আমার এক বড় ভাই বললেন, একটু ঝামেলায়ই বোধ হয় পড়ে গেলামরে। কেন যে কথা দিতে গেলাম! আমি চেহারায় একটু টেনশন টেনশন ভাব এনে বললাম, কী হয়েছে বলেন তো! কাকে কী কথা দিয়েছেন? বড় ভাই বললেন, কাকে আবার, তোর ভাবীকে। তাকে কথা দিয়েছিলাম বাসার ছোট ফ্রিজটা বদল করে বড় দেখে একটা ফ্রিজ এনে দেব। কিন্তু কথা রাখতে পারিনি। এখন সে বাসায় যা শুরু করেছে, কী আর বলব। হাতের কাছে যা পায়, তা নিয়েই তেড়ে আসে আমাকে মারার জন্য। আমি বললাম, কথা দিয়ে কথা রাখতে না পারলে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে, এটাই স্বাভাবিক। এবার বলেন তো, যে কথা রাখতে পারবেন না, সে কথা কেন দিতে গিয়েছিলেন? বড় ভাই বললেন, কী করব বল। যখন কথা বলি, তখন জোশ চলে আসে। কী বলতে গিয়ে কী বলি, নিজেও জানি না। বলতেই থাকি, বলতেই থাকি। আমি বললাম, আপনার যে সমস্যা, এই সমস্যায় আমাদের চারপাশের অনেকেই আক্রান্ত। কিন্তু সবাইকে তো আর পরামর্শ দিতে পারব না। আমার এক বন্ধু বলল, আমার এক চাচা সবসময় চামচ দিয়ে ভাত খায়। আমি বললাম, বুঝতে পেরেছি। খুবই আধুনিক মানুষ। আসলে যারা আলট্রা মডার্ন, তারাই তো চামচ দিয়ে ভাত খায়, কাঁটা চামচ দিয়ে রুটি খায়। বন্ধু হেসে বলল, কী বলছিস তুই এসব! আমার চাচা মডার্ন হতে যাবে কোন দুঃখে! উনি নিজের নাম পর্যন্ত লিখতে পারেন না। আর সে কারণেই তো চামচ দিয়ে ভাত খেতে হয়। আমি তার কথার আগামাথা বুঝতে না পেরে বললাম, আমাকে দয়া করে একটু বুঝিয়ে বল। বন্ধু বুঝিয়ে বলল, আমার এই চাচা খুবই মুখপাতলা কিসিমের মানুষ। যখন তখন যাকে তাকে কথা দিয়ে ফেলে। খালি কথা দেয়, খালি কথা দেয়। কিন্তু কথা রাখার নাম নেই। এই জন্য মানুষ আজকাল ক্ষেপে গেছে। উনার মুখের কোনো কথাই আর বিশ^াস করে না। বরং উনি কথা শুরু করলে সেগুলো তারা কাগজে লিখে ফেলে। তারপর চাচাকে বলে সিগনেচার দেওয়ার জন্য। কিন্তু চাচা যেহেতু নিজের নামটাও লিখতে জানে না, এই জন্য উনি সিগনেচার না দিয়ে টিপসই দেয়। টিপসই দিতে দিতে উনার আঙ্গুলের অবস্থা এমন হয়েছে যে, এই হাত দিয়ে ভাত খাওয়ার উপায় নেই। কারণ, ভাতে কালির রং লেগে যায়। যে জন্য উনি চামচ দিয়ে ভাত খায়। আমি বললাম, যারা কথায় কথায় বেহুদা টাইপ কথা দেয়, তাদের সবাইকে চামচ দিয়ে খানা খেতে হবে। আমার এক প্রতিবেশী বললেন, আমি মনে করে কিছুদিন আগে যে পরিমাণে শীত পড়েছিল, এই পরিমাণ শীত সারা বছর থাকা উচিত। তাহলে মানুষ অন্যকে ফাউ কথা দেওয়ার আগে দশবার ভাববে। আমি বললাম, বুঝলাম না। প্রতিবেশী বললেন, না, মানে শীত বেশি থাকলে মানুষের ঠোঁট ফাটে তো! তাই প্রয়োজনীয় কথাই বলা যায় না। কাউকে ফাউ কথা দেওয়া তো দূরের ব্যাপার। আবার মুখ দিয়ে প্রচুর ধোঁয়া বের হয়। এত ধোঁয়া যে, পাশের জনের মুখও দেখা যায় না। এইদিকটা বিবেচনা করেও মানুষ কম কথা দেবে।
শিরোনাম
- ধনী দেশগুলো ব্যর্থ প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৫০৩ মামলা
- রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর
- ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি
- মওলানা ভাসানী সবসময় আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন: তারেক রহমান
- ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে কুষ্টিয়ায় ট্রাকে আগুন
- বিএনপি এখনো ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থাশীল : রিজভী
- ‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীদের অংশীদারিত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল অনুষ্ঠিত
- শাহরিয়ার আলমের আয়কর নথি জব্দের আদেশ
- পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণে পাশে ইউএস-বাংলা
- রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১২
- ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’
- তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গঠনে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা
- গভীররাতে কাশিয়ানীতে গাছ ফেলে মহাসড়ক অবরোধ
- চট্টগ্রামে শিক্ষা বোর্ড : খাতা চ্যালেঞ্জে ফেল থেকে পাস ৩৯৩ শিক্ষার্থী
- জুলাই শহীদদের পরিচয় শনাক্তে আন্তর্জাতিক ফরেনসিক টিম আসছে ৫ ডিসেম্বর
- শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি
- রাজধানীতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মী গ্রেফতার
- পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর
- অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি
কথার কথা
উনার আঙ্গুলের অবস্থা এমন হয়েছে যে, এই হাত দিয়ে ভাত খাওয়ার উপায় নেই। কারণ, ভাতে কালির রং লেগে যায়। যে জন্য উনি চামচ দিয়ে ভাত খায়...
ইকবাল খন্দকার
প্রিন্ট ভার্সন