আফগানিস্তান থেকে রাষ্ট্রদূতসহ সকল ডিপ্লোমেটকে মঙ্গলবারের মধ্যেই ওয়াশিংটন ডিসিতে ফিরিয়ে আনছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তালেবান প্রশাসনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তালেবানের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার আগ্রহ প্রকাশ করা হলেও বাইডেন প্রশাসন এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করেনি বিষয়টি। কারণ, তালেবানের উত্থানের মধ্যদিয়ে প্রকারান্তরে ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠিরই উত্থান ঘটছে বলে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন।
শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে তালেবানের অনুরোধ নিয়ে বাইডেন প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে পরামর্শ শুরু করেছে। তবে তালেবানের কোন পর্যায়ের নীতি-নির্ধারকদের সাথে যুক্তরাষ্ট্র এখনও সরাসরি কোনো আলোচনা শুরু করেনি।
এ অবস্থায় কাবুলে মার্কিন কূটনৈতিকদের উপস্থিতি আদৌ ঘটবে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। মঙ্গলবারের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সকল মার্কিন সৈন্য এবং ডিপ্লোমেটরা ওয়াশিংটন ডিসিতে ফেরার পরও আফগান-আমেরিকানদের কেউ কাবুলে থাকতে না চাইলে তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনবে বাইডেন প্রশাসন-এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাইডেন প্রশাসনকে আগে স্থির করতে হবে যে, তারা তালেবান সরকারকে সমর্থন দেবে কিনা-তারপরই কাবুল প্রশাসনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে কথা হবে। এ পর্বেও বেশ কয়েক সপ্তাহ সময় নিতে পারেন বাইডেনের নীতি-নির্ধারকরা।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের পদস্থ এক কর্মকর্তা বলেছেন, ৩১ আগস্টের পরও যারা আফগানিস্তান ত্যাগ করতে চায়, তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা অন্য কোনো দেশে নিয়ে যেতে মার্কিন কন্স্যুলার সেকশন কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়েও কথাবার্তা শুরু হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখনও আফগানিস্তানে ৩৫০ জন আমেরিকান অবস্থান করছেন এবং তারাও স্বল্পতম সময়ে কাবুল ছাড়তে চান। এর বাইরে আরও ২৮০ জনের অনুরোধ এসেছে আফগানিস্তান থেকে। তারাও নিজেদেরকে মার্কিন নাগরিক হিসেবে দাবি করেছেন। এদের ভাগ্যও নির্ভর করবে তালেবান সরকারের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা