প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কবি কামাল চৌধুরী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’র ভিশন বাস্তবায়ন করতে আমাদের এমন একটি জনগোষ্ঠী তৈরি করতে হবে, যারা প্রযুক্তিতে দক্ষ। একইসঙ্গে যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দেখিয়েছেন, সেই স্বপ্নের পরিপূরকভাবে চলমান বিশ্বের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের গতিকে অভিযোজিত করবে-এমন একটি তরুণ জনগোষ্ঠী যারা আগামী দিনের কুশিলব হিসেবে আবির্ভূত হবে। এজন্য এবারের সরকারের দায়িত্ব অনেক বেশি। তাই দেশ ও প্রবাসের সকলের সম্মিলিত প্রয়াস অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।’
কন্সাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদার স্বাগত বক্তব্যের পর ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে গঠিত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সাথে গভীরভাবে, নিবিড়ভাবে কাজ করছি। ইতোমধ্যেই দেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি দিয়েছেন এবং সেখানে সমস্ত বিষয়ে অর্থাৎ যেসব সেক্টর রয়েছে, সেগুলোতে কাজ করার জন্য তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নয়া সরকারের সাথে বাইডেন প্রশাসনের সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে অনেকের মধ্যে সংশয় ছিল, এখন আর সেই সংশয়ের কিছু নেই। যারা এদেশের (যুক্তরাষ্ট্র) সিটিজেনশিপ নিলেও অন্তরে বাংলাদেশ ধারণ করেন।
তাদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আসুন আমরা সম্মিলিতভাবে এদেশের সাথে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিয়ে যাই।’
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তৌফিক ইসলাম শাতিল, কবি বদিউজ্জামান নাসিম, নিউইয়র্কস্থ মুক্তধারার প্রধান নির্বাহী বিশ্বজিৎ সাহা এবং সাংবাদিক আকবর হায়দার কিরণ বক্তব্য রাখেন। কবি কামাল নাসেরের জীবনী উপস্থাপন করেন লুৎফুন্নাহার লতা। বস্টনস্থ থিঙ্কট্যাংক ‘ইন্টরন্যাশনাল সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট (আইএসডিআই)’র প্রধান নির্বাহী ইকবাল ইউসুফসহ কম্যুনিটির সর্বস্তরে প্রতিনিধিত্বকারীরা এতে ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ