নারী এবং তরুণীর বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধে ২০০৮ সাল থেকে চলে আসা সংঘবদ্ধ একটি কর্মসূচির সুফল ১৬ বছরেও আসেনি। ‘ইউএন উইমেন’র এই কর্মসূচি প্রতি বছরের ২৫ নভেম্বর ‘নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা নির্মূলের আন্তর্জাতিক দিবস’ থেকে শুরু হয়ে ১০ ডিসেম্বর ‘মানবাধিকার দিবস’ পর্যন্ত চলে আসছে।
জাতিসংঘ সদর দফতর থেকে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রশাসন, সুশীল সমাজ, রাজনীতিক, ছাত্র-শিক্ষক সকলেই এ কর্মসূচিতে সামিল হলেও প্রত্যাশিত সুফল আসছে না বলে জাতিসংঘ হতাশা ব্যক্ত করেছে। এমনি একটি দূরাশার মধ্যদিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে কতটা অগ্রগতি সাধিত হবে তা নিয়ে শংকার শেষ নেই। এবারের এই দিনব্যাপী কর্মসূচির স্লোগান হচ্ছে ‘তরুণী এবং নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে বিনিয়োগ’।
জাতিসংঘ জানায়, বিশ্বের প্রতি ৩ নারীর মধ্যে একজনই কোন না কোনভাবে যৌণ হামলা এবং দৈহিক আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। ২০২৩ সালেও এ ধরনের হামলার শিকার হয়েছেন ৫১১০০ জন নারী ও তরুণী। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এহেন আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে পরিবারের কেউ অথবা ঘনিষ্টজনের দ্বারা। এহেন অবস্থার অবসান ঘটাতে চাই নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি।
ইউএন উইমেন মনে করছে, বিদ্যমান সামাজিক রীতি এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা কমানো সম্ভব হবে না। ঘরের বাইরেও নারীরাও নিরাপদ নন। রাজনীতিক-সমাজ সংগঠক, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মীরা প্রায়ই ভিকটিম হচ্ছেন। আর এহেন আক্রমণের ঘটনা ঘটছে অনলাইন-অফলাইন দুভাবেই। কখনো কখনো সহিংসতা/যৌণ হামলার শিকারদের নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনাও ঘটছে। সবচেয়ে বেশী ধর্ষণ, আক্রমণের ঘটনা ঘটছে যুদ্ধ-সংঘাত ছড়িয়ে পড়া এলাকায়। আগের বছরের চেয়ে গত বছর তা বেড়েছে ৫০%।