বাংলাদেশ থেকে জঙ্গি নিধন করতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করার দাবি জানান বঙ্গবন্ধু পরিষদ কুয়েত এর নেতৃবৃন্দ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ২৬ আগষ্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় কুয়েতে মালিয়ায় হোটেল প্লাজায় এক স্মৃতি সভা ও প্রার্থনা সমাবেশে এই দাবি করেন তারা।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ কুয়েতের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রকৌশলী খোন্দকার আব্দুল হান্নান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় এই আলোচনায় সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিকে রুখে দাঁড়াবার প্রত্যয়ের ঘোষণা দেওয়া হয়। বক্তারা বলেন, এক শ্রেণীর সুবিধাবাদী চরিত্র যারা এখন বঙ্গবন্ধুর ভক্ত সেজে সরকারি সুযোগ সুবিধা বিশেষত বাণিজ্যিক সুবিধা আদায়ের মাধ্যমে নিজেদের আখের গোছানোর প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত তাদের রাহুগ্রাস থেকে সংগঠন, দেশ ও সমাজকে রক্ষা করার অঙ্গীকার করেতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন হতে তেলাওয়াতের পর ১৯৭৫ এর কাল রাতে ঘাতকের বুলেটের আঘাতে বঙ্গবন্ধুসহ সেই রাতে নিহত সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অভিশপ্ত রাতটিকে স্মরণ করে কবিতা আবৃত্তি করেন প্রখ্যাত আবৃত্তিকার বাবুল আখতার নূর এবং কবি আব্দুর রহিম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুয়েত বিজ্ঞান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ডক্টর আলী কোরেশী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ উদ্দিন আহমদ।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রবিউল হোসেন রবিন, আনিসুল হক সুমন, জাহেদুল হক, আহমেদুর রহমান, মাসুদ করিম, জানে আলম, মোঃ জাফর, রউফ মাওলা, আশরাক আলী ফেরদৌস, রফিকুল ইসলাম বুলু, নজরুল ইসলাম, ইমাম উদ্দিন বাদল, শফিকুর রহমান, প্রকৌশলী ফখরুল ইসলাম ফারুক প্রমুখ। স্মৃতি সভার আলোচনা শেষে প্রার্থনা পর্ব পরিচালনা করেন মোহাম্মদ আব্দুল মালেক।
বিডি প্রতিদিন/২৮ আগস্ট ২০১৬/হিমেল-১৯