শিরোনাম
১৩ মে, ২০২১ ১৫:৫৩

স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্পেনে ঈদ উদযাপন

স্পেন প্রতিনিধি:

স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্পেনে ঈদ উদযাপন

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই স্পেনের প্রবাসী বাংলাদেশিরা ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। দেশটির রাজধানী শহর মাদ্রিদ, পর্যটন নগরী বার্সেলোনা, কানারিয়াস দ্বীপপুঞ্জসহ বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা নামাজ শেষে একে অপরের সাথে কুশলাদি বিনিময় করে ঈদের দিনকে আনন্দময় করার চেষ্টা করেন। 

করোনার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমে যাওয়ার কারণে সরকারী বিধি নিষেধ কিছুটা শিথিল হওয়ায় দেশটির মসজিদগুলোর পাশাপাশি  খোলা ময়দানেও মুসল্লিরা ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন। ঈদে চিরায়ত আনন্দের অংশ হিসেবে নামাজ শেষে কোলাকুলির যে রেওয়াজ, সেটা প্রাসঙ্গিক কারণেই সম্ভব হয়নি। তবে মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করতে পেরেই খুশি।

স্পেনের সবচেয়ে বৃহৎ মসজিদ ‘সেন্ত্র কুলতুরাল ইসলামিকো দে মাদ্রিদ’ (‘এমে তেরেন্তা’) মসজিদে দেশটির বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৮টায়। স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, দূতালয় প্রধান আব্দুর রউফ মন্ডল, বাণিজ্যিক সচিব রেদোয়ান আহমেদ ও দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

মাদ্রিদে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা লাভাপিয়েস সংলগ্ন বায়তুল মুকাররম জামে মসজিদে ঈদের নামাজের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৭টা ৩০, ৮টা ১৫, ৯টা, ৯টা ৪৫ ও ১০টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত ঈদের জামাতগুলোতে পাঁচ শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। মুসল্লিদের বাসা থেকে অজু করে এবং জায়নামাজ নিয়ে আসার নিদের্শনা ছিল। নামাজ শেষে খুতবায় করোনা মহামারি থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহ’র কাছে বিশেষ ফরিয়াদ ও বিশ্বের সকল নির্যাতিত মুসলমানদের বিশেষ করে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের হেফাজত ও শান্তি কামনা করা হয়। এছাড়াও মাদ্রিদে শাহ জালাল লতিফিয়া জামে মসজিদ, আল হুদা মসজিদ ও সান ক্রিস্টোবালে আল আমান মসজিদে ৩টি করে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

মুখে মাস্ক আর নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে পর্যটন নগরী বার্সেলোনায় বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাগুলোর বাংলাদেশি পরিচালনাধীন মসজিদগুলোতেও ঈদ উল ফিতরের নামাজের বেশ কয়েকটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুরোপুরি উৎসবপূর্ণ পরিবেশে না হলেও প্রবাসী মুসলমান বাংলাদেশিরা নিজেদের মধ্যেই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বার্সেলোনায় স্থানীয় শাহ জালাল জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষের আয়োজনে মসজিদের অভ্যন্তরে সকাল ৭টা ও ৮টা ৩০ মিনিটে এবং মসজিদের সামনে খোলা ময়দানে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ঈদের ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

এছাড়াও লতিফিয়া ফুলতলী জামে মসজিদে সকাল ৭টা,  ৭টা ৩০, ৮টা ও ৮টা ৪৫ মিনিটে মোট ৩টি জামাত, বার্সেলোনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল ৬টা ৪৫, ৭টা ১৫, ৭টা ৪৫, ৮টা ১৫, ৮টা ৪৫, ৯টা ১৫, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে মোট ৮টি জামাত এবং দারুল আলাম জামে মসজিদে সকাল ৬টা ৫০, ৭টা ৩০, ৮টা ৪৫ এবং প্লাসা মারিনা কাস্তেলেসে সকাল ৭টা, ৭টা ৪৫ ও ৮টা ৪৫ মিনিটে ৩টি করে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামাতগুলোতে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ বেশ কয়েকটি দেশের অভিবাসীরা নামাজ আদায় করেন।

কানারিয়া দ্বীপপুঞ্জভুক্ত শহর টেনেরিফেও সকাল ৭টা ৩০ ও ৮টা ৩০ মিনিটে ঈদের ২টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি ঈদের নামাজ পড়ে ও একে অপরের সাথে ঈদের কুশলাদি বিনিময় করে ঈদ উদযাপন করেছেন। ওখানেও ছিল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর