'শুধু অর্থনৈতিক ও মানবিক সহায়তা নয়, রাজনৈতিক সমর্থনও দরকার রোহিঙ্গা ইস্যুর শান্তিপূর্ণ এবং টেকসই সমাধানে। রাশিয়া এবং গণচীন যাতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তরিক অর্থে সোচ্চার হয়, সে ব্যাপারেও মার্কিন প্রশাসনকে জোরালো উদ্যোগ নিতে হবে।'
এমন অনুরোধ মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষের প্রভাবশালী ৫ কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে ১৭ জুলাই বুধবার ইউএস সিনেটে পররাষ্ট্র সম্পর্কিত কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর (রিপাবলিকান) জেমস ই রীস এবং প্রভাবশালী সদস্য সিনেটর (ডেমক্র্যাট) বব মেনেন্ডেজ, প্রতিনিধি পরিষদে পররাষ্ট্র সম্পর্কিত কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান (ডেমক্র্যাট) ইলিয়ট এ্যাঙ্গেল, এশিয়া সম্পর্কিত সাব কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান (ডেমক্র্যাট) বব শারমেন এবং কংগ্রেসে বাংলাদেশিদের অকৃত্রিম বন্ধু কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং এর সাথে পৃথক পৃথক বৈঠকে মিলিত হন ড. এ কে এ মোমেন।
বৈঠকের পর ওয়াশিংটন ডিসিতে মন্ত্রীর হোটেল লবিতে এ সংবাদদাতাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপরোক্ত তথ্য জানিয়ে আরো বলেন, ‘মিয়ানমার প্রশাসন একটি জাতিগোষ্ঠিকে নির্মূলের ষড়যন্ত্র করেছে এবং গণহত্যার সাথে নিজেদের জড়িত করেছে। এতদসত্বেও যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের জিএসপি সুবিধা অব্যাহত রেখেছে। অপরদিকে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করা হয়েছে।’
‘আমি তাদেরকে আরো জানিয়েছি যে, মিয়ানমারের সমস্ত ব্যাংক একাউন্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। সিঙ্গাপুর থেকে, জাপান এবং ইউরোপের অনেক দেশই মিয়ানমারের গণহত্যার নিরব সমর্থক। এরা সকলেই যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু। এর আগে ভেনেজুয়েলা এবং সিরিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমার প্রশ্নে তাদের একইভাবে সোচ্চার হওয়া জরুরী।’ এধরনের আরো কিছু ইস্যুতে ওদের সাথে প্রাণবন্ত আলোচনা হয়েছে’-বলেন ড. মোমেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন