পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্যের সাথে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। ২৬ মার্চ সকাল ১০ টায় দূতাবাসে শুদ্ধস্বরে সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে পর্তুগালে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী স্বাধীনতা দিবস পালনের আনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রথম পর্বে ছিল দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের অংশগ্রহণ। দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যায় লিসবনের স্থানীয় হোটেল ম্যারিয়টে এক অভ্যর্থনার অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দূতাবাস। এতে অংশ নেন পর্তুগালের সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, সাংবাদিক এবং পর্তুগালে বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা একই সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত ৩০ লক্ষ বাঙ্গালি ও সম্ভ্রম হারানো ও নির্যাতিতা দুই লক্ষাধিক নারীকে স্মরণ করেন। সেই সাথে রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ ও পর্তুগালের মধ্যে বিরাজমান ঐতিহাসিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে দু’দেশের মানব সম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও কারিগরী প্রশিক্ষণ, সমুদ্র অর্থনীতি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, পর্যটন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও দু’দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারের বিষয়টি এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে মিয়ানমার সরকারকে রাজি করানোর জন্য পর্তুগাল সরকার ও বিশ্ব জনগোষ্ঠীর প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের শেষেংশে পর্তুগালে বাংলাদেশী শিল্পী, কবি, নাট্যকার কে এম মোস্তফা আনোয়ার তানপুরা পরিবেশন করেন এবং সেই সাথে অভ্যর্থনায় আগত অতিথিদেরকে বাংলাদেশী ও পর্তুগীজ ঐতিহ্যবাহী খাবারের মাধ্যমে আপ্যায়িত করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার