শিরোনাম
প্রকাশ: ২০:৩৭, মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ: বঙ্গবন্ধু থেকে জননেত্রী

ড. কাজী এরতেজা হাসান
অনলাইন ভার্সন
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ: বঙ্গবন্ধু থেকে জননেত্রী

২৩ জুন ২০২১ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আওয়ামী লীগ এ উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন দল। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের অর্জন অনেক। আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীন বাংলাদেশ। বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে কোন স্বাধীন ভূ-খণ্ড ছিল না। আওয়ামী লীগ অতুলনীয় রাজনৈতিক গুণাবলী সম্পন্ন বিশ্বমানের একজন নেতা তৈরি করেছে। 

বিশ্ব রাজনীতির হাজার বছরের ইতিহাসে একটি রাজনৈতিক দলের একজন নেতার একক নেতৃত্বে মাত্র ২২ বছরের কম সময়ের মধ্যে একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার কোনো দ্বিতীয় নজির নেই। শেখ মুজিব তার ৪ দশকের রাজনৈতিক জীবনে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। ঠিক তেমনিই জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা হিসাবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক মুক্তির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। এই করোনাকালীন মহামারীর সময়েও একক নেতৃত্ব আর দুরদর্শিতার মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনা পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এ যেন রাজনৈতিক পরম্পরা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু লড়াই, সংগ্রাম আর আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীন ও সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। তার কন্যা হিসাবে শেখ হাসিনা আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দিতে বিশ্বের বুকে মর্যাদাশীল জাতিতে পরিণত করছেন। 

আজকের ঐতিহাসিক এই দিনে আমি আওয়ামী লীগের ৭২ বছরকে মোটা দাগে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের পুরোভাবে ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। মাঝখানে ৬ বছর বাদ দিয়ে ৪০ বছর ধরে দলের নেতৃত্বে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

পিতা ও কন্যার মধ্যে আওয়ামী লীগে কার অবদান বেশি- সেই বিচারের ভার ইতিহাসের। তবে এটুকু বলতে পারি, কঠিন চড়াই-উতরাইয়ের ভেতর দিয়ে ৭২ বছরের আওয়ামী লীগকে আজকের অবস্থানে আনতে নিঃসন্দেহে পিতা-কন্যাই সর্বোচ্চ অবদান রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। দৃঢ়তার সাথেই বলতে পারি, একে অপরের পরিপূরক। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যথার্থই বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন। আর দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা।’

এটা ঠিক, আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আজকের অবস্থানে আসতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ গঠনের পর থেকেই পশ্চিমা শোষক, শাসক ও পাকিস্তান সামরিক চক্র এ দলের বিরোধিতা করে আসছে। পাকিস্তানের ২২ বছরে প্রায় ১২ বছর শেখ মুজিবকে জেলে অন্তরীণ রাখা হয়। শুধু পূর্ব বাংলার মানুষের পক্ষে ন্যায্য কথা বলার জন্য শেখ মুজিবকে দু’বার ফাঁসির মঞ্চে যেতে হয়েছে। শেখ মুজিব তার কঠিন রাজনৈতিক জীবনে কোনদিন আত্মগোপনে যাননি। তিনি যে কতবার গ্রেফতার হয়েছেন, এর সঠিক হিসাব এ পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি। জেলে যাওয়ার জন্য একটি ছোট্ট বেডিং সব সময়ই রেডি থাকতো। জেলখানাকে বলা হতো মুজিবের দ্বিতীয় বাসভবন। বাংলা ও বাঙালির দুঃখী মানুষের নেতা শেখ মুজিবের কোন পারিবারিক জীবন ছিল না। জেল থেকে বের হয়ে নৌকায়, সাইকেলে ও হেঁটে সারা বাংলা ঘুরে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছেন।

প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের চাটুকার গভর্নর মোনায়েম খান প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘আমি যতদিন গভর্নর থাকব, শেখ মুজিব ততদিন সূর্যের মুখ দেখতে পারবে না।’ অর্থাৎ মুজিবকে জেলের ভেতরেই থাকতে হবে। মোনায়েম খান এমন কথাও বলেছিলেন, ‘কোন সরকারি কর্মকর্তা শেখ মুজিবের মেয়েকে বিয়ে করলে তাকে চাকরিচ্যুত করা হবে।’ কিন্তু ফাঁসির মঞ্চে নিয়েও সাহসের বরপুত্র শেখ মুজিবকে দমাতে পারেনি। আসলে শেখ মুজিবের লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে তিনি বাংলাদেশকে স্বাধীন করবেন। শেষ পর্যন্ত তিনি কামিয়াব হন। তরুণ নেতা শেখ মুজিবসহ অন্য নেতারা পাকিস্তান সৃষ্টির অব্যবহিত পরেই বুঝে ফেলেন, এ অদ্ভুত আকৃতির দেশ দীর্ঘকাল টিকে থাকবে না। ১৯৪৯ সালের ১৮, ১৯ ও ২০ জুন পূর্ববঙ্গ মুসলিম লীগের দ্বিতীয় কাউন্সিলে মুসলিম লীগের প্রথম সারির নেতা চৌধুরী খালিকুজ্জামান পূর্ব বাংলার নেতাদের একাংশকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অভিযুক্ত করেন।

এই সম্মেলনের প্রতিক্রিয়া হিসেবেই দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুব্ধ পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতারা ১৯৪৯-এর ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলির কেএম দাশ লেনে অবস্থিত রোজ গার্ডেন হলরুমে আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্বে একটি সম্মেলনে মিলিত হন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। শেরেবাংলা একে ফজলুল হক সম্মেলনে কিছুক্ষণের জন্য উপস্থিত থেকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। সভায় পূর্ব বাংলায় একটি আসনের উপ-নির্বাচনে বিজয়ী প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (এমএলএ) শামসুল হক ‘মূল দাবি’ নামক একটি লিখিত পুস্তিকায় পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ, জনগণের প্রত্যাশা ইত্যাদি বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সারা দেশ থেকে শ’তিনেক প্রতিনিধি ওই সম্মেলনে উপস্থিত হন। এই সম্মেলনেই পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ গঠন করা হয়। মওলানা ভাসানীকে সভাপতি ও শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে ৪০ সদস্যবিশিষ্ট সাংগঠনিক কমিটি গঠন করা হয়। যুবনেতা শেখ মুজিব কারাগারে থেকেই মাত্র ২৯ বছর বয়সে দলের প্রথম যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন।

কমিটির অন্য নেতারা হলেন- সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান, সাখাওয়াত হোসেন (ঢাকা চেম্বারের প্রেসিডেন্ট), আলী আহমদ এমএলএ, অ্যাডভোকেট আলী আমজাদ খান, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম খান, ২নং যুগ্ম-সম্পাদক খোন্দকার মোশতাক আহমদ, সহ-সম্পাদক- একেএম রফিকুল হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ- ইয়ার মোহাম্মদ খান।

কারাগার থেকে যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত শেখ মুজিব মুক্তিলাভ করেন জুলাইয়ের শেষ দিকে। জেল থেকে বের হয়ে তিনি বিরাজমান খাদ্য সংকটের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করেন। শেখ মুজিব সেপ্টেম্বরে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের দায়ে গ্রেফতার হয়ে কয়েকদিন পর বের হয়ে আসেন। অক্টোবরে আওয়ামী মুসলিম লীগের সভায় পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী নূরুল আমিনের পদত্যাগ দাবি করেন শেখ মুজিব। ১৯৫৩ সালের ৯ জুলাই পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ মুজিব দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর আগে শামসুল হক অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

স্বাধীনতা লাভের মাত্র ৮ বছরের মাথায় ১৯৫৫ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ কার্যকরী পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ‘পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন দেয়া না হলে দলীয় সদস্যরা আইনসভা থেকে পদত্যাগ করবেন।’ এভাবেই আওয়ামী লীগ স্বায়ত্তশাসন দাবির মাধ্যমে স্বাধীনতার সোপান তৈরি করে। গোড়া থেকেই পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় যে শেখ মুজিবের ছিল, তা গণপরিষদের প্রদত্ত তার বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়। ২৫ আগস্ট (১৯৫৫) করাচিতে পাকিস্তান গণপরিষদে প্রদত্ত বক্তব্যে শেখ মুজিব বলেন, ‘আমরা বহুবার দাবি জানিয়েছি যে, আপনারা পূর্ব পাকিস্তানকে বাংলা নামে ডাকেন। বাংলা শব্দটার একটা নিজস্ব ইতিহাস আছে, আছে এর একটা ঐতিহ্য। এই নাম আপনারা আমাদের জনগণের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পরিবর্তন করতে পারেন। আপনারা যদি ওই নাম পরিবর্তন করতে চান, তাহলে আমাদের বাংলায় আবার যেতে হবে এবং সেখানকার জনগণের কাছে জিজ্ঞেস করতে হবে তারা নাম পরিবর্তনকে মেনে নেবে কিনা।’ এভাবে আইনসভায় পশ্চিম পাকিস্তানিদের আপনারা আর পূর্ব পাকিস্তানিদের আমরা বলে উল্লেখ করে মুজিব জানান দিলেন, পাকিস্তান এক সময় দুই টুকরা হয়ে যাবে।

ওই বছরই (১৯৫৫) ২১ অক্টোবর দলের বিশেষ কাউন্সিলে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে ‘মুসলিম’ শব্দ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কাউন্সিলে শেখ মুজিব দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৬ সালের ২৪ জুলাই আওয়ামী লীগের সভায় প্রশাসনে সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিত্বের বিরোধিতা করে একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১৯৫৭ সালের ৩০ মে শেখ মুজিব পুরো সময় দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন। আওয়ামী লীগ আজকে বঙ্গবন্ধু ও দলের সেই আদর্শ থেকে দূরে সরে এসেছে। ওই সময় সিদ্ধান্ত ছিল, যিনি মন্ত্রী হবেন, তিনি দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারবেন না। ১৯৭২ সালে দলের বিশেষ কাউন্সিলে অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সাধারণ সম্পাদক পদ ছেড়ে দিলে জিল্লুর রহমান সেই পদে নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সভাপতির পদ ছেড়ে দেন। মন্ত্রিত্ব ছেড়ে ওই পদে আসেন এএইচএম কামারুজ্জামান।

আওয়ামী লীগের ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস। একটি মাত্র লেখার মাধ্যমে এই ঐতিহ্যবাহী দল সম্বন্ধে কোনোকিছুই লেখা সম্ভব নয়। আইয়ুবের সামরিক শাসনের বেড়াজালের মধ্যে ১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারি শেখ মুজিবের বাসভবনে অনুষ্ঠিত সভায় আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবিত করা হয়। ১৯৬৬ সালের ২০ মার্চ শেখ মুজিব সভাপতি ও তাজউদ্দীন আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলগুলোর জাতীয় সম্মেলনে ৬-দফা দাবি পেশ করেন বাংলার নেতা মুজিব। আওয়ামী লীগ নেতারা ৩ মাসের প্রচারণায় ছয়-দফাকে জনপ্রিয় দাবিতে পরিণত করে তোলেন।

এরপর আবার শুরু হলো গ্রেফতার, হয়রানি, নির্যাতন। আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। বেশ কয়েকবার গ্রেফতার ও জামিনে মুক্তির পর ’৬৬-এর ৮ মে রাতে মুজিব, তাজউদ্দীনসহ বড় নেতাদের গ্রেফতার করা হয় দেশরক্ষা আইনে। গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও ছয় দফার সমর্থনে স্বৈর-সামরিক শাসনের মধ্যেই ৭ জুন সফল হরতাল পালন করা হয়। এরপর মুজিবকে হত্যার জন্য নয়া ষড়যন্ত্র করে আইয়ুব-মোনায়েম চক্র। ১৯৬৮-এর ৩ জানুয়ারি শেখ মুজিবকে এক নম্বর আসামি করে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হলো আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। ১৭ জানুয়ারি রাতে বঙ্গশার্দুল মুজিবকে মুক্তি দিয়ে জেলগেটে পুনরায় গ্রেফতার করে সেনানিবাসে আটক রাখা হয়। ষড়যন্ত্র মামলার বিচার শুরু হয় ১৯ জুন। এ সময় জেলে থেকেই শেখ মুজিব বাংলার মানুষের মুকুটহীন সম্রাটে পরিণত হন।

গণঅভ্যুত্থানে ১৯৬৯-এর ২২ ফেব্রুয়ারি ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে মুজিবসহ ৩৪ জনকে মুক্তি দেয়া হলো। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি অন্যতম আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হককে ঢাকা কারাগারে গুলিতে হত্যা করে পাকি সামরিক চক্র। ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে লাখ লাখ লোকের সমাবেশে শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ’৬৯-এর ৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু সোহরাওয়ার্দীর স্মরণসভায় পূর্ব পাকিস্তানের নামকরণ করেন বাংলাদেশ। ১৯৬৯-এর ২৫ মার্চ আইয়ুবের বিদায়ের পর জেনারেল ইয়াহিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন। আগেই বলেছি, আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর বড় অর্জন বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশে পরিণত করা। ’৭০-এর ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে পূর্ব বাংলায় ১৬৯ (১৬২+৭) আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৬৭ (১৬০+৭) আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ১৭ ডিসেম্বর প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৮টি পায় আওয়ামী লীগ। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করে ইয়াহিয়ার সামরিক চক্র।

৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের কামান-বন্দুকের সামনে প্রকারান্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ২৩ মার্চ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনসহ সারা বাংলাদেশে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ানো হয়। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সামরিক চক্র বাংলার নিরস্ত্র মানুষের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়। ওই রাতে গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের আম্রকাননে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য প্রবাসী সরকার শপথ গ্রহণ করে। শত্রুর হাতে বন্দী বঙ্গবন্ধু মুজিবকেই করা হয় রাষ্ট্রপতি। বঙ্গবন্ধুর নামেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও তাজউদ্দীন আহমেদ এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামদের যোগ্য পরিচালনায় ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর দেশ চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। ’৭২-এর ১০ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু স্বদেশে ফিরে আসেন।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার মাত্র দশ মাসে জাতিকে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য সংবিধান উপহার দেয়। সরকার অল্প সময়ে বিশ্বের প্রায় সব দেশের স্বীকৃতি আদায় করে। স্বাধীনতার শত্রুরা সাড়ে তিন বছরের মাথায় সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে।

জিয়ার সামরিক চক্র আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে ১৯৭৮ সালে বিএনপি গঠন করে। জিয়া, এরশাদ, খালেদা তিনজনই জাতির পিতা হত্যার বিচার বন্ধ, স্থগিত ও আত্মস্বীকৃত খুনিদের পুরস্কৃত করেন। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের কামড়াকামড়ির মধ্যে দিল্লি প্রবাসী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দলের সভানেত্রী নির্বাচিত হন। ১৭ মে দেশে ফিরে তিন ভাগে বিভক্ত আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করেন শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৩ মাসের মধ্যে ১৯৭৫ এর ৭ নভেম্বর সেনাপ্রধান জিয়া উপপ্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন। এরপর তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতির গদি ছিনতাই করে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হন। ঘাতক সর্দার জিয়া শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যা-ষড়যন্ত্রে মদদ দেননি, তিনি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসকে সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেন। তিনি স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানের দালালদের ক্ষমতায় বসান। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করেন।

আমি মনে করি, ইতিহাস একদিন বলবে; মুক্তিযোদ্ধা জিয়া প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতাযুদ্ধে অনুপ্রবেশকারী ছিলেন। এটা যদিও এখন দালিলিক প্রমাণ পাওয়া গেছে এ বিষয়ে। জিয়া, এরশাদ ও খালেদা তিনজনই পাকিস্তানের প্রেতাত্মা। এ তিন কুচক্রী মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তানে পরিণত করেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা নেতৃত্বে এসে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনেন। জিয়া-এরশাদ তো স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রায় পূর্ব পাকিস্তানে রূপান্তরিত করেছিল। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা আসলে জিয়ার বানানো পূর্ব পাকিস্তানেই ফিরে আসেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজনীতি করে বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগকে ভারতীয় কংগ্রেসের ধারায় ফিরিয়ে এনেছেন।

১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভারতীয় কংগ্রেস একাধারে ৩০ বছর ক্ষমতায় ছিল। কংগ্রেসের নেতৃত্বেই ভারত স্বাধীন হয়। স্বাধীনতাবিরোধী জিয়া চক্র বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সাড়ে তিন বছরের মাথায় রাষ্ট্রপিতাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করে। শেখ হাসিনা জনক হত্যার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা ২০০৮ থেকে পর পর ৩ বার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এনেছেন। যদ্দুর জানা যায়, গণতান্ত্রিক বিশ্বে ভোটের মাধ্যমে এভাবে অন্য কোন নেতা শেখ হাসিনার মতো ৪ বার নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়নি।

আজকের এই বাংলাদেশ, বর্হিবিশ্বে আমরা গর্বিত জাতিতে পরিণত হয়েছি। বিশ্বের বুকে এক সময় তলাবিহীন ঝুড়ি যারা বলতো, তারাই এখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করায় জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশীরা এখন মর্যাদাশীল জাতিতে পরিণত হয়েছেন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই। বিশ্ব মোড়লদের বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অর্থনৈতিক সক্ষমতার সফলতা দেখিয়ে চলছেন নিরন্তর। আওয়ামী লীগই একমাত্র রাজনৈতিক দল, যে দলটি বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের জন্য রাজনীতি করে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে যতদিন বাংলাদেশ, ততদিনই নিরাপদ এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। আমাদের সকলের উচিত শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করা।  আজকের এই দিনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

লেখক:
সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক ভোরের পাতা, দ্য পিপলস টাইম
সহ-সভাপতি, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ
সদস্য, কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য উপকমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
পরিচালক, এফবিসিসিআই
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ইরান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর
বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার : দূরদৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত
বিবিসিতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার : দূরদৃষ্টির অনন্য দৃষ্টান্ত
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
এএফসি কম্পিটিশনে বসুন্ধরা কিংস
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
বিনিয়োগ বন্ধ্যত্বে আকারে-নিরাকারে বেকার বৃদ্ধি : বাড়ছে নেশা-নৈরাজ্য
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
শিক্ষা ও গবেষণায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
তারেক রহমানের আসন্ন প্রত্যাবর্তন ও আগামীর রাজনীতি
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বিশ্ব ডিম দিবস: পুষ্টি, নিরাপত্তা ও বৈশ্বিক গুরুত্ব
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সর্বোচ্চ সতর্কতা
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
রক্তক্ষরণে ব্যবসায়ীরা, বিনিয়োগে ধ্বংসযাত্রা, চাকরিক্ষুধায় তারুণ্য
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
বিরাজনৈতিকীকরণের প্রক্রিয়া চলছে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট কি বাড়তেই থাকবে
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
উন্নতির অন্তর্গত কান্না : ব্যবস্থার বদল চাই
সর্বশেষ খবর
'কালি মুছে গেলেও জাল ভোটের সুযোগ নেই'
'কালি মুছে গেলেও জাল ভোটের সুযোগ নেই'

২২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার

২২ মিনিট আগে | পরবাস

১০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা কাঠের সেতু এখন অকেজো
১০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা কাঠের সেতু এখন অকেজো

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস
শুক্রবার থেকে সারাদেশে বৃষ্টির আভাস

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান
'অশ্লীল' তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হয় মাধুরীর গান

৪৩ মিনিট আগে | শোবিজ

মা ইলিশ রক্ষায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা
মা ইলিশ রক্ষায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা

৪৮ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ স্বামী
গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রীর, বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ স্বামী

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দরিদ্র ভ্যানচালকের ৬ মেয়ের শিক্ষার দায়িত্ব নিলো ছাত্রদল
দরিদ্র ভ্যানচালকের ৬ মেয়ের শিক্ষার দায়িত্ব নিলো ছাত্রদল

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ড এককভাবে মরক্কোর
টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ড এককভাবে মরক্কোর

৫১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাকচাপায় জাবি ছাত্রী নিহত
ট্রাকচাপায় জাবি ছাত্রী নিহত

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৫ দফা দাবিতে গোপালগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন
৫ দফা দাবিতে গোপালগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের মানববন্ধন

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান
একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন দিতে চান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচিতে মিলছে সাড়া
পঞ্চগড়ে ‘ঘরে ঘরে জনে জনে’ কর্মসূচিতে মিলছে সাড়া

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প
হামাসকে নিরস্ত্র হতে বাধ্য করা হবে, প্রয়োজনে আমরাই করব: ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কর জাল সম্প্রসারণে এনবিআরের ১২ নতুন ইউনিট গঠন
কর জাল সম্প্রসারণে এনবিআরের ১২ নতুন ইউনিট গঠন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৬ লাশের মধ্যে সাত লাশ হস্তান্তর হতে পারে
১৬ লাশের মধ্যে সাত লাশ হস্তান্তর হতে পারে

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তারেক রহমানের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ
তারেক রহমানের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আটক ৬১ জেলে
চাঁদপুরে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আটক ৬১ জেলে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই-আগস্টের ৭ মামলায় সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির
জুলাই-আগস্টের ৭ মামলায় সালমান-আনিসুলসহ ৪৫ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা
দুদকের পরিচালক হলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উষ্ণায়নের ফলে ধ্বংসের পথে প্রবাল প্রাচীর
উষ্ণায়নের ফলে ধ্বংসের পথে প্রবাল প্রাচীর

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের
আবারও সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলা পাকিস্তান-আফগানিস্তানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের সম্মান বাড়বে: চবি উপাচার্য
নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমাদের সম্মান বাড়বে: চবি উপাচার্য

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ীভাবে অপসারণ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জামায়াত নেতা হত্যা: একজনের আমৃত্যুসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন
জামায়াত নেতা হত্যা: একজনের আমৃত্যুসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত
নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্রিকসের দেশগুলোকে শুল্ক দিতে হবে, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
ব্রিকসের দেশগুলোকে শুল্ক দিতে হবে, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

২৩ ঘণ্টা আগে | টক শো

২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
২০০ রানে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস
মিসরে গাজা শান্তি সম্মেলন: দুই প্রেসিডেন্টের গোপন আলাপ ফাঁস

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে শীর্ষ ১০ থেকে ছিটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র, দেখে নিন বাংলাদেশের অবস্থান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান
১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে জলাতঙ্কে যুবকের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত
গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নিল আমিরাত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার
থাইল্যান্ডে মাদকসহ চার ইসরায়েলি সেনা গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার
ডিপ ফ্রিজ থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার
বগুড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা : রিজভী

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানি বন্ধ চীনের, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে ফের গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৯

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে হারল ব্রাজিল

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি
ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!
বিশ্বব্যাপী আকাশ প্রতিরক্ষা চীনের, ট্রাম্প কেবল স্বপ্নই দেখছেন!

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
টাইমের প্রচ্ছদে নিজের চুল ‘গায়েব’ দেখে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৪ দিন পর যুবতীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা
চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ট্যারিফ আজ থেকে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর
আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ
পুড়ে অঙ্গার ১৬ প্রাণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন
বিএনপির প্রার্থী হতে চান টকশো ব্যক্তিত্বসহ ৮ জন

নগর জীবন

নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল
নারীকে জড়িয়ে ভয়ংকর অপতথ্যের জাল

পেছনের পৃষ্ঠা

বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার
বিপ্লবী চে গুয়েভারা ও সিরাজ সিকদার

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাত্রদল-শিবির

প্রথম পৃষ্ঠা

মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ হয়েছিল মালেকগঞ্জ

প্রথম পৃষ্ঠা

আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের
আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের

পেছনের পৃষ্ঠা

রাকিবের গোলে ১ পয়েন্ট
রাকিবের গোলে ১ পয়েন্ট

মাঠে ময়দানে

অধরাই বিকল্প বাজার
অধরাই বিকল্প বাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
২০ কোটি টাকার দেশি বিদেশি জাল নোট উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার

নগর জীবন

প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি
প্রশাসনে বিশেষ দলের প্রাধান্য, উদ্বিগ্ন বিএনপি

পেছনের পৃষ্ঠা

১২ বছর চলছে ১১ কিমি সড়কের কাজ!
১২ বছর চলছে ১১ কিমি সড়কের কাজ!

নগর জীবন

ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত
ডিজিটাল বাহিনী তৈরি করেছে জামায়াত

নগর জীবন

শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি
শাপলা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে যাবে এনসিপি

নগর জীবন

প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি
প্রয়োজনে সেনা আইন সংশোধন করে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি

পেছনের পৃষ্ঠা

নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে
নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি
অ্যানথ্রাক্স রোধে ছাড়পত্র ছাড়া পশু জবাই বন্ধে প্রশাসনের আদেশ জারি

নগর জীবন

নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নকল পণ্য উৎপাদনে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

অসহায় জনগণ কষ্টে আছে
অসহায় জনগণ কষ্টে আছে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন
বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ তিন খুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে
ঝিলমিল আবাসিকে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে কাজ চলছে

নগর জীবন

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না হলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে

নগর জীবন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে আহ্বান এনসিপির

নগর জীবন

ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ
ইসি বলল শাপলার সুযোগ নেই, এনসিপির প্রতিবাদ

পেছনের পৃষ্ঠা

সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল
সোনার ভরি ২ লাখ ১৬ হাজার ছাড়াল

খবর

১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়
১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ল হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়

নগর জীবন

কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা
কোথাও আইন লঙ্ঘন হলে দ্রুত ব্যবস্থা

নগর জীবন

বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় এই সরকারের সময়েই

নগর জীবন

দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ
দেশে ২০২৫ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশ

পেছনের পৃষ্ঠা