মানসিক বিকাশই পারে নির্মল, সবচেয়ে মানবিক ও সৃজনশীল করে গড়ে তুলতে। মানসিক স্বাস্থ্য, মানসিক সুস্থতার সাথে সম্পর্কিত। শিশু সন্তানের সামগ্রিক বিকাশের সঙ্গে পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতা নিবিড়ভাবে জড়িত। মূলত মানসিক বিকাশের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শৈশবেই হয়ে থাকে। শিশু সন্তানের মানসিক বিকাশে ক্রীড়া বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। তাদের মানসিক বিকাশ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তাদের ভাবের আদান-প্রদানের উপর যেমন নির্ভর করে, তেমনি ক্রীড়া বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের গুরুত্বও সর্বজনস্বীকৃত।
ক্রীড়া বিনোদন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বয়সকেও প্রাধান্য দেওয়া প্রয়োজন। ক্রীড়া বিনোদন শুধু মানসিক বিকাশ ঘটায় না, সৃষ্টিশীল মানুষ হিসেবেও গড়ে তোলে। শিশুরা মাত্রই অনুকরণপ্রিয়। ইতিবাচক মনোভাব প্রশান্তি আনতে সক্ষম। ইতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি করে এমন ক্রীড়া বিনোদনের উৎসাহ প্রদান করা প্রয়োজন। শারীরিকভাবে সুস্থতার ক্ষেত্রেও ক্রীড়া বিনোদন আগ্রহের সৃষ্টি ঘটানোর প্রয়োজন রয়েছে। কেননা আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।
এ সময় সৃজনশীল, মানবিক, নির্মল হতে হলে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রয়োজন রয়েছে। আবিষ্কারধর্মী, নাটকীয় ও সৃজনশীল। বয়সভেদে নির্বাচন করতে হবে গুরুত্বের সঙ্গে। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষাপট বৃহৎ। শৈশবে ছবি আঁকার অভ্যাস গড়ে তুললে মেধা ও বুদ্ধির বিকাশ ঘটে। শিল্পচর্চার মাধ্যমে অভিনব সুচিন্তা ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটে।পরবর্তীতে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতাও গড়ে উঠে। মস্তিষ্ক একপ্রকার প্রশান্তির চাহিদা অনুধাবন করে থাকে।কোমল, নির্মল সংগীত শারীরিক ও মানসিক বিকাশে নিবিড় প্রভাবের সৃষ্টি করে। যা প্রজন্মের সহিত প্রজন্মের সেতুবন্ধন ঘটায়।শব্দের সাথে বাক্যের সহজীকরণে আগ্রহের সৃষ্টি করে। শিক্ষামূলক চাহিদা অনুধাবন করে বই পড়ার অভ্যাস মানসিক বিকাশে প্রভাব ফেলে। এই প্রভাব বুদ্ধিমত্তা, চাহিদা, সুচিন্তার প্রকাশ ঘটায়। যা সামগ্রিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ। শিশু সন্তানের সামগ্রিক বিকাশে স্বাভাবিক আচরণগুলো করতে দেয়া উচিত। সুন্দর ও নির্মল মানসিক বিকাশে সহায়ক হয়ে উঠা সকলেরই পাথেয়।