শিরোনাম
প্রকাশ: ২১:৪৪, বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ, ২০২১ আপডেট:

বিশেষ সাক্ষাৎকার

আমার প্রশাসন ও আমি কোনো ভুল করিনি: সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমান

ইউরোপ ব্যুারো
অনলাইন ভার্সন
আমার প্রশাসন ও আমি কোনো ভুল করিনি: সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমান

টাওয়ার হ্যামলেটস তথা যুক্তরাজ্যের মূলধারার রাজনীতিতে যিনি ছিলেন আলোচিত, সমালোচিত সাবেক নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান। তিনিই যুক্তরাজ্যের প্রথম নির্বাচিত মুসলিম, বিএমই মেয়রের সম্মান পান, ছিলেন যুক্তরাজ্যেও প্রভাবশালী দৈনিক টেলিগ্রাফের জরিপে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী ১০০ জনের মধ্যে একজন। লুৎফুর রহমান এমন এক চরিত্র যিনি যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে ধূমকেতুর মতো জ্বলে উঠেছিলেন, আবার পতনও হয়েছে অনেক নাটকীয়তার মাধ্যমে। মূলধারায় যেভাবে তাকে নিয়ে বাংলাদেশিরা গর্ব করেছেন, এক সময় নানা অভিযোগের ডালপালায় তাকে নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। বিবিসি তাকে নিয়ে প্যানারোমা প্রোগ্রাম করেছিল।

সিভিল কোর্টে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে নির্বাহী মেয়র থেকে অপসারণ করা হয়। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পায়নি মেট পুলিশ, সিটি পুলিশ, ক্রাইম প্রসিকিউশন সার্ভিস সিপিএস। তাকে সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই মামলা, তদন্ত সব মিলিয়ে লুৎফুর রহমান প্রায় ৫ বছর ছিলেন অন্তরালে। আগামী ৬ মে টাওয়ার হ্যামলেটসে মেয়রাল সিস্টেম না লিডারশিপ থাকবে এজন্য রেফারেন্ডাম ভোট দেওয়া হয়েছে। এই রেফারেন্ডামকে সামনে রেখে লুৎফুর রহমান আবারও নেমেছেন ভোটের মাঠে। অন্তরাল থেকে বের হয়ে এই প্রথম তিনি কোনো পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিলেন।

দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাথে দীর্ঘ আলাপচারিতায় উঠে এসেছে মামলা, অভিযোগ, মামলা থেকে অব্যাহতি, তার উপলব্ধি, টাওয়ার হ্যামলেটস নিয়ে তার স্বপ্নের কথা। লুৎফুর রহমানের সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের ইউরোপ ব্যুারো চিফ আ স ম মাসুম।

প্রশ্ন:  আপনি আবারও রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হচ্ছেন এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ৬ মে টাওয়ার হ্যামলেটসে মেয়র না লিডারশিপ এমন সিদ্ধান্তের জন্য রেফারেন্ডাম ভোটের আহ্বান জানানো হয়েছে। এই রেফারেন্ডামকে সামনে রেখে নাগরিকদের একটি ব্যানার এবং ইয়েস ফর মেয়র ক্যাম্পেইন আপনার ছবি দিয়ে পোস্টার ছেড়েছে। আপনার এ বিষয়ে বক্তব্য কী?

৬২ হাজার মানুষ ২০১০ সালে ভোট দিয়ে টাওয়ার হ্যামলেটসে মেয়রাল সিস্টেম এনেছিলেন। আমি ব্যাক্তিগতভাবেও এই সিস্টেম সাপোর্ট করি। কারণ, আমি মনে করি, এটা গণতন্ত্রের একটি উদাহরণ। যেখানে জবাবদিহি আছে, যে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছেন মানুষ। ১০ বছর পর আবারও এই রেফারেন্ডম দেওয়া হয়েছে। আমি খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে চাই, ক্ষমতা টাওয়ার হ্যামলেটসের মানুষের মধ্যেই থাকা উচিত। তাদেরই নির্বাচিত করার অধিকার, কে কাউন্সিলের সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারবে, তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন যে সঠিকভাবে কাউন্সিল চালাবে না তাকে বিদায় করার জন্য। আমি খুব সক্রিয়ভাবে টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র সিস্টে ম বহাল রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তাদের প্রতি আমার সব সহযোগিতা থাকবে, যারা বর্তমান সিস্টেম বহাল রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

প্রশ্ন: যে বিষয়টি নিয়ে শুরু করা উচিত ছিল সেটি হলো- আপনার যে মামলাগুলো ছিল সেটি নিয়ে। আপনাকে সিভিল কোর্টে দোষী সাব্যস্ত করে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়, তারপর আপনার ওপর অনেক ঝড়-ঝাপটা গেছে। আমরা বাইরে থেকে শুনেছি আপনার বাড়ি-ঘর পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে মামলা চালাতে গিয়ে। পরবর্তীতে মেট পুলিশ, সিটি পুলিশ, ক্রাইম প্রসিকিউশন সার্ভিস সিপিএসসহ সব জায়গায় আপনার মামলা অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সিটি পুলিশ বলেছে, আপনার মামলায় তদন্ত করার কোনো মোটিভ নেই। তাহলে ভুলটা কী এবং কোথায় ছিল? 

জীবন একটি পরীক্ষা। জীবনে উত্থান-পতন আছেই। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে, অপ্রত্যাশিতভাবে ২০১৫ সালে আমি আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলাম। আমি আইনি প্রক্রিয়াকে শ্রদ্ধা জানাই। আমি নিজেও ২০ বছর আইন পেশায় ছিলাম। সেই পেশার প্রতি আমার একটা শ্রদ্ধা আছে। তবে মাত্র একজন মানুষ, যিনি এই বিচারের রায় দিয়েছিলেন, তিনি এই মামলার একাধারে মামলার প্রসিকিউটর, জাজ, জুরি এবং এক্সিকিউশনার ছিলেন, তার রায় আমি মানতে পারিনি। একজন মানুষ কীভাবে একটি মামলার সব প্রক্রিয়ার দায়িত্বে ছিলেন, এটা আমি মানতে পারিনি। এরপর চারটি স্বতন্ত্র পুলিশি তদন্ত হয়েছে, তিনটি ছিল স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের। আরেকটি ছিল সিটি পুলিশের তদন্ত। তারা আমিসহ আমার টিমের ব্যাপারে তদন্ত করেছে। তারা ২২টি বক্সে করে হাজার হাজার পাতার ডকুমেন্ট নিয়েছে। প্রতিটি ডকুমেন্ট তন্নতন্ন করে খুঁজেছে গত ৫ বছরে এবং তারা কিছুই পায়নি। এমন কোনো কিছুই তারা পায়নি, যা দিয়ে আমার সাথে বা আমার টিমকে প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসাবাদ করবে। আলহামদুলিল্লাহ, কোনো ধরনের অভিযোগ আমাদের কারোর বিরুদ্ধে আনা যায়নি। প্রতিটি তদন্তের শেষ হয়েছে কোনো ধরনের প্রসিকিউশন ছাড়াই। আমি শুধু বলব, বারার বাসিন্দাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত এবং তারাই বুঝতে পারবে সেই বিচারের রায় সঠিক ছিল কি না। আমি আত্মবিশ্বাসী, আমার চারপাশের মানুষ আত্মবিশ্বাসী আমরা কোনো ভুল করিনি। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল টাওয়ার হ্যামলেটসকে এমন একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া যেটার জন্য সবাই গর্ব করতে পারে। আমাদের বাচ্চারা যেন ভালো একটি ভবিষ্যৎ পায়। আমি আবারও বলতে চাই, কোনো ভুল করিনি, কোনো ধরনের অপরাধমূলক কাজ আমি করিনি।

প্রশ্ন: এই যে আপনি সবকিছু থেকে দূরে ছিলেন পাঁচ বছর আপনার নিজের কোন ভুলগুলো আপনার চোখে পড়েছে। সেগুলোর ব্যাপারে আপনার মূল্যায়ন কী?

আমি একজন মানুষ, সবসময় নিজেকে পেছন ফিরে দেখতে পছন্দ করি। আমি বিশ্বাস করি, ভুল থেকে শেখার চেয়ে বড় কিছু নেই। আমি মানুষ, আমার অবশ্যই ভুলত্রুটি থাকতে পারে। আমি জীবনকে মূল্যায়ন করি এভাবে, জীবন হচ্ছে চলমান শিক্ষার একটি প্রক্রিয়া। ভুল করলে সংশোধন করার জন্য চেষ্টা করি। আমি দুই বছর ছিলাম লিডার, দুই টার্মের কাছাকাছি মেয়র ছিলাম। আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি, এই বারার মানুষদের সেবা করেছি বলে। তবে জেনে-শুনে আমি আমার দায়িত্বে কোনো ভুল করিনি। কাউকে ভুল করতেও দিইনি। অজান্তেও আমি দায়িত্ব পালনে কোনো ভুল করিনি। যদি অজান্তে কোনো ভুল করে থাকি, তাহলে অবশ্যই আমি সেটা থেকে শিক্ষা নেব। আমি যদি আবারও মানুষের সেবা করার সুযোগ পাই, তাহলে অবশ্যই যে কাজগুলো অতীতে করেছি, তা হয়তো অন্যভাবে করব।

প্রশ্ন: এই মামলা চলাকালীন আপনার বাবাকে হারিয়েছেন, যা আপনার জীবনের একটি বড় ট্র্যাজেডি। এই ঘটনা আপনার জীবনে কী প্রভাব ফেলেছে?

আমার বাবা একজন মুরব্বি মানুষ ছিলেন। যখন আমার কেস শুরু হলো ২০১৫ সালে তখন তিনি ৮০ বছরের বৃদ্ধ। তিনি সবই বুঝতেন, আমাকে নিয়মিত কেস নিয়ে জিজ্ঞেস করতেন। উনাকে আমি নিশ্চয়তা দিতাম। তবে এই কেসের কারণে চারপাশের এত প্রশ্ন আমার বাবাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ করে ফেলে। এই কেস আমার বাবাকে লজ্জায় ফেলেছে। শেষের দিকে আমার বাবার শারীরিক চলাফেরায় সমস্যা হয়, স্মৃতিশক্তি কমে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ততো আল্লাহর হুকুমে মারাই গেলেন। আমার জীবনের দুঃখ, আমি আমার বাবাকে এমন একটি পরিস্থিতিতে ফেলতে বাধ্য করেছিলাম, যা তাকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। তবে আমার বাবা মারা যাওয়ার আগে জেনে গেছেন, পুলিশ আমার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থেকে মুক্ত দিয়েছে। এটি উনাকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে।

প্রশ্ন: আপনি একসময় এই টাওয়ার হ্যামলেটসে জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। নির্বাহী মেয়র থাকাকালীন আপনার চারপাশে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী ছিলেন, যাদের অনেককেই আপনার পতনের পর বিরোধী শিবিরে দেখেছি। আপনার বিরুদ্ধে অবস্থানও নিয়েছেন অনেকে। এই শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য আপনার বার্তা কী?

রাজনীতি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের ছোট একটি গ্রুপ ছিল। ছোট একটি মুভমেন্ট বা আন্দোলন আমরা করেছিলাম। সবাই মিলে লক্ষ্য একটাই ছিল টাওয়ার হ্যামলেটসে কীভাবে উন্নয়ন কো যায়। এ্ই রাজনৈতিক ভ্রমণে কিছু মানুষ আমাদের সাথে থেকেছেন আবার কিছু মানুষ সরে গিয়েছেন। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যারা সরে গেছেন তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যদি বারার উন্নয়ন করা, তাহলে আমার কোনো অভিযোগ নেই। কেউ হয়ত পার্লামেন্ট মেম্বার হতে চেয়েছেন, কেউ হয়ত ব্যবসায়ী হতে চেয়েছেন, তাদের ইচ্ছাকে আমি সম্মান জানাই। আমার রাজনৈতিক চলমান প্রক্রিয়ায় নতুন মানুষ যুক্ত হবেন, আবার পুরাতন অনেকেই নতুন দিক উম্মোচনের জন্য চলে যাবেন। তাদের জন্য আমার শুভ কামনা থাকবে।

প্রশ্ন:  টাওয়ার হ্যামলেটসের রাজনীতি থেকে আপনি সরে দাঁড়াতে বাধ্য হওয়ার পর এই পাঁচ থেকে ছয় বছরে টাওয়ার হ্যামলেটস কোন জায়গায় আছে বলে আপনি মনে করেন?

২০১৫ সালে আমার সাথে যেটা করা হয়েছে, এটাতো হওয়ার কথা ছিল না। আমরা দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়ে মধ্যভাগে ছিলাম। ২০১০ সালে কমিউনিটির মানুষই মেয়রাল সিস্টেম এনেছিলেন। আমি প্রথম নির্বাহী মেয়র এই বারার, এজন্য আমি নিজেকে সম্মানিত মনে করি, সেই সাথে আমি অনেক ভাগ্যবানও ছিলাম। কারণ, এই বারার মানুষ আমাকে পছন্দ করেছেন। এই চার থেকে পাঁচ বছর আমরা একটি নির্দিষ্ট নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। আমি আমার নির্বাচনী ওয়াদা প্রতি সপ্তাহে দেখতাম, কোনোটার কতটুকু কাজ হয়েছে। নির্বাচনী ওয়াদার বাইরেও আরও অনেক কাজ আমরা করেছি। ২২ হাজার মানুষ ছিলেন হাউজিং লিস্টে, তাদের জন্য কীভাবে ঘর বানানো যায়, শিক্ষাকে কীভাবে আরও উপরে নেওয়া যায়, অপরাধ কীভাবে কমানো যায়, এই কাজগুলোতে আমরা সফল হয়েছিলাম। হোয়াইটচ্যাপেল রয়েল লন্ডন হাসপাতালের পুরোনো বিল্ডিংয়ে আমরা টাউন হল নিয়ে এসেছি, যেটা সম্ভব হয়েছে মেয়র হিসেবে থাকার কারণে। আমাদের জোর করে, অন্যায়ভাবে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়েছিল। তা না হলে টাওয়ার হ্যামলেটসের উন্নয়ন আরও অনেক দূর পর্যন্ত যেত। আমার নেতৃত্বে প্রায় ৫ বছরে ৫৫৯০ ঘর নির্মিত হয়েছে। পরিকল্পনায় ছিল আরও ৩ হাজার। আমার সময় বৃটেনে সর্বোচ্চ সংখ্যক সোস্যাল হাউজ নির্মাণের সরকারি স্বীকৃতির পাশাপাশি মোট ৭৪ মিলিয়ন পাউন্ড বোনাস মিলে। ১৬৮ মিলিয়ন পাউন্ড খরচে কাউন্সিলের মালিকানাধীন ২৬ হাজার ঘরের কিচেন ও বাথরুম নতুনভাবে তৈরি করতে ডিসেন্ট হোম প্রজেক্টে বাস্তবায়ন হয়। আগামী বছর টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম সোশিয়াল হাউজিং ডেলিভার করবে। সবচেয়ে কম বোনাস পাবে টাওয়ার হ্যামলেটস। এই হচ্ছে আমার প্রশাসন আর বর্তমান প্রশাসনের মধ্যে পার্থক্য।

আমার প্রশাসনে শিক্ষা খাতে, স্কুল ভবন নির্মাণ ও সংস্কারে ৩৮০ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করা হয়। বো এবং সেন্টপলস ওয়ে স্কুলকে সম্পূর্ণ নতুন করে নির্মাণ করা হয়। ছিল মেয়ার্স ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস এবং রিসেপশন ও ইয়ার-ওয়ানের বাচ্চাদের জন্য ফ্রি স্কুল ডিনার। সরকারিভাবে বন্ধ করে দেওয়া এডুকেশন মেনটেইনেন্স এলাউন্স (ইএমএএ) বিকল্প ফান্ডিংয়ে চালু করা হয়। ফ্রি স্কুল মিল বর্তমান প্রশাসন দিচ্ছে কিন্তু এডুকেশন মেনটেইনেন্স এলাউন্স বছরে ৪০০ পাউন্ড বন্ধ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য একটি গ্রান্ট ছিল। সব বন্ধ করা হয়েছে। তরুণদের জন্য কোনো সাপোর্ট নেই। ৪৭টি ইয়ুথ প্রবিশন আমরা চালাতাম, ১০ মিলিয়ন পাউন্ড অতিরিক্ত আমরা দিতাম তরুণদের সহায়তার জন্য। আমরা বিদায় হওয়ার পরে এই ১০ মিলিয়ন ফান্ড কাটা হয়েছে। ৪৭টি ইয়ূথ প্রবিশন ক্লাব থেকে কমিয়ে মাত্র ৮টি রাখা হয়েছে। এই তরুণারা কোথায় যাবে? তাদের মানসিক বিকাশের জন্য জায়গাটা কই?

আমরা অপরাধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলাম। আমাদের একটি প্রোগ্রাম ছিল ‘ডিলার এ ডে,’ মানে প্রতিদিন কমপক্ষে ১ জন ড্রাগ ডিলারকে ধরা। অপরাধ একেবারে সরানো যাবে না। তবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তাই আমরা নিজস্ব ফান্ডিংয়ে ৫৫ জন পুলিশ নিয়োগ দিয়েছিলাম। এখন রাস্তায় হাঁটলে পুলিশ দেখাই যায় না।
কাউনিসল ট্যাক্স আমার সময় মাত্র ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল। ৭ বছর আমরা কাউন্সিল ট্যাক্স ফ্রিজ রেখেছিলাম। বাড়তে দিইনি। বর্তমানে সেটা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। কাউন্সিল ট্যাক্স বাড়বে, কিন্তু এর মানে কি এতো বেশি বেড়ে যাওয়া? এটা মানা কষ্টকর।

আমরা একটি কবরস্থান কিনেছিলাম, এই বারার মানুষের জন্য। যেন স্বল্প খরচে কবর দেওয়া যায়, মাত্র ৬৫০ পাউন্ডে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল সেখানে। সব মিলিয়ে একটি দাফন ১২০০ পাউন্ডের মধ্যে হয়ে যেত, যেখানে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজারের মতো খরচ হয় অন্য জায়গায় কবর দিতে গেলে। এখন এটি বেড়ে ১৫০০ পাউন্ড হয়েছে। এই বিষয়গুলো আমাকে দুঃখিত করে। যদি আমার প্রশাসন থাকতো, তাহলে পরিস্থিতি এরকম থাকতো না।

প্রশ্ন: টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র পদ্ধতি বিলুপ্ত করার জন্য মূলধারার চারটি দল একসাথে মাঠে নেমেছে। অন্যদিকে আপনার দল এসপায়ার বা ইয়েস ফর মেয়র ক্যাম্পেইন এই পদ্ধতি বহাল রাখার জন্য প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। গ্রেটার লন্ডনের ৩২টি কাউন্সিলের ২৮টি লিডারশিপে আছে, মাত্র চারটি আছে নির্বাহী মেয়রশিপে। আপনি কেন মনে করেন টাওয়ার হ্যামলেটসে নির্বাহী মেয়র থাকা দরকার?

একজন নির্বাচিত মেয়র স্ব স্ব এলাকার জন্য অনেক ভালো কাজ করতে পারেন। বড় বড় পরিকল্পনা বাস্তবাায়নে তার যথার্থ ক্ষমতা থাকে। লন্ডন সিটি, লন্ডনের চারটি বারাসহ ম্যানচেস্টার, লিভারপুল এবং বড় বড় সিটি যেমন নিউইয়র্ক, প্যারিস কিংবা ঢাকা সব খানে রয়েছেন নির্বাচিত মেয়র। নির্বাচিত মেয়র মানে-জনগণের ক্ষমতা। আপনারাই সিদ্ধান্ত নেবেন, কে হবে আপনাদের মেয়র। কাউকে পছন্দ না হলে তাকে আপনারা বাদ দেবেন, কিন্তু সিস্টেমটা রাখবেন।

২০০৮ ও ২০০৯ সালে লেবার পার্টি থেকে আমি কাউন্সিল লিডার ছিলাম। প্রথমবার মাত্র ১৫ জন এবং দ্বিতীয়বার ১৮ থেকে ১৯ জন কাউন্সিলর আমাকে সমর্থন করেন। আমি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পার্টি এবং কাউন্সিলরদের কাছে দায়বদ্ধ ছিলাম। কিন্তু ২০১০ সালে আমি প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হই প্রায় ২৫ হাজার ভোটে আর ২০১৪ সালে প্রায় ৩৮ হাজার ভোটে। এতেই প্রমাণিত, নির্বাচিত মেয়র কত বিশাল জনসমর্থন নিয়ে ও দায়-দায়িত্ব নিয়ে নির্বাচিত হন। আর এ কারণে তাকে সবসময় জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হয়। আমার জনগণের ম্যান্ডেট ছিল বলেই হোয়াইটচ্যাপেলে টাউন হল আনতে পেরেছি, ফ্রি স্কুল মিল চালু রেখেছিলাম, অপরাধ নির্মূলে ৫৫ পুলিশ নিয়োগ দিয়েছিলাম, কাউন্সিল ট্যাক্স ফ্রিজ করেছিলাম ৭ বছর, এডুকেশন মেইন্টেইনেন্স এলাউন্স, বিশ্ববিদ্যালয় গমনেচ্ছু তরুণদের সহায়তা ফান্ড দিয়েছি, তরুণদেও জন্য অতিরিক্তি ১০ মিলিয়ন পাউন্ড ফান্ড দিয়েছি, টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দাদের জন্য কবর কিনেছি, এরকম শত শত কাজ করেছি।

একজন নির্বাচিত মেয়র জনকল্যাণে বড় বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। কারণ তিনি বিশাল ভোট নিয়ে এবং জনগণের কাছে আগাম প্রতিশ্রুতির তালিকা দিয়েই নির্বাচিত হন। কোনো প্রজেক্ট বা ভালো কাজ বাধার মুখে পড়লে মেয়র ক্ষমতা রাখেন, প্রয়োজনে আইনি চ্যালেঞ্জের মাধ্যেমে কাজটি নিশ্চিত করার। নির্বাচিত মেয়রকে আপনি সামনা-সামনি দেখতে পাবেন। তিনি জনগণের কাছে জবাব দেন, তাদের দরজায় যান। আর আপনি যদি মনে করেন, নির্বাচিত মেয়র সমাজ-কমিউনিটির দিকে ভালো করে নজর দেননি, তাকে নির্বাচনের মাধ্যমে সরিয়ে দিতে পারবেন। আপনার এই গণতান্ত্রিক অধিকার ধরে রাখতে হলে কিন্তু মেয়র সিস্টেমটা রাখতে হবে। কিন্তু লিডারশিপ সিস্টেমে সামান্য কয়েক নেতা, পার্টি বা কাউন্সিলরকেই খুশি করতে হয়। টাউন হলে বসে ব্যক্তিবিশেষের রাজনীতি করতে হয়। কিন্তু মেয়রের অগ্রাধিকার হলো জনগণ।

প্রশ্ন: যদি রেফারেন্ডামের ফলাফল লিডারশিপের পক্ষে যায় তাহলে আপনার পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ কী হবে?

আমার বিশ্বাস আছে, জনগণ ইয়েস মেয়রের জন্যই ভোট দেবেন। তারপরও যদি জনগণের রায় লিডারশিপের পক্ষে যায়, আমি সেই রায়কে সম্মান জানাব। আমি টাওয়ার হ্যামলেটসের নাগরিকদের উন্নয়নে কাজ করে যাব। তবে রাজনৈতিক পদক্ষেপ কী হবে সেটা তখন বলা যাবে। অনেকটা পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেব।

প্রশ্ন: সবশেষ প্রশ্ন, টাওয়ার হ্যামলেটস নিয়ে আপনার স্বপ্ন কী? কখনো যদি আপনি আবারও টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র হন, তাহলে কোন কোন ক্ষেত্রে কাজ করবেন?

আমি যদি নির্বাচিত হই, তাহলে প্রথমেই টাওয়ার হ্যামলেটসে বেশি ঘর নির্মাণের দিকে নজর দেব। আমরা আরও বেশি কাউন্সিল ঘর বানাব। বেশি সোশিয়ার হাউজিং তৈরি করব। ওভারক্রাউড বা এক বাসায় বেশি মানুষ থাকা কমাতেই হবে। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সুযোগ দিতে হবে, এই বারাহতেই থাকার। টাওয়ার হ্যামলেটস থেকে চলে যাওয়ার হার কমাতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে বারাহকে দেশসেরা করতে হবে। শিক্ষার উন্নয়নের বিকল্প নেই।

অপরাধ কমাতে হবে। টাওয়ার হ্যামলেটসে রাতে হাঁটতে বের হলে, ভয় করে। এটা চলতে দেওয়া যাবে না। আমরা আরও বেশি পার্টনারশিপে জোর দেব। আরও বেশি পুলিশকে বারাহর প্রতি আকৃষ্ট করতে হবে। অপরাধ ও অপরাধীকে চিহ্নিত করতে হবে।

পরিবেশ উন্নয়নে মেয়র অব লন্ডনের সাথে যৌথভাবে কাজ করে বারাহকে জিরো ইমিউশনে আনতে হবে। কমিউনিটির সাথে কথা বলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কোন রাস্তা বন্ধ করা বাস্তবসম্মত হবে। অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা বন্ধ করে, অন্য রাস্তায় ট্রাফিক বাড়িয়ে দেওয়া কোনো কাজের না। এটার জন্য একটি পরিকল্পনা দরকার। 
তরুণদের জন্য ইয়ূথ সার্ভিস প্রাইভেট সার্ভিসে দেওয়া হবে না। এটা পার্টনারশিপে করা যায়। তবে মূল নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিলের কাছে থাকবে। আমাদের বারাহতে শিশু দারিদ্র্যের হার অনেক কম। আমরা কাউন্সিল ট্যাক্স ফ্রিজ করেছিলাম এসব দরিদ্র শিশুদের পরিবারকে সহায়তা করার জন্য। সেটার জন্য একটা পরিকল্পনা করব।
আমি টাওয়ার হ্যামলেটসকে একুশ শতকের সেরা একটা কাউন্সিল হিসেবে দেখতে চাই।

আ স ম মাসুম: লুৎফুর রহমান, আপনাকে ধন্যবাদ। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে সময় দেওয়ার জন্য।

লুৎফুর রহমান: আপনাকেও ধন্যবাদ।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 
 
 

 
 
 

 

  

 
 

 
 
 

 

এই বিভাগের আরও খবর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ক্যালগেরি শাখার গালা নাইট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ক্যালগেরি শাখার গালা নাইট
দক্ষিণ কোরিয়ায় দুর্ঘটনায় আইসিইউতে কুমিল্লার তিন শিক্ষার্থী
দক্ষিণ কোরিয়ায় দুর্ঘটনায় আইসিইউতে কুমিল্লার তিন শিক্ষার্থী
মালয়েশিয়ায় নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
মালয়েশিয়ায় নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
মালয়েশিয়ায় ইউপিএম বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত
মালয়েশিয়ায় ইউপিএম বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত
ফোবানা আউটস্ট্যান্ডিং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পেল হোপ ফাউন্ডেশন
ফোবানা আউটস্ট্যান্ডিং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পেল হোপ ফাউন্ডেশন
গ্রিসে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
গ্রিসে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
কানাডায় শেষ হলো ৮ম টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
কানাডায় শেষ হলো ৮ম টরন্টো মাল্টিকালচারাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল
পর্তুগালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
পর্তুগালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
মালয়েশিয়ায় অভিযানে ৩৭৭ বাংলাদেশিসহ ৭৭০ অভিবাসী আটক
মালয়েশিয়ায় অভিযানে ৩৭৭ বাংলাদেশিসহ ৭৭০ অভিবাসী আটক
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব
মালয়েশিয়ায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
মালয়েশিয়ায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
‘ক্ষমতায় থাকা নয়, দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়েই প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়’
‘ক্ষমতায় থাকা নয়, দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়েই প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়’
সর্বশেষ খবর
গাজা সংকটে ৪ হাজারেরও বেশি বিজ্ঞানীর উন্মুক্ত চিঠি
গাজা সংকটে ৪ হাজারেরও বেশি বিজ্ঞানীর উন্মুক্ত চিঠি

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমেরিকায় চার্চের সামনে ধর্ষণকাণ্ডে নারীর মৃত্যু
আমেরিকায় চার্চের সামনে ধর্ষণকাণ্ডে নারীর মৃত্যু

৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুন্দরবনে অবৈধ মাছ ধরায় ট্রলারসহ আটক ৬
সুন্দরবনে অবৈধ মাছ ধরায় ট্রলারসহ আটক ৬

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চন্দ্রগ্রহণ শুরু, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কেমন দেখা যাচ্ছে চাঁদ?
চন্দ্রগ্রহণ শুরু, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কেমন দেখা যাচ্ছে চাঁদ?

১৯ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

কলাপাড়ায় আন্তর্জাতিক ‘নীল আকাশের জন্য নির্মল বায়ু’ দিবস উদযাপন
কলাপাড়ায় আন্তর্জাতিক ‘নীল আকাশের জন্য নির্মল বায়ু’ দিবস উদযাপন

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টানা ৬ জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে মরক্কো
টানা ৬ জয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে মরক্কো

৩১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বিদেশ ঘুরে দেশে মুক্তি পাচ্ছে মেহজাবীনের ‘সাবা’
বিদেশ ঘুরে দেশে মুক্তি পাচ্ছে মেহজাবীনের ‘সাবা’

৩৫ মিনিট আগে | শোবিজ

জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে সিরিজ ঘরে তুললো শ্রীলঙ্কা
জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে সিরিজ ঘরে তুললো শ্রীলঙ্কা

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গাইবান্ধায় দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার
গাইবান্ধায় দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নড়াইলে নবগঙ্গা নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা
নড়াইলে নবগঙ্গা নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মাচে স্টোন্সকে পাবে না ইংল্যান্ড
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মাচে স্টোন্সকে পাবে না ইংল্যান্ড

৪৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ফেনীতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, নিহত ২
ফেনীতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, নিহত ২

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিদেশে ৪ সেঞ্চুরির পর দেশের মাটিতে ইমামের ট্রিপল সেঞ্চুরি
বিদেশে ৪ সেঞ্চুরির পর দেশের মাটিতে ইমামের ট্রিপল সেঞ্চুরি

৪৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মাগুরায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান, জরিমানা
মাগুরায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান, জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গাইবান্ধায় নেটওয়ার্কিং সভা
নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গাইবান্ধায় নেটওয়ার্কিং সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুড়িগ্রামে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার, গ্রেফতার ৪
কুড়িগ্রামে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার, গ্রেফতার ৪

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে প্রবাসী খুন
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে প্রবাসী খুন

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নওগাঁয় নকল ওষুধ তৈরির কারখানা সিলগালা
নওগাঁয় নকল ওষুধ তৈরির কারখানা সিলগালা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা নেই, তবে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা চলছে: মির্জা ফখরুল
নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা নেই, তবে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা চলছে: মির্জা ফখরুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

'ফিউচার সায়েন্টিস্ট মিটআপ' করলো ছাত্রশিবির
'ফিউচার সায়েন্টিস্ট মিটআপ' করলো ছাত্রশিবির

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হবিগঞ্জে হাসপাতাল-ক্লিনিককে জরিমানা
হবিগঞ্জে হাসপাতাল-ক্লিনিককে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুরিয়ারের মাধ্যমে ইতালি পাঠানো হচ্ছিল ভয়ঙ্কর মাদক ‘কিটামিন’
কুরিয়ারের মাধ্যমে ইতালি পাঠানো হচ্ছিল ভয়ঙ্কর মাদক ‘কিটামিন’

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বগুড়ায় ২৩ মামলার আসামি অস্ত্রসহ গ্রেফতার
বগুড়ায় ২৩ মামলার আসামি অস্ত্রসহ গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উচ্চাভিলাষী জলবায়ু পদক্ষেপে বাংলাদেশ-ব্রাজিল ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
উচ্চাভিলাষী জলবায়ু পদক্ষেপে বাংলাদেশ-ব্রাজিল ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বচ্ছতা বজায় ও ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
স্বচ্ছতা বজায় ও ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে আটলান্টা ফায়ারের হয়ে খেলবেন মাহমুদউল্লাহ
যুক্তরাষ্ট্রে আটলান্টা ফায়ারের হয়ে খেলবেন মাহমুদউল্লাহ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দিনাজপুরে অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার
দিনাজপুরে অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ ফেরাউন নমরুদের চাইতে খারাপ: দুলু
শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ ফেরাউন নমরুদের চাইতে খারাপ: দুলু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাবনায় সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু
পাবনায় সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করল যে ১৭ দেশ
২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করল যে ১৭ দেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মতিউরকাণ্ডে এক এসআইসহ ১১ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
মতিউরকাণ্ডে এক এসআইসহ ১১ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি কমানোর পরিকল্পনা সরকারের
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি কমানোর পরিকল্পনা সরকারের

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিজ রিসোর্ট থেকে গ্রেফতার সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহা
নিজ রিসোর্ট থেকে গ্রেফতার সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ আজ, দেখা যাবে কখন
পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ আজ, দেখা যাবে কখন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমার বাড়ি ভেঙে যদি দেশে শান্তি স্থাপিত হয়, আমি রাজি: কাদের সিদ্দিকী
আমার বাড়ি ভেঙে যদি দেশে শান্তি স্থাপিত হয়, আমি রাজি: কাদের সিদ্দিকী

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মার্কিন বাণিজ্যে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে মিত্র দেশগুলো, ট্রাম্পের নতুন আদেশ
মার্কিন বাণিজ্যে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে মিত্র দেশগুলো, ট্রাম্পের নতুন আদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ
রবিবার পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্রার্থীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্রার্থীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঝড় 'কিকো', আঘাত হানবে যেদিকে
ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঝড় 'কিকো', আঘাত হানবে যেদিকে

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে যা বললেন জেলেনস্কি
পুতিনের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে যা বললেন জেলেনস্কি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোলায় ইসলামি বক্তাকে কুপিয়ে হত্যা
ভোলায় ইসলামি বক্তাকে কুপিয়ে হত্যা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একাদশে ভর্তি শুরু: কোন কলেজে কত খরচ?
একাদশে ভর্তি শুরু: কোন কলেজে কত খরচ?

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সন্ত্রাসীদের স্থান এদেশে হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সন্ত্রাসীদের স্থান এদেশে হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরে স্ত্রীর গলাকাটা লাশ স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ, জীবিত উদ্ধার দুই শিশু
ঘরে স্ত্রীর গলাকাটা লাশ স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ, জীবিত উদ্ধার দুই শিশু

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বদরুদ্দীন উমর আর নেই
বদরুদ্দীন উমর আর নেই

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দক্ষিণ কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন ট্রাম্প, শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা
দক্ষিণ কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন ট্রাম্প, শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লঙ্কানদের ৮০ রানে গুটিয়ে দিয়ে জিম্বাবুয়ের দাপুটে জয়
লঙ্কানদের ৮০ রানে গুটিয়ে দিয়ে জিম্বাবুয়ের দাপুটে জয়

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রথম পাকিস্তানি নারী হিসেবে অনন্য কীর্তি শেহেরবানোর
প্রথম পাকিস্তানি নারী হিসেবে অনন্য কীর্তি শেহেরবানোর

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাঙ্গাইলে কাদের সিদ্দিকীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
টাঙ্গাইলে কাদের সিদ্দিকীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জমিদারের বংশ’ দাবি করে বক্তব্য দেওয়া চবির সেই কর্মকর্তাকে শোকজ
‘জমিদারের বংশ’ দাবি করে বক্তব্য দেওয়া চবির সেই কর্মকর্তাকে শোকজ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জুরাইন কবরস্থানে বদরুদ্দীন উমরের দাফন সোমবার
জুরাইন কবরস্থানে বদরুদ্দীন উমরের দাফন সোমবার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেসিকে ছাড়িয়ে রোনালদোর এখন রেকর্ড ছোঁয়ার অপেক্ষা
মেসিকে ছাড়িয়ে রোনালদোর এখন রেকর্ড ছোঁয়ার অপেক্ষা

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘ক্লিন ইমেজের নেতা ছাড়া কোন চাঁদাবাজদের বিএনপি মনোনয়ন দেবে না’
‘ক্লিন ইমেজের নেতা ছাড়া কোন চাঁদাবাজদের বিএনপি মনোনয়ন দেবে না’

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটক থেকে আয় কমেছে বছরে এক কোটি ৩০ লাখ ডলার
বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটক থেকে আয় কমেছে বছরে এক কোটি ৩০ লাখ ডলার

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলি হামলায় গাজা সিটির দ্বিতীয় সুউচ্চ ভবনটিও ধ্বংস
ইসরায়েলি হামলায় গাজা সিটির দ্বিতীয় সুউচ্চ ভবনটিও ধ্বংস

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেলজিয়ামের ভিসা আবেদন নেবে না ঢাকার সুইডিশ দূতাবাস
বেলজিয়ামের ভিসা আবেদন নেবে না ঢাকার সুইডিশ দূতাবাস

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ১০ দফা দাবি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ১০ দফা দাবি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভোটারদের কাছে এজিএস প্রার্থী মায়েদের অনুরোধ
ভোটারদের কাছে এজিএস প্রার্থী মায়েদের অনুরোধ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

২০ হাজার কোটি রুপি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অর্থাগারে!
২০ হাজার কোটি রুপি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অর্থাগারে!

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক