“শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস অদম্য আত্মবিশ্বাস” প্রতিপাদ্য নিয়ে শেখ রাসেল দিবস-২০২১ বাংলাদেশ দূতাবাস, হ্যানয়, ভিয়েতনামে উদযাপন করা হয়। দোয়া-প্রার্থনা, শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ, প্রামান্য চিত্র প্রদর্শনী, শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি ও ভিয়েতনামী শিশু-কিশোরদের আর্ট ক্যাম্প এবং পুরস্কার বিতারণীর আয়োজন করা হয়।
ভিয়েতনামে কোভিড সতর্কতা ও জনসমাবেশে বিধিনিষেধ-এর জন্য আর্ট ক্যাম্প অনলাইনে আয়োজন করা হয়।
দিনটি পালন উপলক্ষে ১৮ অক্টোবর ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজ্ সামিনা নাজ দূতাবাস প্রাঙ্গনে কর্মসূচীর সূচনা করেন। দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এবং তাঁদের পরিবারবর্গ, ভিয়েতনামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি এবং তাদের পরিবার এবং ভিয়েতনামী বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব (‘নান-ধান’ টিভি-এর ডিরেক্টর) এ সময় উপস্থিত ছিলেন। শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ বিষয়ক বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানে শেখ রাসেল-এর স্কুল সহপাঠি (ঢাকা ইউনিভার্সিটি ল্যাবঃ স্কুল) মোহাম্মাদ এহসানুল হক বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
স্মরণ সভার প্রারম্ভে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যগণসহ অন্যান্য শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। এর পর রাষ্ট্রদূত শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন। এ দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজ আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূত দিবসটির আলোচনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগষ্টে শাহাদাৎ বরণকারী তাঁর পরিবারের সদস্যসহ সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং আমাদের স্বাধীনতা অর্জন সহ সকল সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব ও অপরিসীম আত্মত্যাগের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে শেখ রাসেল-এর স্বল্পসময়কালীন জীবনী এবং তার অনন্য ব্যক্তিত্বের কথা উল্লেখ করেন। এত অল্প বয়সে তার আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধা সহকারে উল্লেখ করেন।
শেখ রাসেলের সহপাঠি মোহাম্মদ এহসানুল হক বলেন, শেখ রাসেল ছিলেন অত্যন্ত চৌকষ, সদ্বীপ্ত ও সৃজনশীল প্রতিভার অধিকারী এক স্মরণীয় বালক। খেলাধুলার প্রতিও ছিল তার আগ্রহ। এত অল্প বয়সেই তার মেধা ও আত্মবিশ্বাস সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। তার সৃজনশীলতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত ছিল ছবি আঁকার প্রতি তার আগ্রহ। স্কুল সহপাঠি হারানোর করুণ স্মৃতি তাকে আজও তাড়িয়ে বেড়ায়।
আলোচনা পর্ব শেষে শেখ রাসেল-এর জীবনভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। শেষ পর্বে বাংলাদেশি ও ভিয়েতনামি শিশু-কিশোরদের আর্ট ক্যাম্প যা অনলাইনে আগেই আয়োজন করা হয় তার ফলাফল ও পুরষ্কারের জন্য শিশু-কিশোরদের জন্য শেখ রাসেল দিবসের লগো সম্বলিত সুভিন্যির মগ এবং অন্যান্য বিশেষ পুরষ্কার ঘোষণা করেন রাষ্ট্রদূত। যা পরবর্তীতে শিশুদের কাছে পৌঁছানোর আয়োজন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন