শিরোনাম
প্রকাশ: ১৬:০৫, সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪

একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি এখন সময়ের দাবি

হরিদাস ঠাকুর
অনলাইন ভার্সন
একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি এখন সময়ের দাবি

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যা ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। এটি বাঙালির প্রতি চরমতম নিষ্ঠুরতার এক কালো অধ্যায়। ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে হলোকাস্ট’র পর ইতিহাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করা হয়। বিশ্বমানবতার নৈতিক ও আইনি দায়বদ্ধতায় এ ইতিহাসের যথাযথ স্বীকৃতি এখন সময়ের দাবি।

গণহত্যা ও নৃশংসতা সবচেয়ে ভয়ংকর অপরাধ এবং বাংলাদেশ নিজের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা থেকেই তার সাক্ষী। একাত্তরে বাঙালিদের ওপর যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড, খুন, ধর্ষণ করা হয়েছিল, তা ১৯১৫ সালে অটোমান তুর্কিদের হাতে আর্মেনীয়, ১৯৭৫ সালের কম্বোডিয়ার গণহত্যা, ১৯৯২ সালের বসনিয়া ও ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডায় তুতসি জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যার চেয়ে কম ছিল না। এমনকি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় চার-পাঁচ বছরের ব্যবধানে ইউরোপে ৬০ লাখ ইহুদি হত্যাকাণ্ডের চেয়েও ভয়াবহ ছিল মাত্র ৮ মাস ২০ দিনে ৩০ লাখ বাঙালিকে পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের ঘটনা।

১৯৭১ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, মানবসভ্যতার ইতিহাসে যতগুলো গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, তার বিপরীতে এত অল্প সময়ের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১১ হাজার পাঁচশতেরও বেশি বাঙালিকে হত্যা করা হয়েছে, যা গণহত্যার ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড।

১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক সিডনি এইড শানবার্গ যুদ্ধের পরপর বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে একটি প্রতিবেদন লিখেছিলেন, যা ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রকাশ হয়েছিল। প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল, ‘Bengalis’ Land a Vast Cemetery, যার বাংলা অর্থ হচ্ছে, ‘বাঙালির ভূখণ্ড এক বিশাল সমাধিক্ষেত্র’।

প্রতিবেদনের শিরোনাম দেখে গণহত্যার ব্যাপকতা সম্পর্কে অনুমান করা যায়। জাতিসংঘ ‘গণহত্যাবিষয়ক সনদ’-এ যে বিবরণ রয়েছে, তার সঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি হত্যাকাণ্ড ও নৃশংসতার পুরোপুরি মিল রয়েছে। জাতিসংঘ সনদে বলা হয়েছে, গণহত্যা বলতে বোঝাবে কোনো জাতি বা জাতিসত্তা, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীর সদস্যদের অংশবিশেষ বা পুরোপুরি ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত জাতি বা গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা করা, জাতি বা গোষ্ঠীর সদস্যদের গুরুতর মানসিক বা শারীরিক ক্ষতিসাধন করা, উদ্দেশ্যমূলকভাবে জাতি বা গোষ্ঠীর ওপর এমন এক জীবনযাত্রা আরোপ করা, যা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে গোষ্ঠীর ধ্বংস ডেকে আনে এবং জাতি বা গোষ্ঠীকে জোর করে অন্য জাতি বা গোষ্ঠীতে রূপান্তর করা।

সনদে আরও বলা হয়েছে, ওপরের যে কোনো একটি অপরাধ সংঘটিত হলেই তা গণহত্যা হিসেবে বিবেচিত হবে। আর তাই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তান বাহিনী ও তাদের বাংলাদেশীয় দোসরদের হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনকে গণহত্যা হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতেই হবে। ১৯৭১ সালের গণহত্যার ঘটনাগুলো স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত, তবু আজও জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়নি। আমরা বিশ্বাস করি যে, আমাদের মতো অতীতের ট্র্যাজেডিগুলো যদি অস্বীকৃত থেকে যায়, তাহলে গণহত্যা প্রতিরোধের জন্য জাতিসংঘের প্রচেষ্টা অসম্পূর্ণ থাকবে।

১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ ‘অপারেশন সার্চলাইট’ এর মাধ্যমে ৩০ লাখ বেসামরিক মানুষ নিহত হয় এবং দুই লাখ নারী ধর্ষিত হয়; এক কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ২৫ মার্চের গণহত্যার উদ্দেশ্য ছিল আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও এর আকাঙ্ক্ষাকে চিরতরে শেষ করে দেওয়া।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গণহত্যার ভয়াবহতা বিষয়ে একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করতে চাই ১৯৭১ সালের নিষ্ঠুরতম গণহত্যার বিষয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। সেমুয়েল রোজম্যান ছিলেন একজন পোলিশ একাউন্ট্যান্ট। হিটলারের জার্মান নাৎসী বাহিনী পরিচালিত ট্রেবলিংকা গ্যাস চেম্বারের একমাত্র জীবিত ব্যক্তি ছিলেন তিনি। ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬ এর নুরেমবার্গ ট্রাইবুন্যালে রোজম্যান তাঁর সাক্ষ্য দেন। তিনি সাক্ষ্যে জানান যে, ১৯৪২ এর আগস্ট মাসে, ওয়ারশ ঘেঁটু থেকে তাদের ট্রেনে তোলা হয়। মানুষ ছিল আট হাজার। ট্রেনের কয়েকটি কামরায় তোলা হয় তাদের। গন্তব্যে পৌঁছার পর তাদের নগ্ন করা হয়, তারপর সামান্য জায়গা হাঁটিয়ে ঢোকানো হয় গ্যাস চেম্বারে। হেঁটে যাওয়ার ওই জায়গাটুকুর নাম জার্মান দিয়েছিল- Himmelfahrt Strasse - স্বর্গের পথ। গ্যাস চেম্বারে ঢোকার ঠিক আগের মুহূর্তে পরিচিত একজন রোজম্যানকে সরিয়ে নিয়ে আসে। কারণ, জার্মানদের একজন অনুবাদক দরকার ছিল। রোজম্যান বেঁচে গেলেন। দুদিন পর দেখলেন আরেক ট্রেনে করে আরো কয়েক হাজার মানুষ নিয়ে আসা হয়েছে-এদের মধ্যে তাঁর মা, ভাই, বোন, স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে।

রাজম্যান দেখলেন ‘স্বর্গের পথ’ ধরে তাদের গ্যাস চেম্বারে প্রবেশ। কিছুদিন পর স্ত্রী ও সন্তানের ছবি দেওয়া হলো তাঁকে, শেষ স্মৃতি। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কিছু নৃশংসতার বর্ণনা দিয়েছেন নুরেমবার্গ ট্রাইবুন্যালে প্রদত্ত সাক্ষ্যে। যেমন-(ক) একটি দশ বছরের মেয়েকে ধরে আনা হলো তার ছোট আরেকটি বোনসহ। ছোটটির বয়স দু বছর। দুবছরের বাচ্চাকে ক্রিমাটোরিয়ামের আগুনে নিক্ষেপ করা হলো। আর্তচিৎকাররত বড় বোনকে করা হলো গুলি। (খ) এক বৃদ্ধাকে ধরে আনা হলো তার গর্ভবতী কন্যাসহ। ঘাসের ওপর চিৎ করে ফেলে নবজাতককে বের করে আনা হলো। এবার বৃদ্ধাকে জিজ্ঞেস করা হলো- কার মৃত্যু আগে দেখতে চায়। বৃদ্ধা অনুনয় জানালো তাকে আগে মেরে ফেলার জন্য। জার্মানরা ঠিক উল্টো কাজ করলো। প্রথমে নবজাতক, তারপর তরুণী-সবশেষে বৃদ্ধাকে গুলি করে হত্যা করা হলো। (জেনোসাইড তত্ত্ব তর্ক তথ্য/ হাসান মোরশেদ/ এতিহ্য/রুমি মার্কেট, ৬৮-৬৯ প্যারীদাস রোড, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০/ফেব্রুয়ারি ২০১৯/পৃষ্ঠা নং-৬৭)।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রোজম্যানের সাক্ষ্য থেকে প্রাপ্ত ভয়াবহতার বিপরীতে আমরা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত নৃশংস গণহত্যার চিত্র তুলে ধরতে পারি। শ্রদ্ধেয় ইমরুল কায়েসের জবানীতে এ ধরনের দুটি ঘটনার তথ্য পাওয়া যায় কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সহায়ক সমিতির পক্ষে যতীন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত এবং মুক্তধারা প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ নামক গ্রন্থের চতুর্থ সংস্করণে।

প্রথম ঘটনা হলো: ‘মায়ের সন্তান খোঁজা: পাশের একটি গ্রাম থেকে একটি আধা বয়েসী মহিলা প্রায় ছুটতে ছুটতে বেরিয়ে এলেন। অবিন্যস্ত বেশবাস, খালি পা, চোখে এক নিদারুণ হতাশার দৃষ্টি। দলের ভেতরে বাচ্চাগুলোর মুখের দিকে চেয়ে দেখলেন এক এক করে। কিছুক্ষণ মাত্র। তারপর আবার ফিরে গেলেন অর্ধ-দগ্ধ গ্রামটির দিকে। সেই গ্রামেরই অন্য একজন সীমান্ত যাত্রীর কাছ থেকে ঘটনাটা শুনলাম। আগের দিন বিকালে ঘুম পাড়িয়ে তিনি বাইরে গিয়েছিলেন। হঠাৎ মিলিটারি আসে এবং ঘরে ঘরে ঢুকে তারা লুটপাট অত্যাচার চালাতে থাকে। তিনি একটি ঝোঁপের ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন। যখন মিলিটারিরা তাঁর ঘর জ্বালিয়ে দেয়, তখন বোধ হয় ঘুমন্ত ছেলের কথা ভেবে তিনি আর থাকতে পারেননি, সম্ভবত বাইরে আসবার চেষ্টা করেছিলেন। মিলিটারিরা তাঁকে দেখে নারকীয় উল্লাসে চিৎকার করে উঠে। মর্মান্তিক অত্যাচার হয় তাঁর ওপর। অনেক পরে গ্রামবাসীরা যারা ভয়ে সরে গিয়েছিল তারা ফিরে এসে সেই ঝোপের ভেতরেই তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পায়। এবং তারাই সেবা-শুশ্রুষা করে তাঁকে একটু সুস্থ করে তুলে। প্রথমেই তিনি জানতে চান তাঁর ছেলের খবর। অনেক ছাই এবং পোড়ামাটি সরানোর পর একটি বালকের বিকৃত অর্ধ-দগ্ধ দেহ পাওয়া গেল। তারপর থেকেই তিনি প্রায় অপ্রকৃতিস্থ। তিনি বিশ্বাস করেননি যে, সেই মৃতদেহ তাঁর ছেলের। এবং সেই থেকে অনবরত তিনি খুঁজছেন ছেলেকে। কখনো ছুটে বেরিয়ে আসেন পথে এবং চলমান যাত্রীদের ভেতরে খোঁজেন কিছুক্ষণ, আবার তারপরেই ফিরে যান নির্জন গ্রামের ভেতরে। শূন্য বাড়িগুলোর আনাচে, ঝোপে-ঝাড়ে খুঁজে দেখেন, ডাকেন ছেলের নাম ধরে, যেন সে কোথাও লুকিয়ে আছে, বেরিয়ে আসবে হঠাৎ কোনো আড়াল থেকে। (পৃষ্ঠা নং: ৮৫-৮৬)।

দ্বিতীয় ঘটনাটিও মর্মান্তিক। ‘ভাইয়ের করুণ মৃত্যু’ শিরোনামের ঘটনায় জানা যায়: ১৩ ই এপ্রিল, ১৯৭১। রাজশাহীর সরদহ অঞ্চলের সীমান্তবর্তী নদীর ভেতরে একটি চর। ভীত গ্রামবাসীরা সপরিবারে চলে আসছেন ভারতের দিকে, ভারত সীমান্ত এখনও কয়েক মাইল দূরে। তাঁরা যে গ্রামে ছিলেন সেটা সরদেহের অন্তর্গত হলেও ভেতরের দিকের একটি গ্রাম এবং সেই জন্যই তাঁরা কিছুটা নিশ্চিত ছিলেন। ভেবেছিলেন, মিলিটারিরা হয়তো সরদেহের ওপর দিয়েই চলে যাবে, ভেতরে আসবে না এবং সেই জন্যই তাঁরা পালাননি, গ্রামেই ছিলেন। কিন্তু মিলিটারি এলো এবং যখন এলো তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। পালাবার পথ বন্ধ। কারণ, চর এলাকা তখন মিলিটারির দখলে। অবশ্য তাঁরা তখনও সেটা জানতেন না। ভীত চকিত গ্রামবাসীরা, আবালবৃদ্ধবনিতা, চিরকালের ঘরবাড়ি ছেড়ে শুধু প্রাণ হাতে নিয়ে পথে নামলেন। চরের ভেতরে হাঁটতে হাঁটতে তাঁরা শুনতে পেলেন তাঁদের গ্রামের ভেতরে রাইফেলের ইতস্তত আওয়াজ। ততক্ষণে লুটপাট শুরু হয়ে গেছে, হৈ হল্লা আওয়াজ ভেসে আসছে এবং কিছু কিছু ঘরবাড়ি জ্বলছে ইতোমধ্যেই। হঠাৎ চরের ভেতরে একটি মিলিটারি ঘাঁটির সামনে পড়ে গেলেন তাঁরা। এই অসহায় শরণার্থী দলের ওপরে পরপর নির্বিচারে গুলি চলল। লুটিয়ে পড়লেন অগণিত নারী, পুরুষ, বালক, বৃদ্ধ এবং শিশু। এই দলের থেকে একমাত্র জীবিত যিনি আসতে পেরেছিলেন তিনি ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র। তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। তিনি পরে মুক্তিফৌজে যোগ দিয়েছেন। তাঁকে জীবিত দেখে যে লোকটি তাঁর দিকে রাইফেল তুলেছিল, তিনি হঠাৎ তাকে অনুনয় করে ভাঙ্গা ভাঙ্গা উর্দুতে বললেন, দেখ, তোমরা তো আমাদের সবাইকে মেরে ফেললে। আমার বাবা মা ভাই বোন সবাইকে। এখন আমিই আমাদের পরিবারে একমাত্র বেঁচে আছি। আমাকে মেরো না, আমাকে ছেড়ে দাও। তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হলো তাদের হাবিলদারের কাছে। সেখানেও তিনি অনুনয়-বিনয় করে বললেন। তারপর গুলিবিদ্ধ দেহগুলোকে এক জায়গায় জড়ো করতে বলা হলো তাঁকে। লোকগুলো এখনো মরেনি অনেকে। অনেকেই যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। তাঁর একমাত্র ছোট ভাইয়ের দেহ তিনি যখন টেনে নিয়ে যান তখন সে কাতর দৃষ্টিতে চেয়েছিল তাঁর চোখের দিকে। তার পায়ে গুলি লেগেছিল। পেট্রল আনা হলো। দেহগুলো সে একাই টেনে স্তূপীকৃত করল এবং তাদের মতলব বুঝতে পেরে জীবিত ছোট ভাইকে সে রাখল স্তূপের নিচে। তারপর আগুন ধরিয়ে দিয়ে মিলিটারিরা চলে যায়। ছেলেটি ভারতে এসে এপার থেকে কয়েকজন লোক নিয়ে সেই রাত্রেই আবার ফিরে যায় চরে। স্তূপীকৃত দেহগুলোর ভেতর থেকে খুঁজে খুঁজে বের করে তার আব্বা, আম্মা এবং ছোট বোনগুলোর দেহ। একটি কবর খুড়ে অর্ধদগ্ধ দেহগুলো সমাধিস্থ করা হয়। কিন্তু সে তার ভাইয়ের দেহ খুঁজে পায়নি! সেখান থেকে অল্প কিছু দূরেই তাদের বাড়ি। ছেলেটি তখন মরিয়া। রাতের অন্ধকারে সে তারপর বাড়িতে ফিরে যায় এবং সেইখানে সে তার ভাইয়ের মৃতদেহ আবিষ্কার করে। ঘরের চৌকাঠের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে আছে দেহটা। অতিরিক্ত রক্তপাতে প্রায় ফ্যাকাশে হয়ে গেছে এবং সেখানেই মারা গেছে সে। এই বীভৎস স্মৃতি নিয়ে সে তারপর ফিরে আসে এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ট্রেনিং ক্যাম্পে যোগ দেয়। (প্রাগুক্ত,পৃষ্ঠা নং: ৮৬-৮৭)।

বাংলাদেশে সংঘটিত নৃশংসতার ঘটনা তদন্তে ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিস্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। কিন্তু পাকিস্তানের অসহযোগিতার কারণে এই কমিটি তাদের তদন্ত কার্যক্রম সম্পূর্ণ করতে পারেনি। পরে ১৯৭২ সালে তারা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত আইনি বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করা হয়। বাংলাদেশে ২০১৭ সালে ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই সময় থেকে ২৫ মার্চ বাংলাদেশে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি গণহত্যার স্বীকৃতি শুধু দাবি নয়; এটা বাঙালিদের যৌক্তিক অধিকার; আর বাংলাদেশের গণহত্যার স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নৈতিক দায়িত্ব। ইতোমধ্যে একাত্তরে বাংলাদেশিদের ওপরে পাকিস্তানিদের নির্মম হত্যাযজ্ঞকে ‘জেনোসাইড’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ‘লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন’, আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘জেনোসাইড ওয়াচ’ এবং গণহত্যা বিশেষজ্ঞদের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব জেনোসাইড স্কলার্স (আইএজিএস)।

১৯৭১ সালের গণহত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ জেনোসাইডের একটি। ১৯৭১ সালে যে ভয়াবহ গণহত্যা হয়েছিল, তা করা হয়েছিল এই জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য। মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যার সব তথ্য-প্রমাণ আমাদের আছে, সেগুলো জেনোসাইডের স্বীকৃতি পাওয়ার সকল শর্ত পূরণ করে। সুতরাং এই জেনোসাইডের স্বীকৃতির জন্য আমাদের দাবি অযৌক্তিক নয়, বরং সময়ের সবচেয়ে যৌক্তিক দাবি।

লেখক : উপসচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় 

এই বিভাগের আরও খবর
গণঅভ্যুত্থান : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
গণঅভ্যুত্থান : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বিদেশি পর্যটকদের চাহিদা বুঝতে হবে
বিদেশি পর্যটকদের চাহিদা বুঝতে হবে
শান্তিদূতের জামানায় শান্তি কেন ফেরারি?
শান্তিদূতের জামানায় শান্তি কেন ফেরারি?
ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম
ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম
ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে
ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে
মাদকেও সেনাবাহিনীর যুগান্তকারী অ্যাকশনের অপেক্ষা
মাদকেও সেনাবাহিনীর যুগান্তকারী অ্যাকশনের অপেক্ষা
'আমেরিকায় এক আওয়ামী চোর পরিবার রোলস রয়েসে মসজিদে যায়'
'আমেরিকায় এক আওয়ামী চোর পরিবার রোলস রয়েসে মসজিদে যায়'
দেশজুড়ে অশান্তি সান্ত্বনা শুধু ‘বিবৃতি’
দেশজুড়ে অশান্তি সান্ত্বনা শুধু ‘বিবৃতি’
তারেক রহমান এক অনন্য উচ্চতায়
তারেক রহমান এক অনন্য উচ্চতায়
বিনিয়োগ কমছে আর বাড়ছে বেকারত্ব
বিনিয়োগ কমছে আর বাড়ছে বেকারত্ব
ইরান আক্রমণ নিয়ে ফাঁদে পড়েছেন ট্রাম্প
ইরান আক্রমণ নিয়ে ফাঁদে পড়েছেন ট্রাম্প
ব্যবসায়ীরা বহুমুখী সংকটে, উৎকণ্ঠায় প্রবাসীরা
ব্যবসায়ীরা বহুমুখী সংকটে, উৎকণ্ঠায় প্রবাসীরা
সর্বশেষ খবর
জুলাই আন্দোলন ভয় ভেঙে দিয়ে আমাদের নির্ভয়ে কথা বলতে শিখিয়েছে: নাহিদ ইসলাম
জুলাই আন্দোলন ভয় ভেঙে দিয়ে আমাদের নির্ভয়ে কথা বলতে শিখিয়েছে: নাহিদ ইসলাম

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে কদমরসুল সেতু দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
নারায়ণগঞ্জে কদমরসুল সেতু দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

১ মিনিট আগে | নগর জীবন

`প্রসাধনীতে শুল্ক বাড়ায় রাজস্ব নয়, বাড়বে চোরাচালান ও বেকারত্ব'
`প্রসাধনীতে শুল্ক বাড়ায় রাজস্ব নয়, বাড়বে চোরাচালান ও বেকারত্ব'

১ মিনিট আগে | অর্থনীতি

বগুড়ায় এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক
বগুড়ায় এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে ধানচাল সংগ্রহে রেকর্ড
চট্টগ্রামে ধানচাল সংগ্রহে রেকর্ড

৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জুভেন্টাসের বিপক্ষে এমবাপ্পেকে পাচ্ছে রিয়াল!
জুভেন্টাসের বিপক্ষে এমবাপ্পেকে পাচ্ছে রিয়াল!

৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে তালবাহানা সহ্য করা হবে না: নাহিদ ইসলাম
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে তালবাহানা সহ্য করা হবে না: নাহিদ ইসলাম

১০ মিনিট আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
কলাপাড়ায় কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সরকারি কর্মচারী হত্যা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার
সরকারি কর্মচারী হত্যা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির
আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির

১৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

কোটালীপাড়ায় স্কুল ব্যাগ ও টিফিন বক্স বিতরণ
কোটালীপাড়ায় স্কুল ব্যাগ ও টিফিন বক্স বিতরণ

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সেলফি হতে পারে বিপদের কারণ!
সেলফি হতে পারে বিপদের কারণ!

২৬ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বিরামপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে
 প্রাণ গেল কৃষকের
বিরামপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে  প্রাণ গেল কৃষকের

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে ইউপিডিএফ সদস্য গ্রেফতার
চট্টগ্রামে ইউপিডিএফ সদস্য গ্রেফতার

৩৩ মিনিট আগে | অর্থনীতি

হাসিনাসহ ২৩ জনের হাজিরায় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ
হাসিনাসহ ২৩ জনের হাজিরায় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ

৩৪ মিনিট আগে | জাতীয়

মাদারীপুরে নারীর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার
মাদারীপুরে নারীর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরবর্তী যুদ্ধ হবে ‘চূড়ান্ত’
ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরবর্তী যুদ্ধ হবে ‘চূড়ান্ত’

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কলাপাড়ায় দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
কলাপাড়ায় দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘ক্যাপ্টেন কুল’ ট্রেডমার্কের জন্য ধোনির আবেদন
‘ক্যাপ্টেন কুল’ ট্রেডমার্কের জন্য ধোনির আবেদন

৪২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

লুহানস্ক পুরোপুরি রাশিয়ার দখলে?
লুহানস্ক পুরোপুরি রাশিয়ার দখলে?

৪৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার: এবার সরাসরি স্ক্যান করে পাঠানো যাবে নথিপত্র
হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার: এবার সরাসরি স্ক্যান করে পাঠানো যাবে নথিপত্র

৪৬ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

সিংড়ায় ছাত্রশিবিরের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
সিংড়ায় ছাত্রশিবিরের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এক সাথে একাধিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মুসা তুলছেন বেতন-ভাতা
এক সাথে একাধিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মুসা তুলছেন বেতন-ভাতা

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফুল গিয়ারে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, প্রধান উপদেষ্টাকে সিইসি
ফুল গিয়ারে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, প্রধান উপদেষ্টাকে সিইসি

৫২ মিনিট আগে | জাতীয়

হবিগঞ্জে ভুয়া চিকিৎসককে কারাদণ্ড ও জরিমানা
হবিগঞ্জে ভুয়া চিকিৎসককে কারাদণ্ড ও জরিমানা

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নেটফ্লিক্সে এবার মহাকাশ! উপভোগ করুন স্পেসওয়াক
নেটফ্লিক্সে এবার মহাকাশ! উপভোগ করুন স্পেসওয়াক

৫৬ মিনিট আগে | শোবিজ

অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জোনায়েদ সাকির
অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জোনায়েদ সাকির

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আজ থেকে নগর স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করবে ডিএনসিসি
আজ থেকে নগর স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করবে ডিএনসিসি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অস্ট্রেলিয়া দলের ঐতিহ্যবাহী দায়িত্ব ছাড়লেন লায়ন
অস্ট্রেলিয়া দলের ঐতিহ্যবাহী দায়িত্ব ছাড়লেন লায়ন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুলিশের বিশেষ অভিযানে একদিনে গ্রেফতার ১২৯০
পুলিশের বিশেষ অভিযানে একদিনে গ্রেফতার ১২৯০

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
উড়িয়ে দেওয়া হলো খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনাদের আশ্রয় নেওয়া বাড়ি
উড়িয়ে দেওয়া হলো খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনাদের আশ্রয় নেওয়া বাড়ি

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রায় ৫ লাখ নতুন ওয়ার্ক ভিসা ইস্যু করবে ইতালি
প্রায় ৫ লাখ নতুন ওয়ার্ক ভিসা ইস্যু করবে ইতালি

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল?
সত্যিই কি পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প
ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে শীর্ষে থাকা ভারত এখন ৬ষ্ঠ
বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে শীর্ষে থাকা ভারত এখন ৬ষ্ঠ

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সাবেক ৭ মন্ত্রীসহ ২২ ভিআইপির মুক্তিযোদ্ধা সনদ তলব
সাবেক ৭ মন্ত্রীসহ ২২ ভিআইপির মুক্তিযোদ্ধা সনদ তলব

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়া
জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়া

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেয়েকে বাঁচাতে ১৪তলা প্রমোদতরী থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা
মেয়েকে বাঁচাতে ১৪তলা প্রমোদতরী থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা

৬ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ
ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা
স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’

২১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত
৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের হামলায় গাজার মতো ধ্বংসস্তুপ হয়েছে ইসরায়েলের যে শহর
ইরানের হামলায় গাজার মতো ধ্বংসস্তুপ হয়েছে ইসরায়েলের যে শহর

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যেভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর
যেভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু
শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান
রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল
গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি
ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফোনালাপ ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত
ফোনালাপ ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ‘নিস্তেজ’ পর্যটন
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ‘নিস্তেজ’ পর্যটন

৯ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার
কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার

৬ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার ব্যালকনি ভেঙে নিহত ৩
যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার ব্যালকনি ভেঙে নিহত ৩

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এবার নিউইয়র্কের তহবিল বন্ধের হুমকি দিলেন ট্রাম্প
এবার নিউইয়র্কের তহবিল বন্ধের হুমকি দিলেন ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
থমথমে নির্বাচন কমিশন
থমথমে নির্বাচন কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ

শিল্প বাণিজ্য

কেমন আছে সেন্ট মার্টিন
কেমন আছে সেন্ট মার্টিন

পেছনের পৃষ্ঠা

গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা
গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই জুলাই শুরু আজ
সেই জুলাই শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন
সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন
ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন

পেছনের পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা
শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে
ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে

পেছনের পৃষ্ঠা

বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা
বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ
রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ

নগর জীবন

এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ
এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ

মাঠে ময়দানে

ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে রেকর্ড ঋণ
ট্রেজারি বিলের মাধ্যমে রেকর্ড ঋণ

শিল্প বাণিজ্য

পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়
পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর
তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি
বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি

নগর জীবন

মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!
মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোনালাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের হুঁশিয়ারি

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকার সব ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপনের নির্দেশ
ঢাকার সব ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপনের নির্দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

কনজুমার খাত ঝড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে
কনজুমার খাত ঝড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে

শিল্প বাণিজ্য

শিল্পী ফরিদা পারভীন গুরুতর অসুস্থ, রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা কামনা
শিল্পী ফরিদা পারভীন গুরুতর অসুস্থ, রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা কামনা

পেছনের পৃষ্ঠা

সংকট জুলাই সনদ নিয়ে
সংকট জুলাই সনদ নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুললেন নাহিদ
সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুললেন নাহিদ

প্রথম পৃষ্ঠা

আগের গভর্নররা এজেন্টের কাজ করেছেন
আগের গভর্নররা এজেন্টের কাজ করেছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী
আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

ফুল চাষে ভাগ্য বদল
ফুল চাষে ভাগ্য বদল

পেছনের পৃষ্ঠা

আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা

মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই
মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই

নগর জীবন