সোমবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

যে কারণে তবুও ঢাকা সেরা

যে কারণে তবুও ঢাকা সেরা

ঢাকা নাকি দিন দিন বসবাসের জন্য অযোগ্য শহর হয়ে পড়ছে। এবার বসবাসের অনুপযোগী শহর জরিপে ঢাকার অবস্থান দুই। সামান্যর জন্য প্রথম হতে পারেনি। তবে কি ঢাকাতে আর কেউ বসবাস করতে পারবে না? যে যাই বলুক, আমরা ইতিবাচকভাবে দেখলে এতটা গায়ে লাগবে না। যে কারণে এখনো ঢাকা সেরা শহর হতে পারে, সেটাই জানাচ্ছেন- আরিফ বিন নজরুল

হোক বাড়ি ভাড়া আকাশ সমান

বাড়ি ভাড়া বেড়েই চলছে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। তো যেখানে বসবাস করতে হবে সেখানের দাম যদি হুড়হুড় করে বেড়েই চলে তাহলে কি সেখানে আর বসবাস করা যাবে না? আরে জরিপ ভাই, যতই ভাড়া বাড়ুক না কেন তবুও তো আপনি কোনো বাসাই খালি বা ফাঁকা পাবেন না। আজকে গেলে তো দুই মাসের আগে ভাড়া নিতে পারবেন না, এত সহজ নাকি? তার মানে হলো, যতবারই আপনারা ঘোষণা দেন না কেন, ঢাকা বসবাসের অযোগ্য তাতে বাড়িভাড়া বাড়ায় কোনো প্রভাব পড়েনি এখনো।

জানি, জ্যাম আমাদের নিত্যসঙ্গী

জানি অনেকেই বলবেন, ঢাকার জ্যামে বসে থেকে জীবনের অর্ধেক সময় পার করে দিচ্ছেন। ঢাকায় বসবাসকারীকে নিয়মিতভাবে চলাচল করতে হবে এটাই সত্য। আর ঢাকার রাস্তার জ্যাম যদি বিশ্বের সেরা এবং দীর্ঘস্থায়ী জ্যামও হয় তবুও আমরা রাস্তার জ্যামকে কেয়ার করি না। দুই মিনিটের রাস্তা বিশ মিনিটে পাড়ি দেই। কেননা আমরা সারা বছর জ্যামে আটকা পড়তে পড়তে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে জ্যাম না থাকলেই কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। তাই বলছি, জ্যামের ভয় দেখিয়েও ঢাকার বসবাস ঠেকাতে পারবেন না।

জলাবদ্ধতা নতুন কিছু নয়

ঢাকায় পনের মিনিট বৃষ্টি হোক বা এক ঘণ্টা বৃষ্টি হোক রাস্তায় ও বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এতে তো ঘাবড়ানোর কিছুই নেই। কয়েকদিনের মধ্যেই পানি সরে যায়। বরং বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, সব সময়ে নদী নদী পরিবেশের কথা মনে করিয়ে দেয়। নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় যারা নদীকে মিস করেন তারা তো জলাবদ্ধতা নিয়ে এত চিল্লাফাল্লা করেন না। সেই সূত্রে জলাবদ্ধতা আমরা খুবই উপভোগ করি। তাই বলা চলে আপাতত জলাবদ্ধতার কথায় ঢাকায় বসবাস কমানোর কোনো বাম্পার সুযোগ নেই।

থাকুক পানি ও গ্যাসের টানাটানি

নিন্দুকেরা সব কিছুতেই মন্দটা খুঁজে ফেরে। সাপ্লাই পানির ব্যাপারে অভিযোগ থাকতেই পারে সেটা তো নতুন কিছু নয়। মাঝে মাঝে সাপ্লাইয়ের পানিতে ময়লা-আবর্জনা থাকে বলে ধৈর্য হারাবেন কেন। আর গ্যাসের লাইনে সমস্যার কথা ভাবছেন। গ্যাসের চাপ কমে গেলে সকালে তরকারি বসালে রাতে রান্না হয়। একবার কি খেয়াল করেছেন, এ রান্নার সময় বেঁচে যাওয়ায় ঘরের কত কাজ করে ফেলা যায়। তাছাড়া গ্যাসের অভাবে রান্না বন্ধ থাকলে পরিবার পরিজন মিলে একটু রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়ে আসা যায়।

চলুক রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি

একই রাস্তায় বারবার খোঁড়াখুঁড়ি হয় বলে রাস্তার বারোটা বেজে যায়। এ অজুহাতে ঢাকা ছাড়ার তো কিছু নেই। হেঁটে গেলেই তো হয়।

 

সর্বশেষ খবর