আদ্দিস আবাবায় বাংলাদেশ দূতাবাস বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান ও জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উদযাপন করেছে। ইথিওপিয়ায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের আয়োজনের শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে ধর্মীয় বাণী পাঠ এবং বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামে আত্মত্যাগকারী শহীদদের রূহের শান্তি ও মাগফিরাত কামনা এবং দেশ ও সামগ্রিক দেশবাসীর উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এরপর কবিতা, গান, ভিডিও চিত্র প্রভৃতি আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালার ধারাবাহিক আয়োজন চলমান থাকে। বিকেলে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান, যেখানে স্থানীয় ইথিওপিয়ান, ইথিওপিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী ও বিদেশী অতিথিবর্গ এবং দূতাবাসের কর্মচারীবৃন্দ সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শুনানো হয়। এ অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত। তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও সোনার বাংলার স্বপ্ন ধারণ করে বাংলাদেশের আগামী প্রজন্ম যাতে বাংলাদেশকে উন্নত মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে, আফ্রিকা ও এশিয়ার দরিদ্র-মেহনতী মানুষের নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু জীবন ও সংগ্রামের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশকে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আগামী প্রজন্মের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত উন্নয়নমূলক পদক্ষেপসমূহ এবং বাংলাদেশের ধারাবাহিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রদান করেন। এরপর শুরু হয় আলোচনা এবং উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক পর্ব। এ পর্বে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্য থেকে উৎসাহী অংশগ্রহণকারীগণ বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় শিশু দিবসের উপর রচিত কবিতা ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন। আগত অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং নবীন প্রজন্মের জন্য ক্রমাগত কাজ করে যেতে তাদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এরপর, আগত দর্শক-শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপর নির্মিত একটি প্রামান্য ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে দূতাবাসের পক্ষ থেকে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাংকন এবং রচনা/প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের মাঝে আকর্ষণীয় পুরষ্কার ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে উপস্থিত শিশু-কিশোরদের নিয়ে একটি বিশেষ কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন