১৮ জুন, ২০১৯ ২২:৫৪

ফের স্বর্ণপদক লাভ, কেক বানিয়ে বাজিমাত বাংলাদেশি কন্যার

নাহিদুর রহমান হিমেল:

ফের স্বর্ণপদক লাভ, কেক বানিয়ে বাজিমাত বাংলাদেশি কন্যার

শখ থেকে শুরু কেক বানানো। এরপর আন্তর্জাতিক কেক প্রতিযোগীতায় অংশ নেন। সেখানে কেক'র মাঝে নানা কারুকাজ ফুটিয়ে তুলে বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলেন। এরপর একে একে জিতেছেন, তিনটি স্বর্ণ, দুটি রৌপ্য ও চারটি ব্রোঞ্জ পদক। 

কেক বানিয়ে খুব অল্প সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতি ছড়িয়েছেন বাংলাদেশি কন্যা তাসনুতা আলম। শুরুটা করেছিলেন ২০১৭ সালে। ওইবছর 'কেক ইন্টারন্যাশনাল বার্মিংহাম' প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ পদক জিতে নেন তিনি। এর পরের বছর ২০১৮ সালে একই প্রতিযোগীতায় আরো দুটি ব্রোঞ্জ পদক জয়লাভ করেন। 

এবছর 'কেক ইন্টারন্যাশনাল লন্ডন' প্রতিযোগীতায় তৃতীয়বারের মতো অংশগ্রহণ করে ৪ ক্যাটাগরিতে একাধারে ২টি স্বর্ণ, ২টি রৌপ্য এবং একটি ব্রোঞ্জ অর্জন করেন। সবশেষে ১৫ জুন অনুষ্ঠিত 'ব্রিটিশ সুগারক্রাফ্ট কেক এক্সপো'-তে অংশ নিয়ে কাপকেকেস' ক্যাটেগরিতে শতভাগ নম্বর পেয়ে আরো একটি স্বর্ণপদক (gold with Trophy awarded and best in class) অর্জন করেন । 

এই প্রতিযোগীতায় যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আশা প্রতিযোগীরা মোট ২১টি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে প্রায় ২৫ জন বিচারকের চুলচেরা বিশ্লেষণের পর ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়ে এই স্বর্ণপদক অর্জন করেন তিনি। 'ব্রিটিশ সুগার ক্রাফট গিল্ড' নামক প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট পেট স্মিথের কাছ থেকে এই পদকটি গ্রহণ করেন।

২০১৭ সালের প্রতিযোগীতায় তার বানানো এই 'বাংলাদেশী বৌ' কেক ব্রোঞ্জ পদক লাভ করে। 

বাংলাদেশকে নিয়ে ভবিষৎ পরিকল্পনার বিষয়ে তাসনুতা আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে একটি কেক আর্ট কলাবোরেশন করছি ইন্টারন্যাশনালি, যার নাম 'ম্যাগনিফিসেন্ট বাংলাদেশ' (Magnificent Bangladesh)। যেখানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশ থেকে প্রায় ১০০ জনের মতো বিখ্যাত সব কেক আর্টিস্ট অংশগ্রহণ করছেন এবং যা এই বছরে রিভিল হবে। যেটা ইতিমধ্যে লন্ডন কেক ইন্টারন্যাশনাল-এ বিশ্বখ্যাত কেক আর্টিস্ট এবং অর্গানাইজার দ্বারা ডিসক্লোজ হয়েছে। 

এটি ২০১৮ সালের প্রতিযোগীতায় তৈরী কার একটি কেক, যা ব্রোঞ্জ পদক লাভ করে।

তিনি আরো বলেন, কেক বানাতে পছন্দ করি ছোটবেলা থেকেই। পছন্দের কাজের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া অত্যন্ত আনন্দের। ব্যক্তিগত অর্জনের সঙ্গে দেশের সম্মান বাড়াতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এই পদক আরও ভালোভাবে কেক বানাতে উৎসাহিত করবে।

তাসনুতা জানান, যুক্তরাজ্যে কেক বানানোর ইতিহাস বহু বছরের। যার কারণে বেশির ভাগ নাম করা কোম্পানিগুলোর অবস্থান এখানে। এরমধ্যে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। যখনই কোনো সংগঠন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে, তারা অন্তত ৬ মাস আগে থেকেই এর প্রচারণা চালায়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে 'কেক বেক' এবং 'কেক ডেকোরেশন' এর উপর বহু ছোট ছোট প্রতিযোগীতা হচ্ছে। এসব জায়গায় অভিজ্ঞদের সাথে কাজ করতে পেরে এবং নিজের একটা অবস্থান করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর