কানাডার লেক আর সবুজঘেরা পিটারবরোর বিভারমেট পার্কে আনন্দঘন পরিবেশে চট্রগ্রাম এসোসিয়েশন অব কানাডার বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি টরন্টো এবং আশেপাশের শহরগুলো থেকে কয়েকশত চট্রগ্রামবাসীর স্বতঃস্ফুর্ত
অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে বনভোজনটি আনন্দমেলায় রূপ নেয়।
বনভোজনে সারাদিনই চট্রগ্রামের ঐতিহ্যবাহী গনি বেকারীর বেলা বিস্কিট দিয়ে চা আপ্যায়ন, বনভোজনস্থানে বানানো নানরুটি ও বারবাকিউ চিকেন, তারপর মধ্যাহ্নভোজ, একের পর এক মিষ্টি, তরমুজ, ঝালমুড়ি, পিজ্জা ও বিভিন্নধরনের খাবার সরবরাহ করা হয়।
অতিথি আপ্যায়নের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিবু চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক সৈয়দ শওকত মাহমুদ, বনভোজন উপকমিটির আহ্বায়ক বাহাউদ্দিন আহমেদ বাহার, সংগঠানের পরিচালক কফিলউদ্দিন পারভেজ, মিজানুর রহমান, মাহবুবুল ইসলাম চৌধুরী সাইফুল, শাহেদ তাহের, মঞ্জুর কায়সার চৌধুরী, সনৎ বড়ুয়া, সমর পাল, হুসাইনুজামান শামীম, বোর্ড অব ট্রাষ্টির সদস্য শওকত হোসেন, মানস পাল, সামিনা ইয়াসমীন (রুমা), বিনয় মজুমদার, শ্যামল ভট্রাচার্য, আমেনা বেগম, নিপু চৌধুরী, নূরুল আফসার, ময়না দাস প্রমুখ। স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন আয়েশা, লামিয়া ও ফৌজিয়া।
বনভোজন স্থানে শিবু চৌধুরী, কানন বড়ুয়া ও মৌসুমী বড়ুয়ার নেতৃত্বে চট্রগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শুটকি রান্না করা হয়। যা উপস্থিত সবাইকে আহ্লাদিত করে। তাছাড়া বনভোজনে উপস্থিত প্রবাসী চট্রগ্রামবাসীরা তাদের দীর্ঘদিনের পুরানো বন্ধুদের নিয়ে আনন্দে মেতে উঠেন।
বনভোজনে অংশ নিতে আসা নতুন প্রজন্মের বিভিন্ন বয়সের ছেলেমেয়েদের জন্য আয়োজন করা হয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে পশ্চিমের পরিবেশে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা বাংলাদেশি নানা ধরণের ক্রীড়া নৈপুণ্যে অংশ নেয়।।
সংগঠনের পরিচালক সেলিনা হোসেন, সৈয়দা সেলিনা সরোয়ার, সব্যসাচী চক্রবর্তী ও সাহাব সিদ্দিকী বুলবুল এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতাটি পরিচালনা করেন।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অন্যতম আকর্ষণ ছিল এ যাবৎ কালের সবচাইতে বড় অর্থাৎ ১২৭ জন নারীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে বালিশ নিক্ষেপ প্রতিযোগিতা, যা উপস্থিত সবাই উপভোগ করেন।।
বনভোজনের সারাদিনের কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম ছিল সুধান রায়ের নেতৃত্বে ও সারোয়ার জামান চৌধুরীর সহযোগিতায় র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠান। এছাড়া দিনের কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম ছিল প্রবাসে অবস্থানরত চট্রগ্রামের শিল্পীদের মনমুগ্ধকর সঙ্গীতানুষ্ঠান। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন সুভাষ দাস, মুক্তা পাল, মোহাম্মদ শিরাজী, মোহাম্মদ আনসারী, মোহাম্মদ তানভির, তাসকীয়া, এমা প্রমুখ। তবলায় ছিলেন সজীব চৌধুরী।
সবশেষে সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর হাকিকের সভাপতিত্বে এবং পরিচালক সব্যসাচী চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় সংগঠনের আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, সংগঠনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ডাকসুর সাবেক এজিএস নাসির উদ দোজা, বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য মোহাম্মদ সারোয়ার সেলিম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিবু চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক সৈয়দ শওকত মাহমুদ, বনভোজন উপকমিটির আহবায়ক বাহাউদ্দিন আহমেদ বাহার, সংগঠনের পরিচালক সাহাব সিদ্দিকী বুলবুল প্রমুখ।
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর হাকিম ও সাধারণ সম্পাদক শিবু চৌধুরী বার্ষিক বনভোজনকে সার্থক ও সফল করে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বনভোজনের কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/মাহবুব