দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৪৮তম বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। রবিবার বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির ৪৮তম বার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
এ উপলক্ষে দূতাবাস স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের সভাপতিত্বে সেখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক একটি অনলাইন আলোচনার আয়োজন করে। আলোচনার শুরুতে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির ৪৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার বক্তব্য প্রদান করেন।
রাষ্ট্রদূত বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি তার বক্তব্যে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদানের প্রেক্ষাপট আলোচনা করার পাশাপাশি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতা সবার প্রতি বন্ধুত্বের ভিত্তিতে বৈদেশিক নীতি ঘোষণা করেন এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের নেতৃবৃন্দকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জাতির পিতার শান্তি প্রতিষ্ঠার আদর্শ অনুসরণ করে বাংলাদেশ শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে, যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি সম্পাদন এবং ২০১১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জনগণের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের মডেল উপস্থাপন।
তাছাড়া জাতিসংঘের শান্তি মিশনে শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী শীর্ষ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তিতে অবদান রেখে চলেছে। তিনি জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে একটি ক্ষুধা ও দরিদ্রমুক্ত, সুখী ও সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের আলোচনায় বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনন্য অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। এছাড়া আলোচকরা বিশ্বশান্তি, অহিংসা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান প্রতিষ্ঠা ও নিশ্চিতকরণে জাতির পিতার দর্শন ও প্রচেষ্টার কথা আলোচনা করেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই