১০ জুলাই, ২০২০ ১০:১৭
‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন

আগাম অবসরে যাবার হিড়িক যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

আগাম অবসরে যাবার হিড়িক যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের

বর্ণবাদ চিরতরে নির্মূলের চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেসে বিল উঠার পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়েও বিভিন্ন স্টেট ও সিটি কর্তৃপক্ষ পুলিশের বাজেট হ্রাসের নানা কৌশল অবলম্বন করেছে। এছাড়া, পুলিশী আচরণকে ঢেলে সাজিয়ে তাদের কর্মকাণ্ড সর্বসাধারণের কাছে সরাসরি জবাবদিহিতার আওতায় আনার পরিক্রমায় পুলিশের অনেক সদস্য চাকরি ছেড়ে দেয়ার পন্থা অবলম্বন করেছেন। মিনেসোটা, ইলিনয়, জর্জিয়া, নিউইয়র্ক, পেনসিলভেনিয়া, টেক্সাস, আরিজোনা, ফ্লোরিডা প্রভৃতি স্থানের পুলিশ অফিসারেরা গণহারে ছুটিতে গেছেন। অনেকে আগাম অবসরের আবেদন জানিয়েছেন। অসুস্থতার অজুহাতে কেউ কেউ ছুটিতে গেছেন। অর্থাৎ, চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই পারিবারিক ও সামাজিকভাবে নিজেদের হেয়-প্রতিপন্ন ভাবছেন। সাম্প্রতিক এক জরিপে এমন তথ্য উদঘাটিত হয়েছে। আবার কিছু অফিসারের বর্বরোচিত আচরণের দায় অনেক অফিসারই নিতে পারছেন না। তারাও ক্ষুব্ধ বর্ণবিদ্বেষমূলক আচরণকারিদের ব্যাপারে। 

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বৃহৎ পুলিশ বাহিনী হচ্ছে নিউইয়র্ক সিটিতে। এই সিটির বাজেট থেকে বিলিয়ন ডলারের অধিক কর্তন করার ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাসিয়ো। জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্বার গণআন্দোলনের সাথে সহমত পোষণ করে মেয়র এমন অঙ্গিকার করেছিলেন। একইকারণে নিউইয়র্ক স্টেট গভর্নরও নতুন একটি বিধি জারি করেছেন পুলিশ অফিসারদের কর্মকাণ্ড এবং তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড অনলাইনে রাখার জন্যে। এতে খুবই অসন্তুষ্ট অফিসারেরা। যার বহিপ্রকাশ ঘটেছে গত সপ্তাহে ১৭৯ অফিসারের আগাম অবসরে যাবার আবেদনের মধ্য দিয়ে। অথচ গত বছর এ ধরনের অবসরে যাবার আবেদন পাওয়া গিয়েছিলেন ৩৫ জনের। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের পর থেকে এ যাবত মোট ৫০৩ অফিসার অবসরে যাবার আবেদন করেছেন। গত বছরের একই সময়ে আবেদন পড়েছিল মোট ২৮৭ টি। এ ধরনের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি কমিশনারের মুখপাত্র সার্জেন্ট ম্যারি ফ্রাে জ বলেন, অবসরে যাবার ঘটনাগুলো যদিও নিতান্তই ব্যক্তিগত, তবুও এবারের আবেদন যে ঢেউ দেখা যাচ্ছে, তা কোনভাবেই স্বাভাবিক তোন ব্যাপার নয়। এমন একটি পরিস্থিতিকে আমরাও গভীর পর্যবেক্ষণে রেখেছি। 

প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের বাজেটে পুলিশের বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থ বছরের চেয়ে তা এক বিলিয়ন ডলার কম। এ ঘটনায় ভেতরে ভেতরে ক্ষুব্ধ পুলিশের সদস্যরা। 
 
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
 
 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর