যাদের বিজয়ী ঘোষণা করেছে, এই জয়ে কোনো স্বচ্ছতা নেই, গৌরব নেই। বিএনপি ভোট বর্জন করে রাজনৈতিকভাবে বড় অর্জন করেছে। ভোট কারচুপি হাতেনাতে ধরিয়ে দিয়ে তারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তার মিত্রদের মুখোশের অন্তরালে লুকোনো আসল চেহারা উন্মোচন করে দিতে পেরেছে। গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের মন্তব্য হচ্ছে, সরকার ও নির্বাচন কমিশন একটি বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বুকেই বিষাক্ত তীর বিদ্ধ করল। এতে আপাতত সুখ সুখ মনে হলেও আখেরে দুঃখ আছে।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল :[email protected]

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার : দূরদৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত
বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার : দূরদৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
সর্বশেষ খবর
'কালি মুছে গেলেও জাল ভোটের সুযোগ নেই'
'কালি মুছে গেলেও জাল ভোটের সুযোগ নেই'

৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার

৫ মিনিট আগে | পরবাস

১০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা কাঠের সেতু এখন অকেজো
১০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা কাঠের সেতু এখন অকেজো

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস
শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান
'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান

২৭ মিনিট আগে | শোবিজ

মা ইলিশ রক্ষায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা
মা ইলিশ রক্ষায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা

৩১ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ স্বামী
গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ স্বামী

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দরিদ্র ভ্যানচালকের ৬ মেয়ের শিক্ষার দায়িত্ব নিলো ছাত্রদল
দরিদ্র ভ্যানচালকের ৬ মেয়ের শিক্ষার দায়িত্ব নিলো ছাত্রদল

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ড এককভাবে মরক্কোর
টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ড এককভাবে মরক্কোর

৩৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাকচাপায় জাবি ছাত্রী নিহত
ট্রাকচাপায় জাবি ছাত্রী নিহত

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫ দফা দাবিতে গোপালগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন
৫ দফা দাবিতে গোপালগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান
একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান

৪৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচিতে মিলছে সাড়া
পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচিতে মিলছে সাড়া

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প
হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কর জাল সম্প্রসারণে এনবিআরের ১২ নতুন ইউনিট গঠন
কর জাল সম্প্রসারণে এনবিআরের ১২ নতুন ইউনিট গঠন

৫৫ মিনিট আগে | জাতীয়

১৬ লাশের মধ্যে সাত লাশ হস্তান্তর হতে পারে
১৬ লাশের মধ্যে সাত লাশ হস্তান্তর হতে পারে

৫৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

তারেক রহমানের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ
তারেক রহমানের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আটক ৬১ জেলে
চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আটক ৬১ জেলে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই-আগস্টের ৭ মামলায় সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির
জুলাই-আগস্টের ৭ মামলায় সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা
দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উষ্ণায়নের ফলে ধ্বংসের পথে প্রবাল প্রাচীর
উষ্ণায়নের ফলে ধ্বংসের পথে প্রবাল প্রাচীর

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের
আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের সম্মান বাড়বে: চবি উপাচার্য
নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের সম্মান বাড়বে: চবি উপাচার্য

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জামায়াত নেতা হত্যা: একজনের আমৃত্যুসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন
জামায়াত নেতা হত্যা: একজনের আমৃত্যুসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত
নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্রিকসের দেশগুলোকে শুল্ক দিতে হবে, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
ব্রিকসের দেশগুলোকে শুল্ক দিতে হবে, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

২৩ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান
১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি
ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর
আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা
চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল
নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল

পেছনের পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

রাকিবের গোলে ১ পয়েন্ট
রাকিবের গোলে ১ পয়েন্ট

মাঠে ময়দানে

অধরাই বিকল্প বাজার
অধরাই বিকল্প বাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

১২ বছর চলছে ১১ কিমি সড়কের কাজ!
১২ বছর চলছে ১১ কিমি সড়কের কাজ!

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮
বেরোবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, বহিষ্কার ৮

নগর জীবন