ত্যাগের মহিমায় প্রাণের উচ্ছ্বাসে করোনাভীতিকে সঙ্গী করেই যুক্তরাষ্ট্রে শুক্রবার উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। নিউইয়র্ক অঞ্চলে রিমঝিম বৃষ্টি থাকায় সবগুলো মসজিদেই প্রতি ঘণ্টায় একটি করে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। একেকজন মুসল্লি ৬ ফুট অন্তর দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়ের ঘোষণা দেয়া হলেও বাস্তবে খুব কমসংখ্যক ঈদ জামাতেই তার প্রতিফলন ঘটতে দেখা গেছে। তবে প্রায় সকলেই মাস্ক পরিহিত থাকায় স্বাস্থ্যবিধির পরিপূরক পরিবেশ বিরাজিত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এজন্যে কোলাকুলি কিংবা করমর্দনের চিরচেনা দৃশ্যটি ছিল একেবারেই অনুপস্থিত।
ঈদ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে আমেরিকাসহ সারাবিশ্বে মুসলিম সম্প্রদায়কে ‘ঈদ মুবারক’ জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল আর পম্পেও। তিনি সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন।
জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার, বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার, আল আমিন মসজিদ, ইস্ট এলমহার্স্ট মসজিদ, পার্কচেস্টার জামে মসজিদ, গাউসিয়া মসজিদ, ওজনপাক মসজিদ, লং আইল্যান্ড মুসলিম সেন্টার, বায়তুল জান্নাহ মসজিদ, মদিনা মসজিদে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় ভোর ৬টায়। এরপর অনেকে ছুটেন পশু খামারে পছন্দের গরু, খাশী, ভেড়া কুরবানীর জন্যে। কেউ কেউ নিউইয়র্ক সিটি থেকে দেড় শতাধিক মাইল দূর ফিলাডেলফিয়াতেও গেছেন গরু কোরবানি দিতে।
পেনসিলভেনিয়া, নিউজার্সি, বস্টন, কানেকটিকাট, ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, মিশিগান, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়, মিনেসোটা, ওয়াশিংটন, দেলওয়ারে, ওহাইয়ো, আলাবামা, নিউঅর্লিন্স, ক্যানসাস, কেন্টাকী, ওরেগণ প্রভৃতি স্থানেও ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। তবে পশু কোরবানি দিতে এবার অনেকেরই আগ্রহ কম ছিল। করোনা সংক্রমণের ভীতি ছাড়াও স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে কোরবানির মাংস বিতরণে আগের মত আন্তরিক আগ্রহ কমে যাওয়ায় অনেক প্রবাসী বাংলাদেশে স্বজনের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন কোরবানির জন্যে।
জানা গেছে, প্রায় সবগুলো ঈদ জামাতেই অনুষ্ঠিত মোনাজাতে করোনা মহামারি থেকে মানবতার দ্রুত মুক্তির জন্যে পরমকরুণাময়ের দয়া প্রার্থনা করা হয়। ইতিমধ্যেই যারা মারা গেছে তাদের আত্মার মাগফেরাত এবং আক্রান্তদের আরোগ্য কামনাও করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ