সারা বছর আমরা শুনি, চাকরি সোনার হরিণ। কিন্তু ঈদের সিজন এলে শুনি, টিকিট সোনার হরিণ। কেউ কেউ হয়তো বলবেন, শোনা কথায় কান দিতে নেই। আমরাও দিতে চাইনি কান। কানগুলোকে অন্য কাজে ব্যস্ত রাখতে চেয়েছিলাম। পারিনি। কারণ, টিকিটের ব্যাপারে যারা হরেক কথা বলে যাচ্ছে, তারা কেউই মিথ্যে কথা বলার লোক না। বাড়িয়ে বা বানিয়ে বলার লোকও না। তারা ‘যাহা বলিব সত্য বলিব’ ক্যাটাগরির লোক। বুঝতেই পারছেন, যাহা বলেছে, সত্য বলেছে। এ প্রসঙ্গে প্রথমেই উল্লেখ করতে চাই আমার এক ছোটভাইয়ের কথা। যে কিনা নিয়মিত জিম করে। তার কথা হচ্ছে, শোলডার প্রশস্ত হতে হবে। শোলডার প্রশস্ত বা চওড়া না হলে নাকি জামা-কাপড় গায়ে দিলে মনে হয় হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তো ছোটভাই গতকাল বলল, এতদিন হুদাই জিম করলাম ভাই। পুরা পরিশ্রমই জলে গেল টিকিট কাটতে গিয়ে। আমি বললাম, টিকিট করার সঙ্গে জিমের কী সম্পর্ক? তাও আবার বলছিস পরিশ্রম নাকি জলে গেল। বুঝলাম না কিছু। ছোটভাই বলল, না মানে এতদিন জিমে গিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে শোলডার যতটুকু চওড়া বানিয়েছিলাম, টিকিট কাটতে গিয়ে যে পরিমাণ ধাক্কাধাক্কি করতে হয়েছে, শোলডার একদম চিপে গেছে। কী লসটাই না হয়ে গেল। আমি বললাম, এত জোরে ধাক্কাধাক্কি করা উচিত হয়নি। আরেকটু আস্তে ধাক্কা দিলেও পারতি। ছোটভাই বলল, আমি আস্তে ধাক্কা দিলে যেটা হতো, এখন তো শুধু শোলডার চেপে গেছে। তখন চেপে যেত বুক। আমি অবাক হলাম, মানে? ছোটভাই বলল, মানে হচ্ছে, লোকজনের ঠেলা খেয়ে ধড়াম করে পড়ে যেতাম। তখন সবাই আমার ওপর আচ্ছামত পাড়াপাড়ি করত। আমার বুকের ছাতি ভেঙে ফাতাফাতা হয়ে যেত। বুকের ছাতি ভেঙে গেলে বুক চেপে যায় কিনা বলেন? আমি কোনো জবাব দিলাম না। বরং চোখ বন্ধ করে অনুমান করার চেষ্টা করলাম ধাক্কাধাক্কির আকার-প্রকারটা। তবে খুব বেশিক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখার সুযোগ পেলাম না আমার এক প্রতিবেশীর কারণে। তিনি কানের কাছে এসে এমন জোরে চিৎকার করে উঠলেন, মনে হলো আমার কানের পর্দা ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। আমি বললাম, কী হয়েছে? চিৎকার করছেন কেন? প্রতিবেশী সংযত হয়ে বললেন, না, এমনি। বলতে পারেন, খুশিতে, ঠেলায়। তবে আমি আপনার কাছে এসেছি একটা বিশেষ কারণে। আপনাকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য। আগামীকাল সন্ধ্যায় আমার বাসায় আপনার দাওয়াত। আমার আত্মীয়স্বজনও থাকবে। থাকবে এলাকার গণ্যমান্যরাও। আমি বললাম, বাসায় কি বিশেষ কোনো আয়োজন? তা উপলক্ষ কী? জন্মদিন? নাকি বিবাহবার্ষিকী? প্রতিবেশী বললেন, না, এ ধরনের কোনো উপলক্ষ না। উপলক্ষ তো একটা অবশ্যই আছে। আর উপলক্ষটা হচ্ছে, টিকিট। মানে আমরা গ্রামে যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট পেয়ে গেছি। এর চেয়ে বড় উপলক্ষ আর কী হতে পারে? তবে আসার সময় কোনো গিফট নিয়ে আসবেন না যেন!
শিরোনাম
- রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায় বিএনপি : আমীর খসরু
- নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন মোদি
- ফেলানীর ছোট ভাইকে চাকরি দিলো বিজিবি
- সৌদি সফর শেষে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
- খাগড়াছড়ির পাহাড়ে পূজার আমেজ, প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- শারদীয় দুর্গোৎসবে সারা’র আয়োজন
- বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে ‘এইচবিও ম্যাক্স’
- শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট আসক্তি ও বই পড়ার আগ্রহ বিষয়ে ফকিরহাটে শুভসংঘের আলোচনা সভা
- স্ন্যাপচ্যাটে নতুন দুই ফিচার চালু
- সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা
- যশোরে কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- বাজারে এলো সাশ্রয়ী মূল্যের ‘আকিজ ড্রিংকিং ওয়াটার’
- ৫ দিনের রিমান্ডে স্বাস্থ্যের ঠিকাদার মিঠু
- লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি
- উখিয়ায় বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু
- যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
- বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
- মোংলায় ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক
- হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচারে বদলাবে গ্রুপ চ্যাটের ধরণ
সোনার হরিণের চেয়েও যা দামি
ইকবাল খন্দকার
প্রিন্ট ভার্সন
