এই বাংলা বাঘিনী সইতে পারে না। কখনো কখনো বাঘও সইতে পারে না। আমাদের মতো দেখতে কেউ যদি আমাদের চেয়ে সাইজে বড় হয়ে যায়, তখন আমরা যেনো অস্তিত্বের সংকটে পড়ে যাই। তাকে টেনে হিঁচড়ে নামানোর আগ পর্যন্ত আমি নিজের অস্তিত্ব টের পাই না। আর ঘটনা যদি হয় কোনো বাঘিনীর সংগে তাহলে তো কথাই নাই। তাকে অপদস্থ করতে করতে নর্দমায় নামানোর আগে থামাথামি নাই।
ভাস্কর নভেরা আহমেদ তেমনি এক বাঘিনী। এই অঞ্চলের আধুনিক ভাস্কর্য শিল্পের মাতা। কোন অভিমানে তিনি দেশ ছেড়ে বিদেশে আড়ালে রইলেন তার দালিলিক প্রমাণ আমাদের হাতে না থাকলেও আমরা বুঝতে পারি তার পেছনে আমাদের পিতামহদের কি কি পাপ আছে, কি কি ভাবে আমরা নভেরার মনে বিষ ঢুকিয়ে দিয়েছি।
আজকে এই শিল্পী সব অভিমান সাথে নিয়ে চলে গেছেন অন্য দুনিয়ায়।
উনি কখনোই উনাকে ডিফেন্ড করতে আসেন নাই, প্রচার করতে আসেন নাই। সামনে আর কখনো আসবেনও না।
কিন্তু তবু তিনি বাংলায় আধুনিক ভাস্কর্যের মাতা হইয়াই থাকিবেন। শহীদ মিনার সৃষ্টির পেছনে তাকে কোনো কৃতিত্ব তাকে দেয়া হউক বা না হউক।
ফেসবুক থেকে সংগ্রহ
বিডি-প্রতিদিন/ ০৯ মে ১৫/ সালাহ উদ্দীন