১৯ অক্টোবর, ২০২১ ১৪:২৭

ইস্তাম্বুলের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন

অনলাইন ডেস্ক

ইস্তাম্বুলের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, ইস্তাম্বুল যথাযথ মর্যাদায় ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন করে। শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। 

দিবসটি উপলক্ষে কনস্যুলেট তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাতান স্কুলের সাথে যৌথভাবে শিশু-কিশোরদের নিয়ে একটি মনোমুগ্ধকার চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। 

আশির অধিক শিক্ষার্থী সরলতা, বন্ধুত্ব ও শৈশবস্মৃতি এই তিনটি বিষয়ের উপর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম তার বক্তব্যে ভাতান স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের এই অনুষ্ঠান আয়োজন ও অংশগ্রহণের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেল সম্পর্কে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের অবহিত করেন।

ইসলাম বলেন, আজকের শিশুরা ভবিষ্যতের কান্ডারী, তারাই সামনের দিনগুলিতে পৃথিবীকে নেতৃত্ব দিবে। একটি সুখী-সমৃদ্ধ পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্যে, আজকের শিশুদের আদর্শ মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার জন্য আমাদের সঠিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ড. ইসলাম বাংলাদেশ ও তুরস্কের দু মধ্যকার ঐতিহাসিক বন্ধনকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান যা দু’দেশের মধ্যকার ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো অর্থবহ ও সুদৃঢ় বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ভাতান শিক্ষা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. তুরেই কেসলার ভবিষ্যতে কনস্যুলেটের সাথে এই ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং সকল প্রতিযোগিতাকে মুজিববর্ষের লোগো খচিত বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

সকালে ইস্তাম্বুলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদশিদের নিয়ে কনস্যুলেটের ফ্রেন্ডশিপ হলে ‘শেখ রাসেল দিবস: প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী সমূহ পাঠ করা হয় এবং শহীদ শেখ রাসেলের উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। কনসাল জেনারেল মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম শেখ রাসেলের জীবন এবং দিবসটির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের তাদের সন্তানদের বাংলাদেশের সংস্কৃতি জানা ও লালন করার উপর গুরূত্বারোপ করেন। প্রসঙ্গতই, তিনি ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাভাষা শিক্ষা বিষয়ক কোর্স চালুর সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে উপস্থিত সবাইকে অবহিত করেন। 

শেখ রাসেলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। 

বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর