ফেসবুক প্রেমের এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। অনেকেই এখন ফেসবুকে প্রেম করা থেকে শুরু করে জীবন সঙ্গী পর্যন্ত খুঁজে নেন। সাময়িকভাবে ফেসবুক বন্ধ হয়ে যাওয়াতে এখন অনেকের কাছে প্রেম করাই দুরূহ হয়ে গেছে। তাই প্রেম করার ঐতিহ্যবাহী কিছু কৌশল আবারও জেনে নিন
কবুতর পদ্ধতি : আবারও ফিরে যান অতীতে। ফেসবুকের বদলে প্রতি বাড়ির ছাদে রাখুন কবুতরের খোঁপ। পুতে শুরু করুন পায়রা। কবুতরের পায়ে প্রেমপত্র বেঁধে ফেসবুক ফ্রেন্ড রিকুয়েস্টের মতো উড়িয়ে দেওয়া হবে প্রিয় মানুষের কাছে। ফেইক আইডির মতো প্রাথমিক পর্যায়ে পায়রা ভুল ঠিকানায় ল্যান্ড করলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আস্তে ধীরে পায়রা পথ চিনে নিতে পারবে। পথ ভুললেও সমস্যা তো নেই!
চাকা পদ্ধতি : ইটের চাকায় চিঠি বেঁধে প্রেয়সীর জানালায় ছুড়ে দেওয়ার নাম চাকা বা চাক্কা পদ্ধতি। সুনিপুণভাবে হাতের সই ঠিক করে সজোরে চাকা মেরে ঢুকিয়ে দিতে হবে জানালা দিয়ে প্রিয়তমার কাছে। তবে আপনার ছুড়ে দেওয়া চাকা মেয়ের বাবা বা বড় ভাইয়ের মাথা ফাটিয়ে দিলে সে ক্ষেত্রে আইডিয়াদাতাকে কোনোভাবেই দায়ী করা যাবে না। চাকার মতো মাথা ফাটানোর দায়িত্বও আপনাকেই নিতে হবে।
মিসকল পদ্ধতি : ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপের এই যুগে আমরা ভুলেই গিয়েছিলাম মিসকলের কার্যকরী ব্যবহারের কথা। চরম অর্থহীনতায় কেবল মিসকল দিয়েও দুর্দান্তভাবে প্রেম চালিয়ে নেওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ ভেবে নেওয়া যায়, একটা মিসকল মানে আই মিস ইউ। পরপর দুইটা মিসকল মানে- তীব্রভাবে মিস ইউ। পরপর তিনটা মিসকল মানে চলো আজ দেখা করি। চারটা মিসকল দেওয়া মানে আমি তোমার বাসার নিচে।
ঘুরঘুর পদ্ধতি : ঘুরঘুর পদ্ধতিতে প্রিয় মানুষের বাসা, কলেজ, এমন কি ভার্সিটির আশপাশে ঘুরঘুর করতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা বাসার সামনে সাইকেলে বা হেঁটে এক-দুইটা চক্কর দিতে হবে। বিকালে প্রিয়তমা ছাদে গেলে অন্য বাসার ছাদে উঠে তাকে হাত নেড়ে জানিয়ে দেওয়া হবে ফেসবুক না থাকলেও আমি এখনো আছি। তা ছাড়া কলেজ, ভার্সিটি শেষে রাস্তার কোণাকানায় বৈদ্যুতিক খুঁটিতে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে দুজনার চোখাচোখি অনেক বেশি রোম্যান্টিক আবহ তৈরি করে দিতে পারে।
পত্রিকা পদ্ধতি : নিজস্ব গবেণায় দেখা গেছে অধিকাংশ প্রেম নষ্ট হয় কেবল চিঠি ভুল হাতে পৌঁছানোর কারণে। অভিনব আইডিয়া হিসেবে বেছে নেওয়া যেতে পারে দৈনিক পত্রিকা। তাই হকারের সঙ্গে চুক্তি করে চিঠি পত্রিকার ভিতরে ঢুকিয়ে দিতে হবে। প্রেমিকাকে আগেই জানিয়ে রাখতে হবে বাসায় পত্রিকা এলে সে যেন শুরুতেই হাতে নিয়ে নেয়। এভাবে সে পেয়ে যেতে পারে রেগুলার একটি করে নতুন প্রেমপত্র। এ ছাড়া ঘুড়ির লেজে প্রেমপত্র বেঁধে অপর ছাদে পাঠানোর চেষ্টাও করা যেতে পারে।
